প্রথম শ্রেণী: তাদের কথা “তুমি থাকো তোমার যুক্তি নিয়ে। আমাকে কুরআন হাদিস নিয়ে থাকতে দাও। আমার কিছুই যায় আসে না কে কি বললো। চাঁদ সূর্য হাতে নিয়েও যদি দাবি করো, কোরআন মিথ্যা। আমি মানব না।”
ব্যাক্তিগত ভাবে এদেরকে আমার এই বিষয়ে ভালো লাগে যে ধর্ম বিশ্বাস এমনি হওয়া উচিৎ।
দ্বিতীয় শ্রেণী: কুরআন হাদিস নিয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করলে তারা কুরআন হাদিসেই পক্ষে ডিফেন্স করা শুরু করবে তা যে ভাবেই হোক না কেন! এরা কুরআনকে ১০০% ভেবেই বিতর্ক শুরু করবে এবং শেষপর্যন্ত হার মানবে না। বড় বড় তাফসীর কিতাব তারা ফু দিয়ে উড়িয়ে দিবে। তাফসিরে হাজার বছর ধরে বড় বড় মনিষী, ইসলামি স্কলারগণ যা বলেছে তা ভুল। তারা নতুন ব্যাখ্যা উপস্থাপন করবে। বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে তাদের ব্যাখ্যাও পরিবর্তন হতে থাকবে। এদের ব্যাখ্যা অত্যন্ত হাস্যকর। কেউ যদি বলে, কুরআনে আকাশের কথা উল্লেখ আছে, কিন্তু বিজ্ঞান বলছে সেরকম আকাশ বলে কিছু নেই। তারা বলবে, এই আকাশ আসলে ঐ আকাশ না। এই আকাশ হল আসলে বাতাস, বায়ুস্তর,বায়ুমন্ডল আরো কি কি! কেউ যদি বলে, পৃথিবীকে সমতল বলা হয়েছে কেন! তারা বলবে, এটা হল আসলে গোলের ভিতরে সমতল! যদি বলে, পৃথিবীকে স্থির বলা হয়েছে কেন? তারা বলবে, এটা স্থিরের মধ্যে গতিশীল! সারা দুনিয়ায় বড় বড় বিজ্ঞানী বিবর্তনবাদ মেনে নিলেও তারা তা মেনে নেবে না।
এদেরকেও মেনে নিতে আমার কোন সমস্যা নেই। তারা তাদের ধর্মকে যৌক্তিক প্রমানের জন্য আসামি পক্ষের আইনজীবি মতো বাক যুদ্ধ করে যায়।
তৃতীয় শ্রেণী : এরা না বোঝে ধর্ম না বোঝে যুক্তি না বোঝে বিজ্ঞান। কেউ ধর্মের সমালোচনা করলে তারা অকথ্য ভাষায় গালাগালি আর ভয় দেখানো শুরু করে।
এক জনকে বললাম আমি ইসলাম গ্ৰহন করলে ৭২-হুর পাবো তো একদম গ্যারান্টি ?, আপনাদের নবী তার পালিত পুত্রের বৌকে বিয়ে করেছিলেন কেনো ?, ছয় বছরের আয়েশাকে বিয়ে করেছিলো কেনো ?, কি খেয়ে নবীর ৩০জন পুরুষের সমান যৌনশক্তি হয়েছিলো ?,
সে আমাকে গালাগালি শুরু করল! ” সালা কাফের তোর এতো বড় সাহস! তুই আমার নবীর নামে বাজে কথা বলস! ইনশাল্লাহ তোর গলা কেটে ফেলব সামনে পাইলে !!!” এরাই মূলত জঙ্গির ডিম। প্রয়োজনীয় মোটিভেশান আর সুযোগের অভাবে পুরোপুরি জঙ্গি সন্ত্রাস হতে পারেনি। তবে এদের মোটিভেট করা খুব সোজা। ধর্মের জন্য মানুষ মারতে তারা দ্বিধা করে না। ভয়ংকর জাত এটা।
পরিশেষে বলছি যে- এই জাতটা না থাকলে পৃথিবীর ৯০-শতাংশ সমস্যাই থাকতো না ।