ভারতের মুসলমানরা হঠাৎ রোহিঙ্গাদের নিয়ে বুক চাপড়াতে শুরু করলো কেন ?

ভারতের মুসলমানরা হঠাৎ রোহিঙ্গাদের নিয়ে বুক চাপড়াতে শুরু করলো কেন ? ত্বহা সিদ্দিকী তো চরম হুমকি দিয়ে দিলো !  মোদী যদি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় না দেয় তবে দেশের মুসলমানরা মোদী সরকারকে ভারত থেকে তাড়াবে !
    কলকাতায় জমায়েত করে রাজ্যের মুসলমানরা তাদের পেশী শক্তির আস্ফালন দেখিয়ে দিলো !  প্রশ্ন হলো বিশ্বের কোনো মুসলমান দেশ রোহিঙ্গা  মুসলমানদের ঠাঁই দেওয়া তো দূরের কথা মায়নামারের সরকারের রোহিঙ্গা বিরোধী বর্বরতার (?)  কথা যেখানে ভুলেও  বলছে না সেখানে ভারতে বিশেষ করে বাংলায় মুসলমানদের রোহিঙ্গা প্রেম  উথলে উঠলো কেন ?
      তালাকের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে শরিয়তি চলে গেলো বলে কলকাতায় কাউকে মাথা চাপড়াতে দেখলাম না !  মুসলিম বেকার যুবকদের  শিক্ষা কর্মসংস্থানের  দাবীতে কোনো জমায়েত দেখা যায় না তাহলে রোহিঙ্গা রোহিঙ্গা বলে লম্ফোন দেবার কারণটা কি ? কি আছে গেম প্ল্যান  ?
       দেশভাগের সময় জিন্নার স্বপ্ন ছিল গোটা বাংলা পাকিস্থানের অন্তর্ভুক্ত হবে কিন্তু শ্যামাপ্রসাদের মরিয়া প্রচেষ্টার  কারণেই জিন্নার সেই খোয়াব  পূর্ণ হয় নি !  তাই পাকিস্থান জন্ম দেবার পর জিন্না আক্ষেপ করে বলেছিলো , এমন পোকায় খাওয়া পাকিস্থান চাই নি !  তেমনি একই সঙ্গে মুসলমান নেতারা বুঝেছিলো , ভারত ভাগের মতো এক দুঃস্বপ্ন  যেমন তুড়ি  মেরে করা গেলো আর খণ্ডিত ভারতের আহাম্মক গর্দভ  নেতারা স্বাধীন খণ্ডিত ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করলো না …….তবে আগামী দিনেও বিভিন্নভাবে চাপ দিয়ে ভারতের অংশ মুসলমানদের জন্যে আদায়  করা সম্ভব  হবে !
      সেকুলারিজম , সর্বধর্ম সমন্বয় , হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই ……..এই সব হিন্দুঘাতী  সিদ্ধান্ত দেশে যেদিন থেকে চালু হলো প্যান ইসলামিক কুট  কৌশল বিভিন্ন ভাবে চাপের  রাজনীতির মাধ্যমে সমাজকে টেস্ট  করতে শুরু করে দিলো !  খেলাটা সারা ভারত জুড়ে শুরু করার চক্রান্ত হলেও মোদী সরকার ক্ষমতায় চলে আসায় এবং বহু রাজ্যে প্যান ইসলামের দোসর রাজনৈতিক দলগুলোর রাজ্যপাট  চলে যাওয়ায় চক্রান্ত্রের  কেন্দ্রবিন্দু  এখন বাংলায় !  জেহাদিরা এখানে মমতার স্নেহচ্ছায়ায়  পুষ্ট !  তৃণমূলী হিন্দুরা হাফ মুসলমান হয়েই গেছে !  তাই পশ্চিমবঙ্গ এখন ইসলামের অবাধ আবাদ  ক্ষেত্র !
       তাই এখান থেকেই ভারত সরকারকে চমকাতে  ধমকাতে  হবে !  রোহিঙ্গা আন্দোলন একটা ইস্যু মাত্র !  যদি ভারত সরকার তাদের দাবিমতো  রোহিঙ্গাদের শরণার্থী  পরিচয়ে  আশ্রয় দেয় তবে সেটা একদিকে যেমন হবে প্যান ইসলামের সাফল্যের  সঙ্গে এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া অপরদিকে ভারতকে আগামীদিনে কাশ্মীরের মতো জম্মুটাকেও  হাত ধুয়ে ফেলতে হবে !
       ”  অহিংসা পরম ধর্ম ” …..এতদিন যাদের ছিল রাষ্ট্রনীতি ……হঠাৎ সেই নিরীহ শান্তিপ্রিয় অহিংস বৌদ্ধরা  কেন হঠাৎ রোহিঙ্গাদের প্রতি হিংস্র হয়ে উঠলো এই প্রশ্নের উত্তর আগে সবাইকে খুঁজতে  হবে নইলে শুধু আবেগ আর মানবতার বস্তাপচা শ্লোগান আউড়ে  ঝাড় থেকে বাঁশ তুলে নিজের পেছনে লাগানো এক আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে !