গৌরী লঙ্কেশ নিয়ে লক্ষ লক্ষ পোষ্ট ফেসবুকে, ট্যুইটারে ঘুরছে…..

গৌরী লঙ্কেশ নিয়ে লক্ষ লক্ষ পোষ্ট ফেসবুকে, ট্যুইটারে ঘুরছে…..
তাই গৌরী লঙ্কেশ কে নিয়ে আলোচনাও বাড়ছে ।

বিশ্বাস করুন এই প্রথম আমি গৌরী লঙ্কেশের নাম শুনলাম, এর আগে জানতাম না গৌরী লঙ্কেশ বলে কোনো বিকৃত মস্তিষ্ক বামপন্থী ভারতবর্ষে বসবাস করে ।

কানাইয়া কুমারের দোশদ্রোহীতার সমালোচনা কপতে করতে কানাইয়া কে হিরো বানিয়ে তুললাম আমরা…
উমর খালিদকে খিস্তি দিতে দিতে হিরো বানালাম আমরা….
শ্রীজাত, মন্দাক্রান্তাদের কবি বানালাম আমরা, গোরু খেকো বিকাশ থেকে শুরু করে যত অসামাজিক ব্যাক্তি আছেন তাদের হিরো আমরা বানিয়েছি একথা অস্বীকার করা যায় না…..

২ বছর কেটে গেলেও আজও রোহিত ভেমুলার মৃত্যুকে একটা ইস্যু করে রেখেছে সেকুলাররা, যেন চক্রব্যূহ তৈরী হয়েছে রোহিত ভেমুলা, আকলাখ আহমেদ, জুনেদরা, হাজার চেষ্টা করেও থামাতে পারিনি সেকুলারদের….

কারন একটাই আমরা অতিমাত্রায় ফুটেজ দিয়ে দেশদ্রোহী, বিকৃত মস্তিষ্কের লোকেদের প্রমোট করে ফেলি সেকুলার মুখ হিসাবে ।

কেরলে একের পর এক সংয়সেবক খুন, ডাক্তার নারাং কে খুন, আয়ুব পন্ডিতকে খুন, ইন্দ্রজিৎ দত্ত, রোহিত তাঁতী, কার্তিক ঘোষ, টোটন দাস খুব সব কিছু ভুলে আজ আমরা গৌরী লঙ্কেশ কে নিয়ে পড়ে আছি…..

সমালোচনা করতে করতে গৌরী লঙ্কেশ আজ রাস্তাঘাটে আলোচনাতে পরিনত হয়েছে, যদি কেউ আমরা গৌরী লঙ্কেশের খুন কে পাত্তা না দিতাম তাহলে হয়তো ভারতবর্ষের গুটি কয়েক সেকুলার ছাড়া কেউ জানত না গৌরী লঙ্কেশ খায় না মাথায় দেয়….

আচ্ছা, আপনারা কি দেখেছেন কোনো বামপন্থীকে টোটন দাস নিয়ে পোষ্ট করতে?  নাকি দেখেছেন বাদুড়িয়া, ধূলাগড়, মল্লারপুর, কালিয়াচকের ঘটনা নিয়ে পোষ্ট দিতে?
বামপন্থীরা সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা কিংবা কোনো হিন্দুর মৃত্যুতে চুপ থাকে একটাই কারনে কারন সমালোচনা করলে আলোচনার জায়গা তৈরীর সম্ভাবনা হতে পারে ।

সবাইকে অনুরোধ গৌরী লঙ্কেশকে নিয়ে মাথাব্যথা না করে টোটন দাসকে নিয়ে ভাবুন, কারন রক্তে যদি সেকুলার নামক ভাইরাস থাকে সেক্ষেত্রে তাকে বুঝিয়ে আপনি চোখ খোলাতে পারবেন না..

গুজরাটে ভোট আসছে তাই গৌরী লঙ্কেশ ইস্যু করে পদক ফেরানো শুরু হবে, কেউ দেশ ছাড়ার কথা বলবে এটা সব মানুষের জানা আছে নিশ্চয়…

গৌরী লঙ্কেশকে হত্যা করার মূল পান্ডা দেখবেন বামপন্থী বিচার ধারার লোকেই বেরোবে, আর কর্নাটকে কংগ্রেসের সরকার তাই যদি কোনো হিন্দু সংগঠনের কর্মী লঙ্কেশকে হত্যা করেই থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে হিন্দু সংগঠন, মোদীর মাথা চিবিয়ে লাভ নেই আপনারা বরং রাহুল গাঁধী, সোনিয়া গান্ধীকে চেপে ধরুন যাতে লঙ্কেশ হত্যাকারীর অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয় ।