মুসলিম বর্ণব্যবস্থা
মুসলমানদের মধ্যে ৪টি প্রধান জনজাতি হল- শেখ, সৈয়দ, মোগল এবং পাঠান। তবে মুসলমানরা সকলকে দুইভাগে ভাগ করে। ক) আসরফ বা শরফ, খ) আজলফ।
“আসরফ” পদটির অর্থ হল “অভিজাত”। বিদেশাগত মুসলমান ও তাঁদের বংশধর এবং উচ্চবর্ণের ধর্মান্তরিত হিন্দুরা এই শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত। শ্রমজীবি সহ অন্যসকল মুসলমান ও নিম্নবর্ণের ধর্মান্তরিত হিন্দুরা “আজলফ” নামে পরিচিত। পদটি অবজ্ঞাসূচক-অর্থ হল- ঘৃণ্য, দুষ্ট, দীন, দুঃখী, পাজি। তাঁদের কামিনা ও ইতর নামেও সম্বোধন করা হয়। কোথাও কোথাও তৃতীয় একটি শ্রেণীর মুসলমানও আছে। তাঁদের নাম আরজল বা নিম্নতম শ্রেণী। অন্য মুসলমান এদের ছোঁয়া এড়িয়ে চলে। মসজিদে এদের প্রবেশ নিষেধ; মুসলিম কবরখানায় এদের স্থান হয় না।
১। আসরফ- অভিজাত শ্রেণীর মুসলমান।
ক) সৈয়দ, খ) শেখ, গ) পাঠান, ঘ) মোগল, ঙ) মালিক, চ) মীর্জা।
২। আজলফ- নিম্নশ্রেণীর মুসলমান
ক) চাষী- যারা পূর্বে হিন্দু ছিল।
খ) দর্জি, জোলা, ফকির, র্যাঙ্গরেজ (Rangrez)।
গ) বারহি, ভাটিয়ারা, ধুনিয়া ইত্যাদি।
ঘ) আবদল, বাকো, বেদিয়া, ধোবি ইত্যাদি।
৩। আরজল অথবা দলিত শ্রেণী
ক) ভানার, হালালখোর, হিজরা, মেথর ইত্যাদি।
দুই শ্রেনীর মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ। যেমন একজন ধুমা (Dhuma) । সে ধুমা ব্যাতীত অন্য কাউকে বিবাহ করতে পারে না।