মদিনা সনদের মুল উদ্দেশ্য!

“মদিনা সনদের মুল উদ্দেশ্য”
ডাঃ মৃনাল কান্তি দেবনাথ
“মদিনা সনদ” এ ৫২ টি ধারা আছে। অনেক পন্ডিতেরা এই সনদ কে বলেছেন মানবজাতির সর্ব প্রথম গনতান্ত্রিক সংবিধান। তারা অতি অবশ্যই কয়েকটি ভুল করেছেন। এই ৫২ টি ধারা খুব মনোযোগ দিয়ে পড়লে বোঝা যাবে এর মধ্যে অন্তর্নিহিত আসল সত্য টা কি ছিলো।

১) এটা কোনো মানব জাতির সংবিধান নয়। সমস্ত মানুষের জন্য এটি তৈরী হয়েছিলো না।
২) মক্কা থেকে প্রান ভয়ে ভীত হয়ে পালিয়ে আসা একজন বুদ্ধিমান মানুষের একটি শক্তিশালী সংঘটন তৈরী করা।
৩) সেই সংঘটনকে একটি ধর্মীয় পরিচয় দেওয়া। তার সেই ধর্মকে সংগঠিত ভাবে সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া। উদ্দেশ্য পৃথিবীতে অন্য কোনো মত থাকবে না, অন্য কোনো মতাদর্শি আর আসবেন ও না। তার কথাই শেষ কথা, কারন, তিনি যা বলেন তা সর্ব শক্তিমান স্রষ্টার নির্দেশেই বলেন, যা করেন তার ইচ্ছা মতোই করেন।
৪) এই সনদ এমন ভাবে তৈরী যাতে, সর্বকালের জন্য, যতোদিন এই সংঘটন থাকবে তিনি ও থাকবেন এর মুল নেতা, তার মৃত্যুর পর ও।
৫) যারা এই সনদ মেনে চলবে তাদের কোনো রকম অসুবিধা নেই। তারা সব পাবে, এমনকি কাউকে হত্যা করলেও মারাত্মক কোনো শাস্তির ব্যাবস্থা  নেই বিশ্বাসীদের জন্য(‘সনদে এবং তার প্রধানকে বিশ্বাসী থাকলে)।
৬) যারা এর বিরুদ্ধ বাদী হবেন তাদের জন্য নিষ্ঠুর তম শাস্তির ব্যাবস্থা আছে যদি তারা কোনো অন্যায় কাজ করে। অন্যায় কাজ না করলেও বিরুদ্ধ বাদীদের (অবিশ্বাসীদের) সঙ্গে সশস্ত্র সংগ্রাম করা ‘বিশ্বাসীদের” এক মাত্র করনীয় কাজ।
  এই মদিনা সনদ নবীকে দিলো নিরংকুশ রাজনৈতিক ক্ষমতা। তিনি হলেন একাধারে রাষ্ট্র প্রধান এবং ধর্মীয় প্রধান। তিনি জানতেন কোনো ধর্মীয় মত যদি রাজনৈতিক মদত না পায় তাহলে সেই ধর্ম প্রচার পায় না। রোমান সম্রাট কনস্টানটাইন খ্রীষ্টান না হলে খ্রীষ্ট ধর্ম যিশুর সঙ্গে বিলুপ্ত হয়ে যেতো। সম্রাট অশোক বৌদ্ধ না হলে গৌতম বুদ্ধের সঙ্গে ওই ধর্ম ও শেষ হয়ে যেতো। নবী তাই, তার ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি ঢুকিয়ে দিলেন। যিনি ধর্মীয় প্রধান তিনিই রাষ্ট্র প্রধান। নবীর পর তাই আমরা পাই “ইমাম”।
নবী পরবর্তি ইমামেরাই আরব দেশ থেকে ‘ইসলাম ছড়িয়ে দিলেন আটলান্টিক থেকে ভারত সাগর, ইউরোপ, আফ্রিকা সর্বত্র। তাদের এক হাতে নবীর কথিত বানী, অন্য হাতে উন্মুক্ত তরবারী।
********