শ্রীলংকান মুসলিমরা একটি মসজিদ নিজ হাতে ভেঙ্গে ফেলেছে। এই মসজিদ থেকেই জিহাদের ডাক দেয়া হতো। ইস্টার সান ডে’তে গির্জাতে হামলাকারীদের এই মসজিদটি মুসলিমরা ভেঙ্গে দেয়ার পর প্রতিবেশী সিংহলিজ ও তামিলদের সঙ্গে তাদের দুরত্ব কেটে গিয়ে এখন একই ভ্রাতৃত্ববোধ গড়ে উঠেছে। স্থানীয় মুসলিমরা সন্ত্রাসের আঁতুরঘর ঐ মসজিদটি ভেঙ্গে বুঝাতে চেয়েছে তারা সন্ত্রাসের পক্ষে নয়। গুটি কয়েক সন্ত্রাসীর কারণে আমরা সবাই দায়ী হতে পারি না।…
সেই দিন সমাগত যেদিন মুসলিমরা মসজিদ, মাদ্রাসা গুড়িয়ে দিবে! মোল্লামুফতিদের টেনে বের করে পিটাতে থাকবে। সেই সব সুশীল সলিমুল্লাহ-কলিমুল্লাহদের মুখে থুতু দিবে! যেদিন মুসলিমরা তাদের সন্ত্রাসী ধর্মগ্রন্থের জন্য মানুষের ঘৃণা আর অবিশ্বাসের কারণে কোথাও স্বস্তি পাবে না সেদিন মুসলিমরাই ভেঙ্গে ফেলবে ইসলামের ভিত্তিগুলো। এটাই সমাধান…।
আমেরিকার টাইম স্কয়ারে হামলা চালাতে অস্ত্র কিনতে গিয়ে ধরা পড়েছে আশিকুল আলম নামের বাংলাদেশী মুসলিম এক ছেলে। বাবা ফাস্টফুডের ব্যবসা করে ছেলেকে জন জে কলেজ অফ ক্রিমিনাল জাস্টিস – এর তৃতীয় বর্ষে পড়াশোনা করাচ্ছিলেন। আমেরিকার মত দেশে গিয়ে ছেলের মধ্যে যে মুসলিম চেতনা ও ‘কাফের ঘৃণা’ তার জন্য কি তার বাবা দায়ী নয়? আশিকুলের মুসলিম কমিউনিটি দায়ী নয়? আমেরিকার মসজিদ কেন্দ্রিক মুসলিমদের যে যোগাযোগ তারা দায়ী নয়? অস্ত্র কিনে আমেরিকান সাদা চামড়ার কাফেরদের হত্যা করতে মনে যে ঘৃণা আশিকুল রাখতেন তার উৎস এইসব মুসলিম জাতি পরিচয়ে যে কমিউনিটি প্রবাসী বাংলাদেশীরা গড়ে তুলেছে সেখানেই রয়েছে। আমেরিকা-ইউরোপে বাস করেও ছেলেমেয়েকে পাক্তা মুসলিম বানাতে চাওয়া বাবা-মায়ের দায় আছে এইসব জিহাদী কর্মকান্ডে। এখন টাইম স্কয়ারের সামনে হিজাবঅলি আকলিমা-বদরুন্নেসা আর দাড়িঅলা সলিমুল্লাহ-কলিমুল্লাহ যতই বলুক মুসলিমরা সন্ত্রাসী নয়… সন্ত্রাসের সঙ্গে মুসলিমদের কোন যোগ নেই’- তা মোটেই গ্রহণযোগ্য হবে না।
এই প্রবাসীরা একদিকে দেশে টাকা পাঠিয়ে মাদ্রাসা মসজিদ বানিয়ে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের কারখানা করে তুলছে, একইভাবে প্রবাসে তারা সভ্য দুনিয়াতে অশান্তির বিজ বুনছে। যেদিন সহ্যের সীমার ছাড়িয়ে যাবে সেদিন যে প্রতিক্রয়ার সম্মুৃুখিন এরা হবে- তার পাল্টা ব্যবস্থা নিতেই তখন শ্রীলংকান মুসলিমদের মত মসজিদ ভাঙ্গতে শুরু করবে…।
Susupto Pathok