এইসব মেয়েদের ভাব এমন "আগুনে হাত পুড়িয়েই দেখতে হবে, আসলেই আগুনে হাত পুড়ে কি না?"

কাল আমি একটি বৌভাতের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। যে ব্যক্তির ছেলের বৌয়ের বৌভাতের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম উনার বোন ধর্মান্তরিত হয়ে মারা গেছেন। ঐ ব্যক্তির একমাত্র মেয়েও বর্তমানে ধর্মান্তরিত মুসলিম। হিন্দু মেয়েদের ধর্মান্তরিত হওয়ার ইতিহাস নতুন কিছু না। মাঝে মাঝে আমার মনে হয় জহির রায়হান স্যার বেঁচে থাকলে তিনি আবার একটি “হাজার বছর ধরে” লিখতেন আর এইবার তার গল্পের বিষয়বস্তু হত হিন্দু মেয়েদের ধর্মান্তকরণের সব খুঁটিনাটি বিষয়। আম্বিয়া, টুনি, হিরণের জায়গায় তিনি হয়তো এইবার নাম লিখতেন অপু, প্রীতি আর বৈশাখীর।

অপুর ধর্মান্তরিত হওয়ার কারণ এবং এর পরিণতি কি হয় বা কি হতে পারে এটা ওপেন সিক্রেট তারপরেও হিন্দু মেয়েরা কেন যে এমন ভুল করে এটা এই মুহূর্ত পর্যন্ত আমার মাথায় ঢুকছে না। এইসব মেয়েদের ভাব এমন “আগুনে হাত পুড়িয়েই দেখতে হবে, আসলেই আগুনে হাত পুড়ে কি না?”

অপুর এতো ঘটনার মধ্যে আমার বার বার চন্দনা দি’র কথা মনে পড়ছে। চন্দনা দিদিরা আমাদের বাড়ীতে থাকত দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে। সেই থেকে আমাদের সাথে পরিচয়। চন্দনা দিদির বাবা পুলিশে ছিলেন। চন্দনাদি ভাল গান গাইত। চন্দনা দি’র নাম এখন ফাতেমা। আমি অনেক ছোট ছিলাম আমার শুধু একটি স্মৃতিই মনে আছে, চন্দনাদি ক্লাবে গান গাইবে। ও আদা খাচ্ছে লবণ দিয়ে গলা ঠিক রাখার জন্য। আমিও ওর সাথে আদা খাচ্ছিলাম। আমি চন্দনা দি’র চেহারা ভুলে গেছি। এখন নাকি ও বোরকা পরে। ওর কিন্তু বিয়ে হয়েছিল। ও একটি ছেলেসহ ধর্মান্তরিত হয়। আমার মায়ের কলিগ যেদিন মাকে এসে খবর দিল “ওর ছেলে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে” সেদিন আমার মায়ের মুখটা দেখার মত ছিল।
Writer
Mousumi chowdhury!