পাকিস্তানের নিরাপত্তা কেমন সেটা বাংলাদেশকে পাকিস্তানে গিয়ে প্রমাণ করত বলা হয়েছে। এই দম্ভোক্তি করেছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড প্রধান এহসান মানি।
বাংলাদেশকে যেটা করতে বলা হয়েছে আর কি, যেমন ধরুন, ক্রিকেটারদের উপর ইসলামী জঙ্গিদের হামলা হলে ধরে নিতে হবে নিরাপত্তা ভালো না। মানে পাকিস্তান নিরাপদ কিনা নিজে সেটা বুঝে নাও। আর হামলা না হলে ধরে নিতে হবে পরিস্থিতি ভালো। আর এটা পরীক্ষা নিতে বাংলাদেশকে অবশ্যই পাকিস্তান সফর করতে হবে। না করলে খবর আছে বলে শাঁসানো হয়েছে পাকিস্তান কোচ ক্যাপ্টেন ও বোর্ড প্রধান তরফ থেকে।
আইসিসিতে নাকি ভারত ইংল্যান্ড অস্ট্রেলিয়া মোড়লগিরি করে। তবে পাকিস্তানের মত গুন্ডামী আচরণ কি ঐ তিন তরফ থেকে করা হয়েছিল? সদ্য শ্রীলঙ্কা পাকিস্তান সফর করে এসে তাদের অভিজ্ঞতা জানিয়েছে। শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের জেলখানার অভিজ্ঞতা হয়েছে। এরকম কন্ডিশনে খেলা সম্ভব নয়। তাই বাংলাদেশ প্রস্তাব দিয়েছে দমবন্ধ করা ২ মাসের সফর সম্ভব নয়। টিটুয়েন্টি খেলে টেস্ট নিরপেক্ষ কোন ভেন্যুতে খেলা হোক। এতই চটেছে পাকিস্তান। তারা বলছে সারা পৃথিবীতে এখন পরিস্থিতি খারাপ। ভারতে আন্দোলন চলছে। নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশ সফরের সময় হামলা হয়েছিল তাই বলে কি ওসব দেশে ক্রিকেট বন্ধ আছে …।
শুধু পাকিস্তান না, কোন মুসলমানকেই বিশ্ব নিরাপত্তা আর মুসলিমদের নিরাপত্তা সমস্যা যে এক না এটা বুঝানো যায় না। মুসলিম দেশের বাইরে খেলোয়াড়রা স্বাধীনভাবে তাদের বেস্টনির মধ্যে ঘোরাফেরা করতে পারে। শপিং বিনোদন চলাফেরা ভিআইপি সিকিউরিটির মধ্যেই সম্ভব হয়। কিন্তু পাকিস্তানে সেটা সম্ভব নয়। হোটেলে তিন স্তর নিরাপত্তা টু মাঠে তিন স্তর নিরাপত্তার মাঝে আর কিছু নেই। পাকিস্তানের একজন মন্ত্রী ইসলামী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কথা বলায় হুমকি পাওয়ায় তিনি বিশেষ সিকিউরিটি নেন। কিন্তু সেই সিকিউরিটি টিমে কোন মুসলিম পুলিশ রাখেননি। কারণ তিনি নিশ্চিত হতে পারবেন না কে জঙ্গি আর কে মডারেট মাইন্ডের। এটা একটা পাতলা পর্দার ফারাক। মুসলিম দেশের জঙ্গি বিরোধী নিরাপত্তায় সংখ্যার অনুপাতে পুলিশ বা সেনা সদস্য ৯৯ ভাগ মুসলিম হবে এটাই স্বাভাবিক। কাজেই বাহিনীর কে যে মনে মনে জঙ্গি সেটা মেপে দেখার কোন মেশিন যেহেতু বের হয়নি তাই নিরাপত্তা দেয়াল নিয়ে সন্দেহ থাকবেই। সম্প্রতি গুলশান হামলার জঙ্গিদের মাথায় আইএসের টুপি সাপ্লাই দিয়েছিল বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর নাকের ডগায়। ধামাচাপা দেয়া এই ঘটনার জন্য কোন বাহিনী দায়ী সেটা গোপনই থেকে গিয়েছে।
নিউজিল্যান্ড ফ্রান্স জার্মানি সুইডেন হল্যান্ড ভারত শ্রীলঙ্কায় ঘটা জঙ্গি ঘটনার পরও তাই বিশ্ববাসী নিরাপত্তা বেস্টনি নিয়ে আশ্বস্ত হয়। বেড়া যে খেত খাবে না এটা সবাই নিশ্চিত। বাংলাদেশ নিজেও এটা বুঝে। তাই দাড়িঅলা পাকিস্তানি কমান্ড বাহিনীর সদস্য দেখে আশ্বস্ত হতে পারে না। কে বলবে এদের মাঝে লাদেনের হার্ডকোর ফ্যান কোন জন?