মন্দাক্রান্তা, শ্রীজাত, অপর্ণা সেনরা আজ কোথায় ?
কোথায় ওদের প্রতিবাদের কলম? কোথায় ওদের প্রতিবাদের মিছিল?
একজন মুসলিম গরু কাটতে গিয়ে গনপিটুনিতে মরলে তখন তো শ্রীজাত, মন্দাক্রান্তা, অপর্ণা সেনরা পথে নেমে প্রতিবাদ করে, পুরস্কার ফেরত দিয়ে দেশকে অসন্মান করে, দেশটাকে অসহিষ্ণু বলে দেশ ছাড়ার কথা বলে অথচ আজ মুসলিম মৌলবাদীদের হুমকি, দুই সন্তানকে স্বামী অপহরন করেছে সেই মুসলিম নারী ইসরত জাহানের হয়ে দুটো কথা বলার সাহস নেই এই মন্দাক্রান্তা, শ্রীজাত, অপর্ণা সেনদের মতো ভন্ডদের ।
তিন তালাকের মতো একটি বর্বর প্রথার বিরুদ্ধে লড়াই করে মুসলিম নারীদের স্বাধীনতা দিতে চেয়ে লড়াই করেছিল বাংলার ইসরত জাহান, সেই কারনেই মুসলিম মৌলবাদী নেতারা তিন তালাকের সমর্থনে একাধিকবার হুমকি দিয়েছে এমনকি ইসরত জাহানের দুই সন্তানকে অপহরণ করা হয়েছে তবুও ভন্ড বুদ্ধিজীবীরা চুপ?
ভন্ড বুদ্ধিজীবীরা রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশের গো-রক্ষা বাহিনীর তান্ডব হলে পশ্চিমবঙ্গকে উত্তপ্ত করে, আখলাখ জুনেদদের জন্য পথে নামে অথচ আজকে ইসরত জাহানের হয়ে কোনো প্রতিবাদ নেই….
কারন ভন্ড বুদ্ধিজীবীরা জানে তিন তালাকের বিরোধিতা করলে ভোটব্যাঙ্ক নষ্ট হবে এমনকী মুসলিম মৌলবাদীদের রোষের মুখে পড়তে হবে তাই ইসরত জাহানের কথায় তাদের কোনো কিছুই যায় আসে না ।
আজকে যদি ইসরত জাহানকে কোনো হিন্দু সংগঠন কিংবা কোনো হিন্দু নেতা যদি হুমকি দিত তাহলে হয়তো শ্রীজাত, মন্দাক্রান্তা, অপর্ণা সেনরা ভগবান রামচন্দ্র, মোদী, গো-মাতা, ভারত মাতা, হিন্দু সংগঠন গুলির গুষ্টির পিন্ডি চটকিয়ে দেশটাকে অসহিষ্ণু গড়ে তুলত ।
ভন্ড বুদ্ধিজীবীরা নারী অধিকার, নারী সুরক্ষার কথা বলে বেড়ায় কিন্তু ইসরত জাহানের মতো একজন মুসলিম নারীর সমর্থনে প্রতিবাদ করার মুরোদ নেই ওদের, কারন চাপাতির কোপকে ওরা ভয় পায় ।
শ্রীজাত, মন্দাক্রান্তা, অপর্ণা সেনরা অন্য রাজ্যের ঘটনাকে ইস্যু করে পশ্চিমবঙ্গে গলা ফাটায় অথচ হাওড়ার ইসরত জাহানের ঘটনা নিয়ে ওরা নিশ্চুপ….
এরা বুদ্ধিজীবী নাকি দোগলাজীবি সেটা আজও বুঝে উঠতে পারলাম না, ত্রিশূলে কন্ডোম পরিয়ে এরা হিন্দু ধর্মে আঘাত করতে পারে, পুরস্কার ফেরত দিয়ে এরা দেশকে অসহিষ্ণু বলে অপমান করতে পারে কিন্তু এরা তিন তালাকের মত বর্বর প্রথার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ইসরত জাহানকে সমর্থন করতে ভয় পায়……..