১১৯১ খ্রীঃ তরাইনের প্রথম যুদ্ধে মহম্মদ ঘুরীকে পরাজিত করেছিলেন #পৃথ্বীরাজ_চৌহান।
যেহেতু পৃথ্বীরাজ ছিলেন হিন্দু বীর, তাই উদারতা দেখিয়ে ঘুরীকে বধ না করে ক্ষমা করে দিলেন। এবং সসম্মানে গজনীতে ফিরে যেতে সাহায্য করলেন।
ঠিক পরের বছর ১১৯২ খ্রীঃ ঘুরী ফিরে এসে পুনরায় আক্রমণ করে। এবং রাতের অন্ধকারে অতর্কিত হামলা করে তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধে পৃথ্বীরাজকে পরাজিত করে।
এবার ঘুরী কিন্তু পৃথ্বীরাজকে ক্ষমা করলো না।
উল্টে পৃথ্বীরাজকে দিলো ভয়ঙ্কর মৃত্যু!
জ্বলন্ত লোহার রড দিয়ে চোখ খুবলে, কানের পর্দা ফাটিয়ে, নখ উঁপরে, মাথার খুলি ফাটিয়ে, অন্ডকোষ থেঁতলে, লিঙ্গ কেটে, শিরোচ্ছেদ করে, দিলো এক ভয়ঙ্কর যন্ত্রনা দায়ক মৃত্যু।
মৃত্যুর আগে পৃথ্বীরাজের চোখের সামনে উল্টে পাল্টে সহস্রবার ধর্ষণ করলো তার সুন্দরী যুবতী রানী সংযুক্তাকে।
মুখে গুঁজে দিলো গো মাংস আর বীর্য ভরা ইমানদন্ড।
মৃত্যুর পর পৃথ্বীরাজের কুড়ি জন উপপত্নী ও রাজমহলের অন্যান্য নারীদেরকেও ধর্ষণ করে যৌনদাসী বানালো মহম্মদ ঘুরী ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা।
বিধবা রানী সংযুক্তাকে বন্দী করে রেখে বছরের পর বছর ধর্ষণ করেছে মহম্মদ ঘুরী; ঘুরীর ধর্মীয় পরামর্শদাতা মঈনুদ্দিন চিস্তি; এবং ঘুরীর প্রধান দাস কুতুবউদ্দিন আইবক।
শেষে সংযুক্তা আত্মহত্যা করেছে।
এই ছিল পৃথ্বীরাজের উদারতা দেখিয়ে ক্ষমা করার প্রতিদান।
ঘুরী ছিল বর্বর মরু দস্যু তাই উদারতা নামক শব্দটা ওদের Dictionaryতে ছিল না, ওরা শুধু জানে শত্রুর শেষ রাখতে নেই।
এটাই হচ্ছে ভারতে ইসলামিক সাম্রাজ্য বিস্তারের প্রথম ধাপ।
নীতিকথা:- ইতিহাস থেকে যে জাতি শিক্ষা নেয়না, ভবিষ্যৎ তাদেরকে কখনও ক্ষমা করে না।
হয়তো এর থেকেও ভয়ঙ্কর পরিণতি অপেক্ষা করছে আমাদের সামনে!