ভারতের মুসলমানরা আসাদউদ্দিন ওয়াইসি’র মত মৌলবাদী মুসলমানকে ভোট দিলে নরেন্দ মোদীর মত কট্টর হিন্দুত্ববাদীকে আরো বিশ-তিরিশ বছর প্রধানমন্ত্রী করবে ভারতের অন্যান্য জাতি-সম্প্রদায়। এরকম একটা গোড়া জিহাদী মুসলমানকে হায়দ্রাবাদে বছরের পর বছর নির্বাচিত করে চলেছে মুসলমানরা। আসাদউদ্দিন ওয়াইসি ভারতীয় মুসলমানদের স্পষ্ট করে ‘নিজেদের ভাইদের’ ভোট দিতে বলেন। অর্থ্যাৎ একজন মুসলমান যেন কোন মুসলমান প্রার্থিকে ভোট দেয়। দক্ষিণের এই নেতা গোটা ভারতের মুসলমানদের জন্য তার দল মজলিস-এ-ইত্তেহাদ-মুসলিমিনকে মুসলমানদের দল হিসেবে আবির্ভূত করতে চেয়েছে। হায়দ্রাবাদের গন্ডি ছেড়ে বিহার-তেলেঙ্গা ও পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমদের সাম্প্রদায়িকভাবে তার দলকে সমর্থন জানাতে ভোট যুদ্ধে নেমেছিলো অতিতে। অর্থ্যাৎ ভারতে আসাদউদ্দিন আরেকটি ‘মুসলিম লীগ’ জন্ম দিয়েছেন যা কোন একদিন ভারত ভাগের ডাক দিবে। পশ্চিমবঙ্গে ২৭ ভাগ মুসলিম ভোটকে কেন্দ্র করে তার স্বপ্ন এখানে মুসলিমরা তাদের নিজস্ব মুসলিম পার্টিকে সংসদে পাঠাবে। এভাবে গোটা ভারতের মুসলমানরা মুসলিম পার্টিকে ভোট দিয়ে ভারতের মুসলমানদের শক্তি বৃদ্ধি করবে। ভারতীয় মুসলমানরা দিন দিন এভাবে ধর্মীয় পরিচয়ে রাজনৈতিক শক্তি বাড়ালে নরেন্দ মোদীর ভোট বাড়বে না কমবে? কেন ভারতের সাধারণ জনগণ বিজেপি জোটকে ফের নিরুঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়ে ক্ষমতা পাঠালো সেটি ঠান্ডা মাথায় পরাজিতদের বুঝতে হবে। বামপন্থি, সেক্যুলার, লিবারালরা বিগত দিনগুলোতে হিন্দুত্ববাদীদের নানা রকম সাম্প্রদায়িক আচরণে প্রতিরোধে নামলেও তারা এই দিকগুলোকে কোনদিন নজর দিতে চায়নি। আসাদউদ্দিন ওয়াইসি’র মজলিস-এ-ইত্তেহাদ-মুসলিমিন ভারতের যেখানে ঘাঁটি গাড়বে সেখানেই হিন্দুত্ববাদকে শক্ত ঘাটি গড়তে দেয়া হবে। ভারতীয় মুসলমানরা কট্টর মুসলিম হলে ভারতীয় হিন্দুরা কেন লিবারাল হবে? তৃণমূল তার মুসলিম ভোট ধরতে কট্টর মুসলিমদের নেতা বানালে পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুত্ববাদ মাঠ দখল করবেই। ২ থেকে এখন তারা ১৮! এর বিশ্লেষণ লিবারাল করেছেন? অবিভক্ত ভারতবর্ষে মুসলমানদের সাম্প্রদায়িক দলের নাম ছিলো মুসলিম লীগ। সেই মুসলিম লীগ ভারতকে ভাগ করে মুসলমানদের জন্য পাকিস্তান বানিয়েছিলো। ‘মজলিস-এ-ইত্তেহাদ-মুসলিমিন’ দেখে ঘরপোড়া গরু সিদুরে মেঘ দেখে যদি ভয় পেয়ে আরএসএস-বিজেপিকে ভোট দিতে থাকে তাহলে এর মূল কোথায় সেই বিশ্লেষণ জরুরী। সেটি কি কোথাও হচ্ছে?