এটি কেবল একটি লেখাই নয় এটি এক সন্তানহারা মায়ের আর্তনাদ!!!

এটি কেবল একটি লেখাই নয় এটি এক সন্তানহারা মায়ের আর্তনাদ!!!! প্রেম নামক ফাঁদ লাভজিহাদে নিজের একমাত্র কন্যা অনুজাকে হারান কেরলের এই অসহায় মা!!!!
অনুজার মুসলিম প্রেমিক সেলিম একজন বিবাহিত, তার বাচ্চা আছে। তার সেলিম নামটাও ভূয়া! তার সত্যিকার নাম খলিল!!! এর থেকে বড় পরিচয় সে খুনী! এর আগে সে একজন হিন্দু নেতাকে হত্যাও করেছে !!!!!
এবার সে অনুজাকেও হত্যা করলো !!!!
এভাবেই আমাদের অনুজারা প্রেম নামক লাভজিহাদের ফাঁদে পড়ে হারাচ্ছে সর্বস্ব !!!!
অনুজার মায়েরাও সন্তান হারিয়ে মিডিয়ার সামনে আহাজারি ছাড়া আর কিছুই করার নেই !!!!
কিন্তু অনুজার মায়েরা কি তাদের মেয়েদের লাভজিহাদ সম্পর্কে, এর ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন করেছিলেন ?? সনাতন হিন্দু ধর্মীয় শিক্ষা দিয়েছিলেন ?? নাকি অনুজাদের জ্ঞান কেবল পুঁথিগত শিক্ষা আর নাচ,গান শেখার স্কুল পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল ????
ওহে অভিভাবকগণ আপনার ঘরের আদরের সন্তানটি কে কি লাভ জিহাদ সম্পর্কে সচেতন করেছেন?? লাভ জিহাদের ভয়াবহতা সম্পর্কে জানে কি আপনার আদরের মেয়েটি??
যদি এর উত্তর “না” হয়, তবে কে বলতে পারে পরবর্তী অনুজার মা শৈলজা আপনি নন তো??
উল্লেখ্য,
লাভ জিহাদ শব্দটি আপনার আমার কাছে পরিচিত মনে হলেও প্রত্যন্ত অঞ্চল এমনকি কখনো আধুনিক শহরে সমাজের হিন্দুরা পর্যন্ত এগুলো সম্পর্কে অজ্ঞ! এতে সাধারণত হিন্দু তরুণ তরুণীদের টার্গেট করা হয়। প্রেম নামক ফাঁদে ফেলা হয় প্রথমে!ইয়ো বয়,হট গার্ল আর ধন্যাঢ্য দেখে লোভে এর ফাঁদে পড়ে অনেক হিন্দু ছেলে মেয়ে! সকল ধর্ম সমান, আমরা সবাই এক, সবাই মানুষ এমন মানবতার বুলি দিয়ে পাখিকে খাঁচায় পুরা হয়।এরপর মেয়েদের ক্ষেত্রে প্রেমের অযুহাতে চলে রাতযাপন, যৌনতা।পরে ভিডিও ফাঁসের ভয় দেখিয়ে করা হয় ধর্মান্তর! এরপর বিয়ে না করেই “খাওয়া মাল” হিসেবে আস্তাকুঁড়ে ফেলে দেয়া হয়।মেয়েটির স্থান হয় নিষিদ্ধ পল্লীতে।আবার কখনো বা বিয়ে করলেও পারিবারিক /শারীরিক /মানসিকভাবে চলে নির্মম নির্যাতন!! এতে ওই ধর্মান্তরিতটির পরিণতি আরো ভয়াবহ হয়। কাউকে বলতেও পারে না, আর নির্মমতা সইতেও পারে না। অনেককে বাইরে থেকে সুখী মনে হলেও ভেতরে ভেতরে এরা নির্মমতা থেকে বাঁচতে নিজের মৃত্যুর কামনা করে।
এরকম হাজারো হিন্দু মেয়ে আজ নিঃস্ব, অসহায় হয়ে নিষিদ্ধ পাড়ার বাসিন্দা হয়, আবার কখনো পরিবারে হয় নির্মমতার শিকার। কেবল মেয়েরাই নয় অনেক ছেলেও এই ফাঁদে পড়ে নিজেদের ক্রীতদাস বানিয়ে ফেলছে! ধর্মান্তরিত চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসও মিডিয়ার সামনে আহাজারি না করলে শাকিব খানের ঔরসজাত বাচ্চা নিয়ে রক্ষিতার মত জীবন কাটাতে হয়। সম্প্রীতি মানিকগঞ্জে এক হিন্দু মেয়েও প্রেমের কারণে মান ইজ্জত সব তুলে দেয় লাভ জিহাদির হাতে।পরিণামে ভিডিও ফাঁসের (কিসের ভিডিও তা না বুঝলে আপনি এখনো বাচ্চা) হুমকিতে ধর্মান্তরিত করে লাপাত্তা হয়।এখন আত্মহত্যা ছাড়া আর কোন পথ নেই মেয়েটির!
*আমরা যা করি-
কোন হিন্দু ছেলে /মেয়ে প্রেম নামক এই ফাঁদে পড়ে নষ্ট, পথভ্রষ্ট হলে আমরা তাদেরকে কেবল গালাগালি দিয়ে দায়িত্ব শেষ করি! যে যত বেশী গালি দেয় সে নিজেক ততবেশী দায়িত্ববান মনে করে! আবার অনেকে ওই ধর্মান্তরিতের পরিবার নিয়ে খিল্লি উড়ায়!কিন্তু ওদের পরিণতি দেখে নিজে সচেতন হয় না, কখনো নিজের পরিবারের তরুণ,তরুণীদের এই ফাঁদ ও এর ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন করিনা! ফলে একের পর এক হিন্দু এই ফাঁদে পড়ে পথভ্রষ্ট হয়ে ধর্মান্তরিত হয়। আপনি নিজে পরীক্ষা করে দেখে নিতে পারেন আপনার পরিবারের, সমাজের কতগুলো হিন্দু ছেলেমেয়ে এই ফাঁদও এর ভয়াবহতা সম্পর্কে জানে!! আমি হলফ করে বলতে পারি কিছু হিন্দু ছেলে এ সম্পর্কে জানলেও অধিকাংশ হিন্দু মেয়ে এগুলো সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ।
♦আমাদের যা করা উচিত-
*হিন্দু সংগঠনের উচিত
১।সকল হিন্দু ছেলেমেয়েদের এগুলো সম্পর্কে সচেতন করা, এর ভয়বহতা জানানো।
২।হিন্দুদের নিয়ে বিশেষ করে হিন্দু মেয়ে ও তাদের অভিভাবকদের নিয়ে সভা করা, তাদের সচেতন করা।
৩।হিন্দু ছেলেমেয়েদের স্বধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান দেওয়া।
*হিন্দু পেজ ও গ্রুপের উচিত –
১।এগুলো সম্পর্কে পোস্ট দেওয়া।
২।কোন হিন্দু এই ফাঁদে পড়ে সর্বস্ব হারালে এগুলো প্রচার করা, এটি সম্পর্কে সচেতন করা আর পরিত্রাণের উপায়সহ পোস্ট করা।
*আমাদের যা করা উচিত
১।এক্ষেত্রে হিন্দু সংগঠন/পেজ/গ্রুপ যতটাই ভূমিকা রাখুক না কেন সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখি আমরা সাধারণ হিন্দুরা।কারণ আমাদের পরিবারের,ঘরের মেয়েদের আমাদের চেয়ে আর কেউ ভালোভাবে বুঝাতে/সচেতন করতে পারবে না। তাই আমাদের উচিত আমাদের পরিবার/আত্মীয়স্বজন /সমাজের সকল হিন্দু মেয়ে, তরুণ, কিশোরীদের এই ভয়াবহ প্রেম নামক ফাঁদ, এর ভয়াবহতা আর এর পরিণতি নিয়ে সচেতন করা।পারিবারিক আলোচনায় এগুলো নিয়ে আলোচনা করা।
২।পরিবারের বাচ্চাদের সনাতন ধর্মীয় জ্ঞান দিয়ে বড় করা যাতে কোন হিন্দু ছেলেমেয়ে এই প্রেম নামক ফাঁদে পড়ে সর্বস্ব হারিয়ে পরিবার/সমাজের কলঙ্ক না হয়।
এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জবাব,
আমার এতো লম্বা লেখা পড়ে কিছু হিন্দু বুদ্ধিজীবী জন্মলাভ করবে যারা বলবে,”দাদা,এগুলো করে কি লাভ?” “কোন লাভ নেই দাদা!”
তাদের উদ্দেশ্যে এই লেখাটুকু,
“আমাদের হিন্দু সমাজে এমনও কিছু লোক থাকে যারা নিজেরা তো কিছুই করে বা উল্টো অন্য কেউ কিছু করতে চাইলে তাতেও বাধা দেবে, অনুৎসাহিত করবে। এরা এই সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত ! এরা কাজের আগেই লাভ লোকসান নিয়ে হিসেব কষতে কষতে কাজ আর করা হয় না। আরে দাদা সবকিছুকে কেন ব্যবসা হিসেবে দেখছেন?কখনো কি কোন কাজ করেছেন, করে দেখুন এরপর বলতে আসবেন। আর নিজে কিছু করতে না পারেন অন্য কেউ কিছু করতে চাইলে কেন বাধা দিচ্ছেন? নাকি আপনি অসুরকূলের দালাল?”
সবশেষ সকলকে লেখাটুকু পড়ার জন্য আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
এখন এটাকে পরামর্শ বা অনুরোধ যা হিসেবেই দেখুন না কেন আসুন কিছু একটা করি।
নিজেদের জন্য, নিজেদের পরিবারের জন্য সমাজের জন্য কিছু একটা করি।
নিজের ক্ষুদ্রতর স্বার্থ ত্যাগ করে বৃহত্তর হিন্দু স্বার্থে কাজ করি।
হিন্দু সমাজ বাঁচলে বাঁচবে হিন্দু। কোথাও হিন্দু নির্যাতিত হলে প্রতিবাদ করুন,সাধ্যমত নির্যাতিতের পাশে দাঁড়ান আর কিছু না পারুন তো অন্তত শেয়ার করে প্রতিবাদ করুন যাতে অন্যরা জানে। তাতে আপনি সাহায্যে এগিয়ে না আসলেও অন্যরা আসবে।

লেখাঃ একজন সাধারণ হিন্দু
সংগৃহীত