ব্রহ্মগুপ্ত (সংস্কৃত: ब्रह्मगुप्त; শুনুন (সাহায্য·তথ্য)) (খ্রীষ্টপূর্ব ৬৬৫ – ৫৯৮) ছিলেন একজন ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও গণিতজ্ঞ, জ্যোতির্বিজ্ঞানের উপর যার কাজে উল্লেখযোগ্য গাণিতিক অবদান রয়েছে, যেমন চতুর্ভুজের ক্ষেত্রফল এবং কিছু বিশেষ ধরণের ডায়োফ্যান্টাইন সমীকরণের সমাধান।
সম্ভবতঃ তাঁর কাজেই প্রথম শূন্য ও ঋনাত্মক সংখ্যার নিয়মিত ব্যবহার ঘটে। ব্রহ্মগুপ্ত হর্ষবর্ধনের রাজত্বকালে উজ্জ্বয়িনীর জ্যোতিষ্ক পরিদর্শনকেন্দ্রের অধ্যক্ষ ছিলেন। গণিত ও জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে তাঁর লেখাগুলির মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হল “ব্রহ্মস্ফুট সিদ্ধান্ত” (রচনাকাল আনুমানিক ৬২৮ খ্রিষ্টাব্দ)।
সম্ভবতঃ তাঁর কাজেই প্রথম শূন্য ও ঋনাত্মক সংখ্যার নিয়মিত ব্যবহার ঘটে। ব্রহ্মগুপ্ত হর্ষবর্ধনের রাজত্বকালে উজ্জ্বয়িনীর জ্যোতিষ্ক পরিদর্শনকেন্দ্রের অধ্যক্ষ ছিলেন। গণিত ও জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে তাঁর লেখাগুলির মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হল “ব্রহ্মস্ফুট সিদ্ধান্ত” (রচনাকাল আনুমানিক ৬২৮ খ্রিষ্টাব্দ)।
আরব দর্শনের উপর প্রভাব
আরব দুনিয়া ভারতের জ্যোতির্বিজ্ঞানের সঙ্গে প্রথম পরিচিত হয় “ব্রহ্মস্ফুট সিদ্ধান্তের” মাধ্যমে। আনুমানিক ৭৭২ খ্রিস্টাব্দে কঙ্ক নামে উজ্জ্বয়িনীর এক পণ্ডিত বাগদাদে খালিফা আল মনসুরের দরবারে একটি “ব্রহ্মস্ফুট সিদ্ধান্ত” নিয়ে যান। খালিফার অনুরোধে আল ফাজারি কঙ্কের সাহায্যে তর্জমা করে আরবি ভাষায় অনুবাদ করেন ও নাম দেন বইটিকে “জিজ-আল সিন্ধিন্দ” (সিন্ধিন্দ =সিদ্ধান্ত)। পরে আল খোয়ারিজমি “আল-কিতাব আল-মুখতাসার ফি হিসাব আল-জাবর ওয়া আল-মুকাবালা” (আরবি الكتاب المختصر في حساب الجبر والمقابلة অ্যাল্কিত্যাব্ অ্যাল্মুখ্তাস্বার্ ফি হ্বিস্যাব্ ইল্জেব্র্ ওয়েল্মুক্বাবালা) লেখবার সময় এই বইটির (জিজ আল সিন্ধিন্দ) ব্যবহার করেন [১]।