ভারতের সেক্যুলার থাকা দরকার গোটা উপমহাদেশের স্বার্থে। ভারতে আমাদের ব্লগার ভিন্নমতালম্বীরা আশ্রয় নিয়েছে কারণ ভুমিটা গণতান্ত্রিক। বামপন্থিরাও অভিবাসন চয়েজ করার সময় আমেরিকা সুইডেন ডেনমার্ক নেদারল্যান্ড স্কটল্যান্ড বেছে নেয়। কেউ চীন কিউবাতে যেতে চায় না। সুইডেনে বসে সুইডিস সরকারের পিন্ডি চটকানো যাবে কিন্তু কিউবাতে বসে কিউবার কোন নীতির সমালোচনা করলে কি হাল হতে পারে সেটা আমাদের ফেইসবুক বিপ্লবীরা নিজেরাও জানে। ইসলামিস্টরাও অভিবাসী হতে গেলো সেক্যুলার দেশগুলো বেছে নেয়। এমন কি তাদের যদি বেছে নেয়ার দুটো দেশকে সামনে দেয়া হয় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সে কোথায় থাকতে চায়- ১০০ জন মুসলমানই বলবে সে ভারতকে বেটার মনে করে পাকিস্তান থেকে। আসুন আগামী ভোটে নরেন্দ মোদীকে পরাজিত করি। আসুন আরএসএসকে জনসমর্থসহীন করে তুলি। এটা তো সম্ভব। ভারত কিউবা বা ইরান নয়। এখানে গণতান্ত্রিকভাবে সরকার বদল করা যায়। দেশের সংবিধান আইনে কেউ হাত দিতে সাহস করবে না। ভারতীয় বন্ধুরদের হাতেই আছে তাদের পরিবর্তন। কিন্তু সৌদি আরব থেকে পালানো মেয়েটি জানে পরিবর্তন এত সহজ নয়। ইরানে হিজাব বিরোধী আন্দোলন করে অন্ধকার কারাগারে থাকা নারীটি জানে তাদের লড়াইটি কোন পার্টির বিরুদ্ধে নয়। কোন স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে নয়। তাদের লড়াই কথিত ঈশ্বরকৃত নিয়মের বিরুদ্ধে। ব্যক্তি বা পার্টির অবসানেও তাদের মুক্তি নেই।