🖐🖐🖐
কিছু জানতে চাইলে পোস্ট টা তে
৩-৪ মিনিট সময় দিন।।।🙏🙏🙏
মুসলমানরা নিজের ভাতিজিকেও বিয়ে করতে পারে:
এই বিষয়টি মনে হয় মুসলমানরা একেবারেই জানে না বা খেয়াল করে না । না হলে শুধু কাজিনদের বিয়ে করার জন্য তারা লাফায় কেনো ? নিজের ভাই এর মেয়ে বা চাচাতো ভাইয়ের মেয়েরা কী দোষ করলো যে তারা নিজের চাচার আদর থেকে বঞ্চিত হবে ?
সম্ভবত ২০১৪ সালে বাংলাদেশে এমন একটা ঘটনা ঘটেছিলো। চাচার সাথে ভাতিজির প্রেম হয়ে গেছে। দুজন দুজনকে ছাড়া আর থাকতে পারে না। এটা জানার পর পরিবারের মধ্যে বেশ কয়েকবার মিটিং করে তাদেরকে শাসানো হয়। কিন্তু তারা নাছোড় বান্দা। শেষ পর্যন্ত বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এক সাংবাদিক তাদেরকে খুঁজে বের করে এবং জিজ্ঞেস করে, কিভাবে তারা এই কাজ করলো ? তখন চাচাটা বলে, আমাদের আদম হাওয়ার ছেলে মেয়েদের মধ্যেও তো বিয়ে হয়েছে, সেটা তো ছিলো পরিবারের মধ্যেই; আমরা সেভাবেই করেছি। কিন্তু এই চাচাটার যদি সঠিক ইসলামের জ্ঞান থাকতো, তাহলে আদম হাওয়ার ছেলে মেয়েদের উদাহরণ না দিয়ে বলতো, আলী যদি তার ভাতিজি, অর্থাৎ ফাতেমাকে বিয়ে করতে পারে তাহলে আমরা কী ভুল করেছি ?
ঘটনাটা আর একটু ডিটেইলসে বলা যাক। আলী ছিলো নবী মুহম্মদের চাচাতো ভাই, আর ফাতেমা ছিলো মুহম্মদের মেয়ে। তাহলে ফাতিমা ও আলীর সম্পর্ক হয় চাচা-ভাতিজি। আলী যেহেতু খুব শক্তিশালী বীর ছিলো এবং মুহম্মদকে পছন্দ করতো, সেহেতু মুহম্মদ, আলীকে হাতে রাখার জন্য তার নিজের মেয়ের সাথে তার বিয়ে দিয়ে নিজের চাচাতো ভাইকে নিজের জামাই বানায়। নবীর ছুন্নত পালনের জন্য বাংলাদেশের মুসলমানরা বর্তমানে খুবই পাগল। তো এই সুন্নতটা পালন করতে দোষ কী ? নবী, কাজিনদেরকে বিয়ে করতে বলেছে কি শুধু কাজিনদেরকেই বিয়ে করতে হবে ? নবী, নিজের মেয়েকে তার চাচাতো ভাইয়ের সাথে যে বিয়ে দিয়েছে, সেই সুন্নতের কি কোনো দাম নেই ? নাকি সভ্য সমাজে এটা বলতে বা পালন করতে লজ্জা লাগে ? তো যেই ধর্মের বিধান পালন করতে বা বলতে লজ্জা লাগে, সেই ধর্ম পালন করার দরকার কী ?
বিয়ের ব্যাপারটা ভাইস ভার্সা। অর্থাৎ সম্পর্কের এক দিক থেকে বিয়ে করা সম্ভব হলে অন্য দিক থেকেও জায়েজ। যেমন- চাচা যদি ভাতিজিকে বিয়ে করতে পারে, তাহলে ভাতিজাও চাচীকে বিয়ে করতে পারবে। এখানে চাচী হলো মা সমতুল্য। তাহলে যে ছেলে চাচীকে বিয়েতে পারবে, সে তার মাকেও বিয়ে করতে পারবে। আবার অন্যদিকে ইসলামের বিধান অনুসারেই মুসলমানরা সৎ মাকে বিয়ে করতে পারে। পিতার স্ত্রী মাত্রই মা, সে সৎ হোক বা নিজের। তো সৎ মাকে বিয়ে করা গেলে, নিজের মাকে বিয়ে করতে দোষ কোথায় ? দুজনেই তো পিতার স্ত্রী । এই দুই যুক্তিতেই মুসলমানরা নিজের মাকেও বিয়ে করতে পারে। কোরানের বিধান অনুযায়ী মুসলমানরা আবার নিজের দত্তক নেয়া অর্থাৎ পালিতা কন্যাকে বিয়ে করতে পারে (কোরান, ৪/৩)। যে মেয়েকে কন্যা হিসেবে একবার স্বীকৃতি দেওয়া হয়, সে নিজের মেয়ের মতোই। তাকে যদি মুসলমানরা বিয়ে করতে পারে, তাহলে নিজের মেয়েকে বিয়ে করতে দোষ কোথায় ? উপরে দেয়া যুক্তি অনুসারে চাচীকে যদি বিয়ে করা যায়, ইংরেজিতে যাকে বলে আন্টি, তাহলে আন্টি সম্পর্কিত সকল সম্পর্ক যেমন – খালা, ফুফুদেরকেও মুসলমানরা বিয়ে করতে পারবে। কাজিন সম্পর্কিত বোনদেরকে বিয়ে করা তো মুসলিম সমাজে সর্বজন স্বীকৃত প্রথা, যেটা উপরে বলেছি। আর যারা চাচাতো মামাতো খালাতো বোনকে নিজের বউ বানাতে পারে, তারা নিজের বোনকে বউ বানাতে পারবে না কেনো ? সবাই তো বোন। এই ভাবে ঘটনা বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, মুসলিম সমাজে, মুসলমানদের কোনো মা-বোন নেই; সবাই বউ, অর্থাৎ সব মেয়েকে নিয়েই বিছানায় যাওয়া যায় এবং তাকে নিয়ে খেলা যায়।
মুসলমানদের কাছে বিজ্ঞানীর বিজ্ঞানী মহাবিজ্ঞানী, মুহম্মদের অনেক থিয়োরী ই এখন বাস্তবে ভুল প্রমানিত হচ্ছে। তর্কের খাতিরে উপরে যে ধরণের বিয়ের কথা বলেছি, সেগুলো বাদ দিলেও, মুহম্মদ, কাজিনদের সাথে বিয়ের যে বিধান দিয়েছে, বিজ্ঞান প্রমান করেছে যে, এই ধরণের বিয়ের ফলে যে বাচ্চার জন্ম হবে, তার মধ্যে জেনটিক ডিসঅর্ডার থাকতে পারে এবং এমন হলে সে হবে প্রতিবন্ধী। বাস্তবেও এটা দেখেছি, আমার এক মেয়ে ক্লাসমেট ছিলো, যার ভাই ছিলো কিছুটা অ্যাবনর্মাল। এর কারণ খুঁজতে গিয়ে সে ডাক্তারের কাছ থেকে জানতে পারে, তার বাপ মা আগে কাজিন ছিলো বলেই তার এই রকম অবস্থা হয়েছে। এটা জানার পর তো সে বাপ মায়ের উপর মহা ক্ষ্যাপা, কেনো তারা ভাই বোন হয়েও বিয়ে করলো ? দুনিয়ায় আর কোনো পাত্র পাত্রী ছিলো না ? এখন আমার এই অবস্থার দায় কে নেবে ? অথচ রক্তের সম্পর্কের এই নিকটাত্মীয়দের মধ্যে বিয়ের বিধান মাত্র ১৪০০ বছর আগে প্রবর্তিত তথাকথিত আধুনিক ধর্মের দেওয়া বিধান। এর বিপরীতে কমপক্ষে ৫ হাজার বছর আগে হিন্দু ঋষিরা সমাজের জন্য ক্ষতিকর বলে এই ধরণের নিকটাত্মীয়ের বিয়েকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে গেছে, যা হিন্দু সমাজে সবসময়ই ব্যাপকাভাবে পালিত রীতি। তাহলে কে বড় বিজ্ঞানী, আল্লা+মুহম্মদ, না হিন্দু মুনি ঋষিরা ?
জয় হিন্দ।
জয় শ্রীরাম, জয় শ্রী কৃষ্ণ।
উপরে উল্লেখ করা কোরানের আয়াত এবং তার ব্যাখ্যা দেখে নিন নিচে-
কোরান, ৪/৩ : “যদি তোমরা আশংকা প্রকাশ করো যে, তোমরা অনাথাদের প্রতি ন্যায় ব্যবহার করতে পারবে না, তবে তোমাদের অভিরুচি অনুসারে দুই, তিন বা চার জন নারীর পাণি গ্রহণ করবে।”
-এখানে অনাথা বলতে তাদেরই বোঝানো হচ্ছে যে, যাদেরকে দত্তক হিসেবে নেওয়া হয়েছিলো। আয়াতটির প্রথম বাক্য খেয়াল করুন, বলা হচ্ছে, অনাথাদের প্রতি ন্যায় ব্যবহার করতে না পারলে তাদেরকে বিয়ে করতে। এ কেমন বিধান রে বাবা ? বিয়ের আগে যার সাথে ন্যায় ব্যবহার করতে পারবে না, বিয়ের পর তার সাথে কিভাবে ন্যায় ব্যবহার করা সম্ভব ? এ থেকে মনে হয়, মুসলমানদের সকল ন্যায় ব্যবহারের মাপকাঠি হলো সেক্স। কন্যা হিসেবে তার সাথে ন্যায় ব্যবহার সম্ভব নয়, কারণ সে সেক্স করতে দেয় নি ! কিন্তু বউ হিসেবে তার সাথে ন্যায় ব্যবহার সম্ভব, কারণ সে সেক্স করতে দিয়েছে ! ! তাহলে এই ন্যায় ব্যবহার শুধু দত্তক বা পালিত কন্যাদের জন্য বরাদ্দ কেনো, নিজের মেয়েরা কি সেক্সের বিনিময়ে মুসলমানদের কাছ থেকে এই ন্যায় ব্যবহার পেতে পারে না ? হ্যাঁ অবশ্যই পেতে পারে, কারণ এরকমই এক ফতোয়া দিয়েছিলো তুরস্কের সর্বোচ্চ এক (ধর্মীয় নেতা) মুসলিম উন্মাদ। সে বলেছে,
“মেয়ের বয়স যদি ৯ বছরের বেশি হয়, তাহলে পিতা যদি তাকে কামনা করে, সেই পিতার কোনো পাপ হবে না।”