নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা ! বাংলাদেশের মুসলমদের পূর্ব পুরুষ যখন মূর্তি পূঁজা করতো ঠিক সেই সময়ে ইখতেয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বিন বখতেয়ার খলজি নামক এক মুসলিম বীর কাপুরুষের মতো প্রাশ্চ্যের এই ঐতিহাসিক বিশ্ববিদ্যালয় আগুন লাগিয়ে ধ্বংস করে দেয় ! আমি সেই ধ্বংসস্তূপের উপর দাঁড়িয়ে সব নিজ চোখে দেখেছি ! যতটুকু শুনেছি
বিখ্যাত মৌর্য সম্রাট অশোক খৃষ্টপূর্ব ৩০০তে নালন্দাতে প্রথম বৌদ্ধ এবং হিন্দু উভয়েরর উপাসনালয় গড়েন যা পরে বৌদ্ধ গবেষণার ভিত গড়ে, যদিও এ নিয়ে মতবিরোধ আছে। তবে এব্যাপারে বেশীরভাগ ঐতিহাসিকই একমত যে রাজা কুমারগুপ্তের সময়ে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের দ্বারা মাগ্ধাতে ৪২৭ খৃষ্টাব্দে নালন্দা প্রতিষ্ঠা পায়। গুপ্ত রাজারা সবসময়ই বৌদ্ধদের প্রতি ছিলেন উদার ও এর পৃষ্ঠপোষক। গুপ্ত বংশের রাজা নরসীমাগুপ্ত একসময় রাজ্য ছেড়ে ভিক্ষুও হন।
নালন্দাকে নিয়ে গর্ব করার অনেক কিছুই ছিল। সেই সময়ে ওখানে ছিল ছাত্রহল, শ্রেণীকক্ষ, নয়নাভিরাম খাল ও আরো অনেক সুবিধাদী। ২০০০ শিক্ষক ও ১০,০০০ এর মত ছাত্র ছিল। তবে এ সংখ্যা নিয়ে মতবিরোধ আছে। সারাবিশ্ব থেকেই ছাত্ররা নালন্দাড়তে আসত, তার মধ্যে ছিল কোরিয়া, জাপান, চীন, তিব্বত, ইন্দোনেশিয়া, পার্শিয়া এবং তুরস্ক। নালন্দা মূলত বৌদ্ধ ধর্মের গবেষণা ও ধর্মচর্চার জন্য নির্মিত হলেও ওখানে পড়ানো হতো হিন্দু দর্শন, বেদ, ধর্মতত্ত্ব, যুক্তিবিদ্যা, ব্যকরণ, ভাষাতত্ত্ব, চিকিৎসাবিজ্ঞান ও বিজ্ঞানের আরো অনেক !
বাংলাদেশ থেকে বিহারের দূরত্ব বেশি না , কলকাতা থেকে আমরা গাড়ি ড্রাইভ করে গিয়েছি ! নালন্দাতে যখন চিকিৎসা বিজ্ঞানের শিক্ষা দেয়া হতো ঠিক সেই সময়ে বাংলাদেশে সুফিউজমের প্রচলন ছিল , তারা সূরা কলমা পানিপোড়া দিয়ে চিকিৎসা করতো , যে প্রচলন এবং চিকিৎসা আজও অনেক বাঙালি প্রচন্ডভাবে বিশ্বাস করে ! হ