ভারতের মধ্যে একটা শরীয়া রাষ্ট্র গঠন করার জন্য মুসলমানরা চেষ্টা করছে। তিতুমীর, হাজি শরীয়তুল্লাহ চেষ্টা করেছিলো ইংরেজদের হটিয়ে একটা ‘শরীয়া ভারত’ কায়েম করতে। সেটা ব্যর্থ হয়েছিলো। তবে এবার মনে হয় ব্যর্থ হবে না। কারণ এখন ইংরেজরা নেই। তার বদলে যারা আছে তারা ভারতকে মুসলমানদের শরীয়া রাষ্ট্র বানাতে সব রকম সহযোগীতা করে যাবে। কংগ্রেসের মুসলিম নেতারা ভারতের সকল জেলায় শরীয়া আদালত প্রতিষ্ঠার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। তারা চাচ্ছে ভারতীয় মুসলমানদের রাষ্ট্রীয় আইনকানুন চলবে নিজস্ব ইসলামী শরীয়া আইনে। অরুন্ধুতি রায় মুসলমানদের এরকম গণতান্ত্রিক দাবীর প্রতি একটা কলাম লিখতে পারে। ভারতের বামপন্থিরা ‘সংখ্যালঘু মুসলমানরা যদি নিজেরা নিজেদের আইনে চলতে চায় তাহলে শাসকদের অসুবিধা কোথায়- জাতীয় প্রশ্ন তুলতে পারে। সব মিলিয়ে শরীয়ার দল ভারী হবে…
পৃথিবীতে এমন কোন জায়গা নেই যেখানে মুসলমানরা আধুনিক আইন-কানুনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে নিজেদের ধর্মীয় আইন বাস্তবায়ন চেয়ে ঝামেলা করেনি। মুসলমানরা কিভাবে বউ ছাড়বে, কিভাবে চার বিয়ে করবে সব তাদের ধর্মীয় আইনে হতে হবে। যেমন ইউরোপে একসঙ্গে একাধিক স্ত্রী রাখা যাবে না কিন্তু মুসলমানদের এই সুযোগ দিতে হবে। কারণ কুরআনে এটা মুসলমানদের অনুমতি দিয়েছে। আর কুরআন হচ্ছে একমাত্র সত্য ধর্মীয় গ্রন্থ। ইসলাম হচ্ছে একমাত্র সত্য ধর্ম। তাই এটা অমুসলমানদেরও মানতে হবে। যদি না মানে তাহলে মুসলমানরা জঙ্গি হয়ে উঠবে। তাদের সন্তুষ্ঠ রাখতে হবে না হলে তারা আইএস তালেবান আল কায়দায় যোগ দিবে।…
এবার তেড়েফুড়ে আসবে ‘নব্য বামাতীরা’ যারা বিন্দুমাত্র ইসলামের সমালোচনা শুনতে রাজি নয়। আপনি যখন শরীয়ার নিন্দা করবেন ওমনি এরা বলতে শুরু করবে হিন্দুদের শরীয়া আরো ভয়ানক। সতীদাহ করার নামে হিন্দু নারীদের পুড়িয়ে মারা, সম্পত্তিতে ভাগ না দেয়া ইত্যাদি হিন্দুদের বর্বর শরীয়া আইন। অথচ ইন্ডিয়াতে হিন্দু নারীরা বাপের সম্পত্তিতে ভাইয়ের মত ভাগ পায়। তারা ডিভোর্স দিতে পারে যেটা হিন্দুদের শরীয়াতে নেই। ভারতবর্ষ মনুর শরীয়া আইনে চলে না হিন্দুরাও সেটা চলতে চায় না। বিজেপি বলেনি তারা ক্ষমতায় এলে মনুর আইন পাস করা হবে। তবু ইসলামী শরীয়ার নিন্দা করতে হলে আপনাকে মনুর আইনকেও একটা গালি দিতে হবে প্রাসঙ্গিক না হলেও। তা না হলে আপনি নিরপেক্ষক নন। আপনি হিন্দুত্বাবাদী…। আপনাকে বলতে হবে হিন্দুরাও ‘জঙ্গি’ হয়। তবে মুসলমানদের জঙ্গি বললে সেটা সরাসরি ‘মুসলিম বিদ্বেষ’…।
আশ্চর্য যে, হিন্দুত্ববাদীরা কি ভারতের সেক্যুলারদের দায়িত্বগুলোকে কাঁধে নিয়েছে? কেন ভারতের একজনও সেই মাপের সেক্যুলার ব্যক্তি বললেন না, এটা ইসলামী গণতান্ত্রিক ভারত নয়, এটা সেক্যুলার গণতান্ত্রিক ভারত, এখানে আলাদা করে বিশেষ কোন সম্প্রদায়ের জন্য আলাদা কোন ধর্মীয় আইন থাকতে পারে না। এই কথাটাই বললেন একজন হিন্দুত্ববাদী মীনাক্ষী লেখী। তিনি বললেন, “এদেশের কোনও জেলা, গ্রাম বা শহরে কোথাও শরিয়ত আদালত হওয়ার প্রশ্নই নেই। আইন মেনেই আদালত কাজ করবে।…এটা ইসলামিক গণতান্ত্রিক ভারত নয়।”
তার এই কথাগুলো কি হিন্দুত্ববাদের কথা হয়েছে? কংগ্রেসের মুসলিম নেতাগুলোর বেশির ভাগই শরীয়া ভিত্তিক ইন্ডিয়ার এজেন্ট। এরা কৌশলগত কারণে তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ দলের পদ দখল করে রেখেছে। যেমন মমতার পার্টির মুসলিম নেতাদের বেশির ভাগই বাংলাদেশের ইসলামী দলগুলোর সঙ্গে গোপন সম্পর্ক আছে। এরা সময় মত যার যার জায়গা থেকে আওয়াজ দিবে। ইউরোপ এখন আর শরণার্থী নিতে চাইছে না। আসলে কথাটা বলা উচিত এভাবে, তারা আর ‘মুসলমান’ নিতে চাইছে না। এই না নিতে চাওয়ার কারণ একটাই। চীনের উইঘুর মুসলমানদের নিয়ে চীন যে যন্ত্রণায় পড়েছে, সাংস্কৃতিক-সামাজিক সমস্যা ও সন্ত্রাসের কবলে পড়েছে ইউরোপে সেই একই সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। প্রথমে নিজেদের জন্য এরা শরীয়া চাইবে, পরে দ্রুত জন্মহারের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে গোটা ইউরোপের জন্য শরীয়া চাইবে। তারপর পৃথিবী জুড়ে ফের নেমে আসবে সপ্তম শতাব্দী। আবার দাস প্রথা, যৌনদাসী, চার বিয়ে, হাতকাটা পাথর ছুড়ে হত্যার মত আইন প্রতিষ্ঠা হবে।… হয়ত কথাগুলো অতিরিক্ত মনে হচ্ছে, কিন্তু মানতে তো হবেই যে এই চাওয়াটা পৃথিবীর কিছু মানুষ চাইছে। তাদের সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। এই চাওয়া থেকে পাওয়ার আশায়, বেহেস্তের মোহে, ৭২ হুরের যৌনবিলাশের স্বপ্নে পৃথিবীতে যে কালো মেঘে ঢেকে ফেলার চেষ্টা হবে তাকে এখনি আটকাতে হবে। এই প্রতিরোধের পথে প্রথম বাধাটা ‘ইসলাম বিদ্বেষ’ নামক প্রতিবন্ধক।
‘ইসলাম বিদ্বেষ’ যদি হয় ইসলামের সমালোচনা, মুসলমানদের ধর্মীয় চাতুরিতার সমালোচনা তাহলে গর্ব করেই নিজেদের বলতে হবে ‘ইসলাম বিদ্বেষী’। কারণ বর্তমান পৃথিবীর মানবিকতার প্রথম শত্রু ইসলামের বিরুদ্ধে যাওয়া মানেই মানবতার পক্ষে যাওয়া। ইসলামের বিপক্ষে যাওয়া মানেই আড়াইশো কোটি মুসলমানের মঙ্গল কামনা করা। কারণ শরীয়ার প্রথম কোপটা আসবে তাদের বিপক্ষেই…।