১৯৪৯ সালে সদ্য ভূমিষ্ট ইসরাইল রাষ্ট্রটিকে
ছয়টি মুসলিম দেশ একজোট হয়ে আক্রমন করে।
সৌদী আরবের নেতৃত্বাধীন সেই জোটে
কাতার এবং ইয়ামেনও ছিলো। মাত্র তিন
সপ্তাহে লজ্জাজনক পরাজয় ঘটেছিলো
যৌথবাহিনীর। বার বার ভাগ্যের হাতে মার
খেয়ে অতীত থেকে শিক্ষা নেয়া
আত্মবিশ্বাসী ইহুদীদের সামনে টিকতে
পারেনি সম্মিলিত মুসলিম শক্তি। ইতিহাস
আজ সবার যায়গা ঠিক করে দিয়েছে। জোটের
ছয়টি দেশের মধ্যে তিনটিই ধ্বংসস্তুপে
পরিনত হয়েছে নিজেদের মধ্যে হানাহানী
করে; কাতারও আজ সৌদী আরব কর্তৃক হুমকির
মুখে। ইতিহাস বারবার ফিরে আসে কিন্তু
বর্বররা তা থেকে শিক্ষা নেয়না।
সপ্তম শতাব্দীতে আরবের পাহাড়গুহায় যে
বিষবৃক্ষটি রোপিত হয়েছিলো তা আজকে পুষ্প
পল্লবে সুশোভিত। সমানে ধ্বংস করে চলেছে
একের পর এক জনপদ। পৃথিবীজুড়ে সাতশ কোটি
মানুষকে করে রেখেছে আতংকিত। আর
ইসরাইল? ইন্টারনেটের যুগ, চাইলেই খোঁজ
নিয়ে দেখা যেতে পারে। ইসরাইলের
জিডিপি ৫৭ টি মুসলিমপ্রধান দেশের
সম্মিলিত জিডিপির চাইতেও বেশী।
ইসরাইলের অর্থনীতি পশ্চিমা সমমানের।
অভ্যান্তরীন নিরাপত্তা, মানবসম্পদ উন্নয়নে
ইসরাইল পৃথিবীর যে কোন দেশের চাইতে
এগিয়ে। বৈজ্ঞানিক গবেষনা এবং উদ্ভবনে
খোদ আমেরিকাকে টেক্কা দিচ্ছে।
দেড় কোটির ইহুদীদের বিজ্ঞানে অবদান
রেখে বাগিয়ে নিয়েছে ১৯৬ টি নোবেল
পুরস্কার আর দেড়শ কোটির শান্তির মানবের
অর্জন সাকুল্যে ১২! ধর্মের বই পড়ে
বংশপরম্পরায় মানুষের প্রতি ঘৃণা পুষে রেখে
শত্রুরা কি পেল ? উত্তর জানতে ইহুদীদের মত
রকেট সায়েন্টিস্ট হওয়ার প্রয়োজন নেই।
প্রতিনিয়ত নিজেরা শেষ হচ্ছে, অন্যকে শেষ
করছে তবুও মধ্যযুগের ধর্মের বইগুলো আঁকড়ে পড়ে
আছে। ইহুদিরা বিজ্ঞানের বই খুলে মঙ্গলে
আলু চাষের উপায় খুঁজে আর মুমিন রা কোরান-হাদীস খুলে খুঁজে কিভাবে শরীয়তসম্মতভাবে বউ পেটাতে হবে! তবুও জোর গলায় মুমিনরা দাবি করে ” আমরা পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ট জাতি,
কেউ মেনে না নিলে, চাপাতি হাতে তেড়ে
যাই!