ছয় জন পন্ডিত, যথা: সনাতন গোস্বামী, রূপ গোস্বামী, রঘুনাথ দাস গোস্বামী,
গোপাল ভট্ট গোস্বামী, রঘুনাথ ভট্ট গোস্বামী ও জীব গোস্বামীকে একত্রে বোঝানো
হয়ে থাকে। তাঁরা শ্রীচৈতণ্য দেবের সান্নিধ্য লাভ করেছিলেন এবং গৌড়ীয়
বৈষ্ণব ধর্মের বিকাশে অশেষ অবদান রেখেছেন।
কৃষ্ণ নাম লও জীব আর সব মিছে।
পালাইবার পথ নাই যম আছে পাছে।।
ভরদ্ধাজ গোত্রীয় জগৎগুরু “সর্বঞ্জ”
নামক এক মহাতপা দ্বাদশ শতাব্দীতে কর্নাট দেশে এক ব্রাহ্মন রাজবংশে আর্বিভূত
হন । তাহার পুত্র অনিরুদ্র। অনিরুদ্রের পুত্রদ্বয় রুপেশ্বর ও হরিহর।
রুপেশ্বরের পুত্র পদ্মনাভ পদ্মনাভের পাঁচ পুত্র তাদের মধ্যে কনিষ্ট
মুকুন্দের পুত্র কুমারদেব । কুমার দেবের তিনজন পুত্র সনাতন, রূপ ও অনুপম।
তদানিন্তন যশোহর প্রদেশে তাদের বাস ছিল ।
রূপ, সনাতন, হুসেন শাহার মন্ত্রী পদে দীর্ঘদিন চাকরী রত ছিলেন। শ্রীচৈতন্য
মহাপ্রভূর সান্নিধ্য লাভ করে চাকরী ছেড়ে হরি নাম মন্ত্রে ব্রতি হন।
গোপাল ভট্ট গোস্বামীঃ-
শ্রী রঙ্গত্রেবাসী বেঙ্কট ভট্টের
পুত্র দণি ভারত ভ্রমণকালে মহাপ্রভূ যখন বেঙ্কট ভট্টের গৃহের চারপাশে ছিলেন
গোপাল তখন প্রাণ ভরে প্রভূর সেবা করেছিলেন। তিনি বৃন্দাবনে রাধারমন
বিগ্রহের প্রতিষ্ঠাতা ব্রজলীলায় অনঙ্গ মঞ্জুরী, তিনি বেশ কিছু ভক্তি গ্রন্থ
ও রচনা করেছিলেন ।
শ্রী জীব গোস্বামী:-
ব্রজের বিলাস মঞ্জুরী। ভরদ্ধাজ গোত্রীয় ব্রাহ্মণ বংশে আর্বিভূত ।
শ্রী রঘুনাথ দাস গোস্বামীঃ-
ব্রজের রস মঞ্জুরী ব্রাহ্মন কুলে আর্বিভূত পিতা তপন মিশ্র।
ব্রজের রস মঞ্জুরী সপ্ত গ্রামে কায়স্থ কুলে আর্বিভূত।
পিতা শ্রীগোর্বদ্ধন দাস ।