ধর্মীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী রোহিঙ্গা মুসলিমদের নিরাপত্তা।

ধর্মীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী রোহিঙ্গা মুসলিমদের নিরাপত্তা নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে আনা প্রস্তাবে ভেটো দিল বামরাষ্ট্র চীন এবং রাশিয়া। অবাক করার বিষয় ইসলামিক রাষ্ট্র হয়েও পাকিস্তান চীনের এই ভেটোকে সম্পূর্ণ সমর্থনও করে দেওয়া। রোহিঙ্গারা বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন করে মায়ানমারের সেনাদের কাছে আক্রান্ত হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন দেশে। ২ লক্ষের বেশি রোহিঙ্গা দেশ ছাড়া। গত ২৫সে অগাস্ট মায়ানমার সেনাদের এবং পরে ওখানের কিছু নিরীহ হিন্দুদের উপর আক্রমণ করার পর, পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। সেনাদের পালটা মারে এখন আবার নতুন করে আক্রান্ত মায়ানমারকে ভাঙ্গতে চাওয়া রোহিঙ্গা মুসলিমরা।

  গত সপ্তাহে মায়ানমারে ওদের হাল হকিকতের খবর নেওয়ার জন্য রাষ্ট্র সংঘের কিছু সদস্য রাখাইন প্রদেশ যেতে চাইলে ঐ দেশের সরকার অনুমতি দিতে অস্বীকার করে। রয়েটার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, গতকাল প্রধানত ব্রিটেনের রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধিদের উদ্যোগেই, রোহিঙ্গা মুসলিমদের বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের একটি প্রস্তাব পাস করাতে চায়ে। এই প্রস্তাবকে ভেটো দিয়ে আটকে দেয় মায়ানমারের পুরানো বন্ধু রাশিয়া এবং বামপন্থী রাষ্ট্র চীন। কারণ হিসাবে মনে করা হচ্ছে, রাশিয়া ও চিন নিজের দেশেই ইসলামিক বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমস্যা নিয়ে লড়ছে। এই অবস্থায়ে গরীব রাষ্ট্র মায়ানমারের অবস্থা কি সেটা তারা বুঝতে পারছে।

  রাষ্ট্রসংঘে ব্রিটেনের প্রতিনিধি ম্যাথিউ রাইক্রফ্ট বলেন, “আমরা ওদের বিষয় কিছু প্রস্তাব দিয়েছিলাম, কিন্তু সেই প্রস্তাবে সকলের একমত হওয়া জায়েনি”। মায়ানমারের প্রতিবেশি চিন জানিয়েছে এই ধরণের যে কোন বিষয়ে প্রস্তাব পাস করানোর আগে সকলের একমত হওয়া প্রয়োজন, কিন্তু ঐ প্রস্তাবে সকলে একমত হতে পারেনি। রাশিয়াও চিনের অবস্থানকে সম্পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে।