লোহিত অশ্রুর অভিমান (the blood tears of our Mother )
:::::::::::::::::::::::::://////:::::::::::::::::::::::
রাজনীতি র খোলা তলোয়ারে ,
খন্ড বিখন্ডিত হয়েছি আমি ,
সাম্প্রদায়িকতার রেলে কাটা পরা মানচিত্র , দিয়েছে আমাকে …..
১৯৪৬ এর দাঙ্গায় , কালো হয়ে যাওয়া..
রক্তে স্বাধীনতা র উর্বর ভূমি ৷
.
আমি দেখেছি ,
১৭৭৬ এর দূর্ভিক্ষের , পচা গলা শত শত জীবন্ত লাশ ,
আমি দেখছি, বর্ষবরণের রাতে ….
ধর্মতলা র মোরের বাঁধ ভাঙ্গা উল্লাস ৷
.
ওরা আমার কথা কেউ ভাবেনি !!
সবাই এসেছিল আমায় ভোগ করতে ,
আমার দার্জিলিং থেকে সুন্দর বন …..
ইছামতী থেকে বেলপাহারীর ক্ষুধার্ত শিশুর ক্রন্দন ……
ওরা সব দখল করল ,
ক্ষমতার লালসায় , অহংকারের উর্ধ্ব সীমায় ,
আমার চাওয়া – পাওয়া গুলো কে কুরে কুরে খেলো ৷
.
তারা তো ছিল বিদেশ মাটির জীব ,
কিন্তু ! তোরা তো আমার আপন !!
তাও তোরা আমায় বুঝলি না !!!
ভোগ – বিলাসে মত্ত হয়ে একটি বার মায়ের স্নেহ খুঁজলি না ??
.
পলাশির আমবাগানে ,
যেদিন আমার সম্মান হানী ঘটলো ,
ক্লাইভের শক্ত শেকল পরে ……
ইচ্ছা গুলো আমার পরাধীনতা র পথে হাঁটলো ………….
সেই দিন আমি কেঁদে ছিলাম ,
ভেবেছিলাম , ওরা তো অপর লোক ,
একদিন নিজের মানুষরা , দেবে ঠিক আমার কষ্টের দাম ৷
কিন্তু তোরা আমার কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিলি ,
দেখালি যেদিন মরিচঝাঁপি, ইসলামপুর আর নন্দিগ্রাম ৷
.
শত শত শহীদের বুকে ঝাঁঝড়া হওয়া বুলেট , আমায় বলেছিল ,
একদিন ঠিক মোছাবো মা , তোমার চোখের আঁশু…..
স্বাধীনতার ৭০ বছর পরও ,
পিঁপড়ের ডিম খেয়ে দিন কাটায় ,
শালবনির ক্ষুধার্ত শিশু ৷
.
তোরা আন্দোলন ই করলি শুধু ,
আমার চোখের জল মোছালি কই ??
কামদুনীর রক্ত মাখা মেয়ে টা
বাঁধলো যখন , সিঙ্গুরের পোড়া তাপসি মালিকের সাথে শৈ (বান্ধবী ) ৷
.
তোরা সব শিক্ষিত হয়েছিস ,
শিক্ষ্যা কে আপন অধিকারে নিয়েছিস !
তবুও শিক্ষ্যা চাওয়া আমার ওই অবুঝ পাগলটাকে ,
বই এর বদল বুলেট দিয়েছিস !!
.
আমি ততবার কাঁদি …..
যতবার , ৮ বছরে পাগলা ভোলা খিঁদের জ্বালায় কাঁদে ৷
আমি ততবার ই আঁতকে উঠি ,
যতবার , আমার এই সমাজ ,
ধর্ষনের ঐ আগুন জ্বেলে , বুলেটের ভাত রাঁধে ৷
.
আমি স্তব্ধ , আমি নির্বিকার….
আমার প্রতি তোদের ভালোবাসা দেখার পরে ৷
আমি তোদের ধাত্রীমাতা ‘ পশ্চিমবঙ্গ ‘ ..
কাঁদতে আমি ভুলে গেছি …..
এখন চোখ দিয়ে শুধু রক্ত ঝরে ৷
(অগ্নিশ্বর)