বাংলাদেশের বিপ্লবীরা ভারতের এনয়ারসির বিরুদ্ধে মিছিল করেছিলেন। পরে সেই মিছিল নিয়ে কত কাউতাল। কোন কোন বিপ্লবী এক কাঠি বেড়ে ভারতে বেড়াতে গিয়েও হিন্দুত্ববাদ বিরোধী সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। আমি এইটারে তিরস্কার যোগ্য কাজ হিসাবে দেখি নাই। প্রশংসামুলক ভাবেই দেখি যদি নিজের দেশেও ইসলাম বাদিদের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে এভাবে দাড়াইতে পারেন। এই কলিজা আবার তাদের নাই। নিরাপদ দূরত্বে, নিরাপদ কাজ করে যতটা হাতেহালি নেয়া যায় সেইটাই তারা করতেছেন।
আজকে দুইদিন ইসলাম বাদিদের কারনে গ্রেপ্তার হয়েছেন একজন বাউল। ভারতে হিন্দুত্ববাদিরা এই কাজ করলে এতক্ষনে সেখানের বিপ্লবীরা তুঘলকি বাঁধিয়ে দিতেন। কিন্তু বাঙালি বিপ্লবী হইতে শুরু করে বাই চান্স বিপ্লবী নুরা, রাশেদরাও এলাকাতে নাই। ভারতে অন্যায় হইছে তার বিরুদ্ধে মিছিল করতে পারলি, কিন্তু নিজের দেশের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে একটা মিছিল করতে পারলি না।
ভারতের বুদ্ধিজীবিদের সংখ্যাগরিষ্ঠের স্রোতের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে মেরুদন্ড সোজা করে দাঁড়ানোর এই প্রবল ইচ্ছাটার কারনেই নেহেরুর ভারত টিকে যাবে রাষ্ট্র হিসেবে। বরং রাষ্ট্রের বুনিয়াদকে তা আরো শক্ত ভিত্তি দিবে। একদিন সুপার পাওয়ারও হয়ে যাবে।
আমাদের এখানে উলটা। সমাজতন্ত্র বাদি বিপ্লবীরা মাথা নত করেছেন। ইসলামবাদি বিপ্লবীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি, টিপি হয়ে বসে আছেন।
আগামি ২০-৩০ বছর পরে বাংলাদেশের এই ইসলামবাদি বিপ্লবীরা তখনো এইটা বইলাই জনগনরে স্বান্তনা দিবে, এক সময়ে ভারতের মানুষ উন্মুক্ত স্থানে হাগতো। যার নিজের কোন অর্জন নাই, চিন্তার জায়গায় অসৎ, তাদের এইসব বলে নিজেরে স্বান্তনা দেয়া ছাড়া বাঁচার কোন উপায় নাই।
© Azam Khan ভাই।