কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ নয় প্রমাণ করার উদ্দেশ্যে তথাকথিত বামপন্থিরা জুনাগড়ের গল্পটি শুনিয়ে থাকেন।

কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ নয় প্রমাণ করার উদ্দেশ্যে তথাকথিত বামপন্থিরা জুনাগড়ের গল্পটি শুনিয়ে থাকেন। কি সেই গল্প?  স্বাধীনোত্তর ভারতেও কিছু “স্বাধীন ” রাজ্য/ অঞ্চল থেকে গিয়েছিল যারা ভারতের অঙ্গীভূত হতে চায়নি। এমনই দুটি রাজ্য হল কাশ্মীর এবং জুনাগড়। জুনাগড়ের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনতা ছিল হিন্দু ধর্মাবলম্বী।  কিন্তু শাসক ছিলেন একজন মুসলিম। তিনি পাকিস্তানে যোগ দেওয়ার পক্ষপাতী ছিলেন। কিন্তু জনগণ যেহেতু বেশির ভাগ হিন্দু,  তাঁরা চাইলেন ভারতের অংশ হতে। মুসলিম শাসকের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তাঁরা রীতিমত বিদ্রোহ করে বসলেন।  জনগণের মতই চূড়ান্ত হওয়া উচিত, এই যুক্তিতে গণভোটের মাধ্যমে জুনাগড়কে ভারতে যোগ দিতে বাধ্য করা হল। কাশ্মীরে ছিলেন হিন্দু রাজা হরি সিংহ। কিন্তু জনগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ মুসলমান। হরি সিংহ প্রথমে “স্বাধীন” রাজা হিসেবেই থেকে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পাকিস্তানী হানাদারদের আক্রমণে আশংকিত হরি সিংহ জহরলাল নেহেরুর সাহায্য প্রার্থনা করেন।  ভারত সুযোগের সদব্যহার করে এবং কাশ্মীরকে ভারতের অঙ্গীভূত করেন ( যদিও সমগ্র কাশ্মীর নয়)৷  অতি সংক্ষেপে ইতিহাসটি এমন। বামপন্থিরা এবার আপনাকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেবে — জুনাগড়ের বেলায় জনগণ যেহেতু সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু ছিল, তাই তাকে ভারতে যুক্ত করা হল, কিন্তু পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনতা মুসলমান হওয়া সত্ত্বেও সেটি কেন পাকিস্তানে যোগ দিতে পারল না?  গণভোট কেন নেওয়া হল না?  খুব যুক্তিযুক্ত প্রশ্ন।  আপনিও অবশই মন দিয়ে শুনবেন।  যুক্তি তর্ক খুব প্রিয় বস্তু৷ আমি তো দারুণ ভালবাসি৷ এবার আপনি পালটা প্রশ্ন করুন — কাশ্মীরের জনগণ তো রাজা লালাদিত্য মুক্তিপদের সময়ও পুরোপুরি হিন্দু ছিল, গজনীর সুলতান নৃশংস রক্তপিশাচ মামুদ যখন রাজা জয়পালকে পরাজিত করে, তখনও কাশ্মীরের জনতা হিন্দুই ছিলেন, তাঁর সন্তান আনন্দপাল যখন বীরগতি লাভ করেন তখনও কাশ্মীরের জনগণ হিন্দুই ছিলেন, এমনকি লোহারা রাজবংশের শাসনকালেও কাশ্মীরের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনতা হিন্দুই ছিলেন। তবে বিংশ শতাব্দীর কাশ্মীর কিভাবে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে গেল? 

প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়ার পর আপনার প্রিয় কমরেডটির দিকে আর একবার তাকিয়ে দেখুন। অপেক্ষা করুন কি উত্তর দেন৷ নইলে হতাশ হওয়ার কারণ নেই। উত্তর আমিই দেব৷ সেই পৈশাচিক গণহত্যা আর অমানবিক ধর্মান্তকরণের কাহিনী।  তবে পূজার পর।

আজ শুভ মহাষষ্ঠীর শুভেচ্ছা জানাই। আসুন দেবী আরাধনায় সামিল হই। দুর্গাপূজা নিছক আপনার আমার ধর্মপালনের উৎসব নয়। একুশ শতকে তার প্রয়োজনও নেই। দুর্গাপূজা বাঙালীর সংস্কৃতি, বাঙালীর আইডেন্টিটি।  আইডেন্টিটি ব্যতীত কোনো জাতীই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেনা।  আসুন সশ্রদ্ধচিত্তে শক্তি আরাধনায় নিয়োজিত হই।  এই পবিত্র বোধন আমাদের মেরুদণ্ডকে শোধন করুক।