আকায়েদ উল্লা মুসুলমান নয়, এটা ইহুদীদের ষড়যন্ত্র!

আকায়েদ উল্লা মুসুলমান নয়, এটা ইহুদীদের ষড়যন্ত্র!

“আমরা হব তালেবান, বাংলা হবে আফগান” – শ্লোগানটি কেহ ভুলে যাননিতো? ২৭ বছর বয়সী আকায়েদ উল্লাহ, ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে এই হামলা চালিয়েছে বলে সংবাদ মিড়িয়া প্রচারিত হয়েছে। সে চট্রগ্রামের সন্ধীপের অধিবাসী এবং ২০১১ সালে অভিবাসী হয়ে আমেরিকায় পাড়ি জমায়। এবং সে বাংলাদেশের থাকতে উপরে বর্নিত জনপ্রিয় শ্লোগানে উজ্জিবিত হত। স্বপন দেখতে বাংলাদেশ একসময় আফগান হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশতঃ তাকে আমেরিকায় পাড়ি জমাতে হয়েছে এবং সেখানে গিয়েই তালিবানি স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করেছে বলে মনে হয়।

আমেরিকার টুইন টাওয়ারে ২০০১ সালে যাত্রীবাহী বিমান আছড়ে পড়ার দৃশ্যবারংবার স্যাটেলাইট টেলিভিশনের যখন দেখাচ্ছিল –তখন মুসলিম বিশ্বের দেশগুলোর অফিস, বাসাবাড়ী কিংবা মেস সর্বত্র কমবেশী সকলকে হাসতে দেখা গেছে।
ঐ সময়ে আমেরিকা গেল গেল রবে যাদেরকে অট্টহাসি হাসতে দেখেছি – আমার চেনা পরিচিত তাদের অনেকেই এখন আমেরিকার গ্রীন কার্ড হোল্ডার।

বাংলাদেশে যখন বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতায় ছিল এবং আফগানিস্তানে যখন তালিবানের জয় জয়কার অবস্হা – তখন বাংলাদেশে ইসলামী দল গুলো মিছিলের শ্লোগান থাকত – “আমরা হব তালিবান, বাংলা হবে আফগান”। যে যুবকরা বাংলাদেশে থাকতে তালিবানি শ্লোগান সমর্থন করতো এবং সুযোগ পেলে আমেরিকার বিরুদ্ধে শ্লোগান দিত, ওরা আমেরিকায় গিয়ে ফেডারেল ব্যাংক উড়ানো কিংবা ট্যানেলে বোমা ফাটাবে না তো ফুল ছড়ে মারবে?

সাম্প্রতিক ঘটনায় প্রবাসী বাংলাদেশী মুসলিমদের বলতে শুনি – এঘটনার সাথে মুসলিমরা কোন ভাবেই দায়ী নয়। কথাটি অগ্রাহ্য করার মত নয়। কেননা একজনের অপরাধের জন্য অন্যকে আইনতঃ দায়ী করা যায় না। এর বাইরে অনেককে একপা বাড়িয়ে বলতে শুনি আকায়েদ উল্লাহ কিংবা এধরনের জঘন্য কর্মকান্ডে জড়িতরা মুসুলমান নয়। এখন একটু দেখা যাক আকায়েদ এর মতো কারা কারা মুসুলমান নয়।

1. আকায়েদ উল্লাহ সন্ত্রাসী, ও সাথে ইসলামের সম্পর্ক নেই, মানে সে মুসুলমান নয়

2. ইতোপূর্বে ঢাকার যাত্রাবাড়ী যে ছেলেটা আমেরিকার ফেডারেল রিজার্ভ উড়ানো পরিকল্পনায় পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিল – সে মুসলিম নয়

3. মাত্র কিছু দিন আগে – বৃটেনের তেরেজা মে কে হত্যার পরিকল্পনায় ধৃত বাংলাদেশী যুবক মুসুলমান নয়।

4. বাংলাদেশে যে সকল ব্লগার, মুক্ত চিন্তার মানুষ, হিন্দু পুরোহিত, গীর্জার ফাদারকে কুপিয়ে হত্যা করেছিল – ওরা মুসুলমান ছিল না।

5. ঢাকার গুলশানে হলি আটিজানে যারা হামলা করে বিদেশী মেরেছিল এবং পুলিশের গুলিতে পরে লাশ হয়েছিল – ওরা মুসুলমান ছিল না।

6. কক্সবাজারে বৌদ্ধ মন্দির ও বাড়ী ঘরে যারা হামলা করেছিল – ওরা মুসলিম ছিল না।

7. ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার নাসিরনগর, রংপুরের পীরগঞ্জ, আরো আগে যশোরের অভয়নগর, চট্রগ্রাম ইত্যাদি সব জায়গা হিন্দুবাড়ীঘর স্হাপনাকে যারা বিখ্যাত করে তোলে – ওরা মুসুলমান নয়।

এভাবে ভাবলে দেখা যাবে বাংলাদেশে ও বাংলাদেশের বাইরে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাতে জড়িতদেরকেহই মুসলিম নয় – এবং মুসলিম সমাজ ওদের দায়িত্ব নেবে না। কিন্তু দেশের অভ্যন্তরে মসজিদ. মাদ্রাসা, এতিম খানা ও প্রচলিত শিক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে আকায়েদদের সৃষ্টির পেছনে অবদান রাখছে সুক্ষ্মভাবে। এদের কর্মকান্ডের পর দায়সারা গোছের বক্তব্য থাকে। যেটা বেশী দরকার তা হলো আকায়েদ উল্লাহদের সৃষ্টি পেছনের কারণ গুলো নষ্ট করা। না না করে বরঞ্চ আবাদের মাধ্যমে বেড়ে উঠতে দিয়ে এবং বিদেশে রপ্তানি হয় এবং তাদের কর্মকান্ডে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক প্রচার মাধ্যমে স্হান করে দেয়। সুতরাং ওরা কেহই মুসুলমান নয় এবং শান্তির ধর্মের ইসলামের এদের কোন সম্পর্ক নেই কিংবা এ সবই ইহুদী ও আমেরিকার চক্রান্ত – এসব বাজে বক বক করে আকায়েদ উল্লাদের উত্থান প্রতিহত করা সম্ভব নয়। (চিত্রগুপ্ত)