হিন্দু পরম্পরা অনুযায়ী কপালে তিলক লাগানো শুভ-সাত্ত্বিক মনে করা হয়৷ হলুদ, চন্দন, সিঁদুর বা কুমকুম, যা দিয়েই তিলক লাগান বা টিপ পরুন না কেন এর মাহাত্ম্যই কিন্তু অন্যরকম৷
কপালে মাঝ বারবার তিলক লাগান অনেকেই, যেখানে আজ্ঞাচক্র থাকে৷ এটি আমাদের শরীরে উপস্থিত ৭টি চক্রের মধ্যে একটি৷ বায়োলজি অনুযায়ী, এখানে পিনিয়ল গ্ল্যান্ড থাকে৷ এই গ্ল্যান্ডকে উদ্দীপিত করলে মস্তিষ্কের মধ্যে এক অন্যধরনের প্রকাশ অনুভূতি হতে থাকে৷ এই অনুভূতি অভিজ্ঞতার আলোকে পরীক্ষিত৷ বর্তমানের বিজ্ঞানের থেকে ঋষি-মুনিদের জ্ঞান অনেক অনেক এগিয়ে ছিল বলে মনে করা হয়৷ তাঁরা জানতেন যে, এই পিনিয়ল গ্রন্থি বা গ্ল্যান্ডের উদ্দীপনায় আজ্ঞাচক্রও উদ্দীপিত হবে৷ এজন্যই ধার্মিক কর্মকাণ্ড, পূজা উপাসনা, বিভিন্ন শুভকাজে কপালে তিলক বা টিকা লাগানো হিন্দুধর্মে প্রচলিত৷
তন্ত্রসাধনায় কপালকে ইষ্টের প্রতীক বলে মনে করা হয়৷ এই তিলক লাগানোর সময় ইষ্টদেবের স্মরণ এবং শরীরের যাবতীয় চেতনাকে একস্থানে কেন্দ্রীভূত করার জন্যও তিলক লাগানো হয়ে থাকে৷ মনোবিজ্ঞান অনুযায়ী, তিলক লাগানোর মাহাত্ম্যই অন্যরকম৷ মুখমণ্ডলের কেন্দ্রে থাকে মাথা, সেখানেই দৃষ্টি যায় সবার আগে, তাই তিলক বা টিপ-এর মাধ্যমে সেই দৃষ্টিকে ধরে রাখার প্রচেষ্টাও করা হয়৷