ব্যারিস্টার সুমন প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা করতে আদালতে গিয়েছিল। প্রিয়া সাহা বলেছিল বাংলাদেশে হিন্দুদের জীবন বিপন্ন। ব্যারিস্টার সাপ তখন বলছিলো, হিন্দুদের আমরা এত সিকিউরিটি দিয়া রাখি তারপরও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। … হিন্দুদের নিরাপত্তা দেয়া ঈমানদার সেই ভাইজান যখন নিজের বেলায় বলেন, জীবনের ঝুঁকিতে আছি, বউ বাচ্চাকে আমেরিকা রেখে গেলাম” -তখন বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হয় না?
হিন্দুদের এক পা ইন্ডিয়ায় দেয়া থাকে। সংখ্যাগরিষ্ঠের এই শ্লেষ বিদ্রুপ অভিযোগ অনেকদিনের। ব্যারিস্টার সুমনের টাকা আছে তাই আমেরিকায় বউ বাচ্চা রেখে আসতে পারছে। হিন্দুদের হাতের কাছে ভারত আছে। নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশের হিন্দুদের ভারতে পা রাখলেই নাগরিকত্ব দেবার আইন করেছে। আমি ভাবছি মুসলমানদের কি হবে? প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে টকশো আর কলমযুদ্ধ চালানো পোগতিশীলদের কি হবে? মিথিলা ফারজানা নামের ৭১ টিভির একজন সাংবাদিক জায়গায় দখলের জন্য সবচেয়ে বেশি মসজিদ বানানো হয় এটা বেলাতেই তার বিরুদ্ধে ধর্মানুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ উঠেছে। এদের জন্যও ক্যাবে জায়গা রাখা উচিৎ ছিলো।
প্রিয়া সাহার কাছে না একদিন সবাইকে ক্ষমা চাইতে হয়! ভরসা লীগের অনলাইন ফাইটাররাই যখন দেশে নিরাপত্তার ভরসায় আস্থা রাখতে পারে নাই তখন প্রকৃত অবস্থা না বুঝার কিছু নাই। খুন খারাবি চুরি ডাকাতি গুম খুন আমেরিকাতে বাংলাদেশের চাইতে বেশি হয় বলে যারা মাঠ কাঁপায় তারাই নিরাপত্তার জন্য ফ্যামিলি রেখে আসে আমেরিকায়! দিনরাত আমেরিকা ইউরোপের পুঁজিবাদের ফাঁপা অর্থনীতি বলে কিউবা রাশিয়া চীনের সুখ্যাতি করে যখন কোন স্বঘোষিত বামপন্থী ইউরোপে এসাইলাম নেয় তখন যা বুঝার বুঝে নেয়া যায়। নোয়াম চমেস্কিকে ঠেলেঠুলেও কোন কমিউনিস্ট দেশে বাস করাতে পারবেন না। উনি নিজেও জানেন কমিউনিস্ট শাসনে উনার কলমকে সেন্সর করে রাখবে। উনি সমাজতন্ত্র চান কিন্তু আমেরিকান গণতন্ত্রও পেতে চান। পিনাকী যেমন ফ্রান্স থেকে হেফাজতের শাসন চাইলেও , সেক্যুলারিজমকে রাতদিন গালাগালি করলেও এসাইলাম নিয়েছে সেই সেক্যুলার ইউরোপে!
বিনোদন আর বিনোদন!