খপ্পরে পডে আমরা আজ প্রকৃত পরিচয় হারিয়ে বসে আছি।

চেইন ব্যবসা ।।

এক ধরনের ব্যবসা এ দেশে শুরু হয়েছিল কিছুকাল আগে। এদের মিটিং হত বিভিন্ন বাসায়। উদ্দেশ্য সদস্য সংগ্রহ। আর বিনিময়ে লাভ সীমাহীন।চাকুরী করতে হবেনা। এক মানি মেকিং মেশিন সেটা। এবং কাজ হবে শুধু আয়ের টাকা খরচ করা।বাদশাহী কারবার।
কেমন করে কাজটা হবে সেটা বলে নেই। ধরুন আমি ঐ মানি মেকিং মেশিনের একজন সদস্য হলাম। সদস্য হতে আমাকে হয়ত হাজার ডলারের কিছু জিনিস কিনতে হবে অন্য আরেক সদস্যের কাছ থেকে। এখন এই হাজার টাকার জিনিস যদি আমি নতুন সদস্য বানিয়ে তা তাদের কাছে বিক্রী করি তবে তারাও হয়ে যাবে সদস্য। তখন তারা আবার সেগুলি নতুন সদস্য সংগ্রহ করে তার কাছে বিক্রী করবে। এভাবে আমাকে parent member ধরলে আমার infinite number সদস্য সৃষ্টি হবে। প্রতি সদস্য যখনই কিছু বিক্রী করবে তখন তার লভ্যাংশ আমার নামে জমা হবে। শুধু ডলারের উপর ডলার।
একটা ধর্মকে যখন এভাবে সদস্য বাডিয়ে কনভার্ট করে বাড়ানো শুরু করে তখন একই জিনিস ঘটতে থাকে। এটা একটা বিশাল commercial enterprise এর রূপ নেয়।
আরবীয়রা সারা বিশ্বে বানিজ্য করত। তারা সমূদ্র বন্দরগুলি দখল করে নেয় দ্রুত। সিন্ধুর দেবল থেকে শুরু করে ভুমধ্যসাগরীয় অন্চল তাদের নিয়ন্ত্রনে নেয়। তারা সিল্ক রোড দখল করে নেয়। কন্স্টোলাপোল দখল করে নিলে এশিয়া ইউরোপের বানিজ্য পথ অবরূদ্ধ হয়ে পডে।ভাস্কোডাগামা সমূদ্র পথ বের করার আগে আরবরা একচ্ছত্র  বানিজ্য করেছে। তারা দাস নিয়ে সারা বিশ্বে বিক্রী করত আর দেশে দেশে তাদের সদস্য সংগ্রহ করত। বাংলাদেশেও সমূদ্রপথেই ইসলাম প্রথম এসেছিল এবং তাদের সদস্য সংগ্রহ করেছিল।
আমেরিকায় দেখা ঐ চেইন ব্যবসার সাথে একটা মিল খুব স্পষ্ট যে আরবদের ছিল এটা ব্যবসা। যার লক্ষ্য সদস্য বাড়ানো এবং এ ছাডা এটাকে পরিচালনা করা সম্ভব ছিলনা। profit কিন্তু এ ক্ষেত্রেও parent member দের। অর্থাৎ আরব ব্যবসায়ীরা কেবল এতেই শতাব্দীর পর শতাব্দী তাদের নিজ আর্থিক স্বার্থ রক্ষা হয়েছে।অর্থ জোগান দিয়েছে সদস্যরা নতুন নতুন সদস্য সংগ্রহ করে – বলপূর্বক বা দাওয়াত দিয়ে। প্রলোভন দিয়ে।
আর আমরা এমনই দুরভাগ্যবান এক জাতি এতো বুদ্ধি থাকলেও কোনদিন বুঝতে চেষ্টা করিনি আসলে এ দেশের হিন্দু মুসলিম খৃস্টানরা জন্মসূত্রে একে অন্যের cousin . একশত না হোক তিনশত। তিনশত না হোক পাঁচশত বছর মধ্যে গেছে। জাতি হিসেবে মানুষের জন্য তা ক্ষুদ্র একটু সময় মাত্র। অথচ কী জন্য আমরা আজ একে অন্যের সাথে শত্রুর মত আচরণ করছি? কার লাভ হচ্ছে? এই আত্মঘাতী ধর্মীয় ব্যবসা আমাদের কিছু দেয়নি পারস্পরিক বিদ্বেষ ছাডা।
এই chain trade এর খপ্পরে পডে আমরা আজ প্রকৃত পরিচয় হারিয়ে বসে আছি।