বঙ্গবন্ধু সরকারের আইনমন্ত্রী মনোরঞ্জন ধর ১৫ই আগস্টের পর মোশতাকের আইনমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। এই মনোরঞ্জন ধর ছিলেন কুখ্যাত ইনডেমনিটি নামক অধ্যাদেশের রচয়িতা।
বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রীসভার ২১ মন্ত্রীকে ১৫ই আগস্টের পর মোশতাকের মন্ত্রীসভায় যোগ দিতে দেখা যায়।
এবং সেই ২১জনের কয়েকজন পরবর্তীতে আবারও শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের টিকেটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
আওয়ামী লীগের হৃদয়ের বিশুদ্ধতা আর হাতের পরিচ্ছন্নতার দিকে তাকিয়ে দেখুন, আপনার হাসি পাবেই।
এরা একটা মিছিলও করেনি বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর। একমাত্র কাদের সিদ্দিকী করেছিলেন, তিনি বহু আগেই দল থেকে বহিস্কৃত। অপরাধ তিনি দলের সমালোচনা করেছিলেন।
বারবার নিজের নাম এবং আদর্শ পাল্টানো আওয়ামী লীগের সাম্প্রতিক কর্মকান্ডে এটাই প্রতীয়মান হয় যে এখন এরা সম্পূর্ণ আদর্শহীন ভোটের রাজনীতি করছে।
মডেল মসজিদ, ইসলামী সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র, কওমি সনদের সরকারি স্বীকৃতি, হেফাজতের পা চাটা, মদিনা সনদ এইসব কর্মকান্ড অবশ্যই শুধু রাজনীতি নয়। নিজ আদর্শ, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি, ভোটার এবং দেশের সংবিধানের সঙ্গে সরাসরি বিশ্বাসঘাতকতা।
আমরা বিএনপি জামায়াতের আদর্শ বুঝি।
বুঝি না গিরগিটির রং পাল্টানো আওয়ামী লীগের আদর্শ।
ইতিহাস বলছে, প্রচুর বিশ্বাসঘাতক আর বেঈমানের জনক এই আওয়ামী লীগ।
কিন্তু এটা অবিশ্বাস্য ছিলো যে গোটা দলটাই একদিন পুরো বাংলাদেশ তথা জয়বাংলার চেতনার সঙ্গে এভাবে বিশ্বাসঘাতকতা করে ফেলবে।
লীগের শ্লোগান জয়বাংলা কিন্তু চেতনায় জিন্দাবাদ। এটা শুধু কথার কথা নয়, এটা বাস্তব।
ফলাফল?
সাঈদী বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর চেয়েও জয়প্রিয়।
বঙ্গবন্ধুর ভাষণ নয়,
সাঈদীর ওয়াজ শুনে শুনে ঘুমায় আজকের এই বাংলদেশ।