Asif Mohiuddin আসিফ মহিউদ্দিনের পোস্টে এক ভদ্র নম্র মুমিন Muhammad Mushfiqur Rahman Minar সাহেব দাবী করেছেন ইসলামে সদা সর্বদা সত্য কথা বলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাকিয়া বলে মিথ্যা বলার যে রীতি সেটা শিয়া মুসলিমদের মধ্যে চর্চা আছে কিন্তু সহি সুন্নি মুসলমানদের মধ্যে এগুলো কঠরভাবে নিষিদ্ধ। আমি নিশ্চিত শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ ইরানে মুমিনরা এ্ই একই তড়িকায় সুন্নিদের উপর তাকিয়ার দোষ চাপিয়ে নিজেদের রক্ষা করতে আরেক তাকিয়া চালায়। বলে রাখা ভালো ‘সুন্নি ইসলাম’ ‘শিয়া ইসলাম’ বলতে তাৎপর্যপূর্ণ কিছু নেই। এদের সকলের কুরআর আর নবী অভিন্ন। ক্ষমতার দ্বন্দ্ব থেকে আলীর সঙ্গে আবু বকর আর ওমরের যে সংঘাত সেখান থেকেই শিয়া বলে আলী সমর্থকরা সুন্নিদের থেকে পৃথক হয়ে যায়। যে কারণে নবী কন্যা ফাতেমার মৃত্যু কিভাবে হয়েছিলো সুন্নী হাদিসগুলো থেকে কোন স্পষ্টতর তথ্য পাওয়া যায় না- বলা চলে গোপন করা হয় কারণ ফাতেমাকে প্রায় খুন করেছিলো আবু বকর-ওমর গংরা। যেমন ইমাম হোসেনের মৃত্যুকে ঘিরে যে কারবালার কাহিনী সেটাকে সুন্নিরা লঘু করে মহরমের দশ তারিখে তারা রোজা রাখে ভিন্ন একটি প্রথার পূর্ব রেওয়াজকে মান্য করে। তাই মহরম হয়ে উঠেছে শিয়া মুসলমানদের একান্ত দিবস। সুন্নি গ্রুপের হাতেই নবীর নাতি হত্যা হয়েছিলো। যাই হোক, মূল কথায় ফিরে আসি। ইসলামে যে মিথ্যা বলাকে জায়েজ করেছে সেটা আমি খালি হাদিস নয়, খোদ কুরআনের আয়াত থেকে দেখাবো। কিন্তু বলে রাখা উচিত, ‘তাকিয়া’ বলে সরাসরি কোন তত্ত্ব আপনি কুরআন হাদিসে পাবেন না। তাকিয়া গড়ে উঠেছে কুরআন ও হাদিসের মিথ্যাচারের পূর্ব নিদর্শনগুলোর সূত্র ধরে। ইসলামের স্বার্থে, মুসলমানদের স্বার্থে মিথ্যা বলা জায়েজ। অর্থ্যাৎ, আপনি ব্যক্তিগত জমিজমা খুনখারাবীর জন্য মিথ্যা বলবেন সেটা ইসলাম বলেনি। কারণ ইসলাম বলেছে মিথ্যা বলা মহাপাপ। একজন মুসলমান অপর মুসলমানের সঙ্গে কখনো মিথ্যা বা প্রতারণা করবে না। একজন মুসলমান থেকে অপর মুসলমানদের জানমালের নিরাপত্তার কথা ইসলাম নিশ্চিত করেছে। কাজেই তাকিয়া হচ্ছে কেবলমাত্র দ্বিনের স্বার্থে প্রতারণা, মিথ্যা, জালিয়াতী করার একটা ইসলামী ভার্স। এই তড়িকায় একজন মুমিন অমুসলিমকে ইসলামে নিয়ে আসার জন্য ইসলামে যা নেই তা বলে অমুসলিমকে আকৃষ্ট করতে পারবে। কিংবা ইসলামের কথিত দুশমনকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে মিথ্যা জালিয়াতী করতে পারবে। বিষয়টা এমন না যে এসব খালি যুদ্ধ ক্ষেত্রের জন্য জায়েজ করা হয়েছে। বিশুদ্ধ হাদিসে এসেছে নবী বলেছেন তিনি কোন একটা চুক্তি করে সেটা অবলীলায় ভঙ্গ করে ফেলেন যদি দেখেন সেই চুক্তি অপেক্ষা অন্য কিছুতে বেশি লাভ…।
এবার আসুন কুরআন থেকে দেখি আল্লাহ মুসলমানদের ভান বা প্রতারণা করার অনুমোদন দিচ্ছেন সুরা নাহলে। সেখানে লেখা আছে, “যার উপর জবরদস্তি করা হয় এবং তার অন্তর বিশ্বাসে অটল থাকে সে ব্যতীত যে কেউ বিশ্বাসী হওয়ার পর আল্লাহতে অবিশ্বাসী হয় এবং কুফরীর জন্য মন উম্মুক্ত করে দেয় তাদের উপর আপতিত হবে আল্লাহর গযব এবং তাদের জন্যে রয়েছে শাস্তি” সূরা নাহল, ১৬:১০৬ (মক্কায় অবতীর্ণ)।
অর্থ্যাৎ যদি কোন মুসলমানের অন্তরে বিশ্বাস দৃঢ় থাকে অথচ ভিন্ন পরিস্থিতিতে তার উপর জুলুম চলে আসে বা নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হবার শংকা থাকে তাহলে সে সেখানে অমুসলিমদের মতবাদী সেজে সাময়িক পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবে এতে তার কোন গুণহা হবে না। আপনারা দেখবেন পাশ্চত্যে মুসলিম কমিউনিটি থেকে রাজনীতি যারা করেন মাথায় টুপি আর নিজেকে মুসলমান পরিচয় দিয়ে তারা গণতন্ত্র ব্যক্তি স্বাধীনতা ও সেক্যুলারজমের পক্ষের রাজনীতি করেন। এরাই আবার ৯০ ভাগ কোন মুসলমান দেশে ইসলামী ভাবধারার রাষ্ট্র গড়তে চান। মুসলিমদের এই হিপোক্রেসি মনভাব নিয়ে কিন্তু বিশ্বে একটা সমালোচনা আছে। তাদের এই হিপোক্রেসি যে কুরআনে এই রকম আয়াত থেকে জন্ম নিয়েছে সেটা আর কতজন জানে? আর এগুলোই যে ‘তাকিয়া’ সেটাই বা কতজন ধরতে পারে?
এবার দেখুন কুরআন কি ধরণের প্রতারণা করতে মুসলমানদের শিক্ষা দিচ্ছে। “মুমিনগন যেন অন্য মুমিনকে ছেড়ে কোন কাফেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে। যারা এরূপ করবে আল্লাহর সাথে তাদের কোন সম্পর্ক থাকবে না। তবে যদি তোমরা তাদের পক্ষ থেকে কোন অনিষ্টের আশঙ্কা কর, তবে তাদের সাথে সাবধানতার সাথে থাকবে আল্লাহ তা’আলা তাঁর সম্পর্কে তোমাদের সতর্ক করেছেন। এবং সবাইকে তাঁর কাছে ফিরে যেতে হবে” সূরা আল ইমরান, ৩:২৮ (মদিনায় অবতীর্ণ)।
এই আয়াত বলছে অমুসলিমদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ না করতে। কিন্তু যদি এতে খারাপ কিছু হবার আশংকা থাকে তাহলে বন্ধু সাজার ভান করা যাবে! ইউরোপ আমেরিকাতে কোথাও সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটার পর সেখানকার মুফতিরা ঠিক তার পরপরই কাফের পশ্চিমাদের বন্ধু বলে গলায় টেনে নেয়। অমুসলিমদের ভাই সম্বধন করে ভ্রাতৃত্বের আহ্বান শুনি যার সবই এই আয়াতের ভান করার অনুমোদন থেকেই অনুমোদিত। এটাকেই তাকিয়া বলে। এটা একজন মুসলমানকে মনে মনে একটা আর বাইরে আরেকটা প্রদর্শন করতে শেখায়…। তবে ব্যক্তিগতভাবে একজন মানুষ ধর্মীয় চিন্তা ছাড়াই ভ্রাতৃত্ব অনুভব করতে পারে। ব্যক্তিগতভাবে কোন মুসলমান সত্যিই অমুসলিমদের প্রতি ভাইয়ের মত হাত বাড়িয়ে দিতে পারে। এবং এগুলো একান্তই একজন মানুষের মানবিক গুণ। কিন্তু আমরা এখানে আলোচনা করছি ইসলামী ‘তাকিয়া’ নিয়ে যার অস্তিত্ব আছে কিনা তার সন্ধান করতে। যদি এরকম কিছু থেকে থাকে তাহলে নিশ্চিত করেই মুসলিমদের মধ্যে একাডেমিকভাবেই তাকিয়া চলে আসবে এটা নিয়ে কোন বিতর্ক নেই। যেহেতু সুন্নিরা তাকিয়া শিয়াদের মধ্যে প্রচলিত আছে বলে স্বীকার করে নিয়েছে তার মানে তাকিয়া বলতে যে কিছু আছে সেটা এক প্রকার সত্যি প্রমাণিত হয়েছে। এক সময় তাকিয়া বলতে কোন কিছুকেই স্বীকার করা হত না। দীর্ঘদিনের লেখালেখির পর এখন তাকিয়া অস্বীকার করতে না পেরে অন্যের উপর দোষ চাপিয়ে বাঁচতে চাইছে। সেটাও মন্দ নয়!
এবার খুব বাজে একটা তাকিয়ার উদাহরণ দেখাবো। যেখানে বলা হয়েছে চুক্তি করে ভঙ্গ করে ফেলতে! “তোমাদের নিরর্থক শপথের জন্য আল্লাহ তোমাদেরকে ধরবেন না, কিন্তু সেসব কসমের ব্যাপারে ধরবেন, তোমাদের মন যার প্রতিজ্ঞা করেছে। আর আল্লাহ হচ্ছেন ক্ষমাকারী ধৈর্য্যশীল। (সূরা বাক্কারা, ২:২২৫)।
মানে আপনি অমুসলিমদের সঙ্গে একটা চুক্তি করলেন, এটা তেমন কিছু নয়। কারণ আপনি আল্লার কাছে কোন কসম খাননি। এরকম চুক্তি ভেঙ্গে ফেলতে পারবেন কারণ এগুলোর কোন মূল্য আল্লার কাছে নেই। এ কারণেই দয়াল নবী বিশুদ্ধ হাদিসে বলেছেন, “আল্লাহর ইচ্ছায়, যদি আমি কোন ব্যাপারে শপথ করি আর পরে দেখি এর চেয়ে ভাল কিছু আছে তখন আমি যেটা ভাল মনে করি সেটাই করি আর তখন পূর্বেকার শপথ রক্ষার কোন দরকার মনে করি না” (সহি বুখারী, বই- ৬৭, হাদিস-৪২৭)।
এটা কি তাকিয়ার সবচেয়ে জঘন্ন প্রমাণ নয়? ইসলামে মিথ্যা জালিয়াতী প্রতারণা অনুমোদন নেই- এরপর কি জোর গলায় বলা যাবে? কুরআনে আল্লাহ বলছেন তিনিই সর্বোত্তম চক্রান্তকারী! (এবং কাফেরেরা চক্রান্ত করেছে আর আল্লাহও চক্রান্ত করেছেন। বস্তুতঃ আল্লাহ হচ্ছেন সর্বোত্তম চক্রান্তকারী (সূরা আল ইমরান, ৩:৫৪)। আল্লাহ বলছেন তিনিই সর্বোত্তম প্রতারণাকারী! (এবং কাফেররা প্রতারনা করেছে আর আল্লাহও প্রতারনা করেছেন। বস্তুত: আল্লাহ হচ্ছেন সর্বোত্তম প্রতারক(৩: ৫৪)। সুরা আনফালে আল্লাহ নিজেকে উত্তম ছলনাকারী বলছেন! “আর কাফেরেরা যখন প্রতারণা করত আপনাকে বন্দী অথবা হত্যা করার উদ্দেশ্যে কিংবা আপনাকে বের করে দেয়ার জন্য তখন তারা যেমন ছলনা করত তেমনি, আল্লাহও ছলনা করতেন। বস্তুতঃ আল্লাহর ছলনা সবচেয়ে উত্তম” সূরা আনফাল- ৮: ৩০। বিশুদ্ধ হাদিস আমাদের শিক্ষা দিচ্ছে মুসলমানদের দোষ গোপন করে মিথ্যাচার শঠতার পরিচয় দিতে। “যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের দোষ ঢেকে রাখবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দোষ ঢেকে রাখবেন।” (হাদিস- বুখারী-২৪৪২)। এই শঠতা বা তাকিয়াটি করতে হবে অমুসলিমদের কাছে। কারণ হাদিসটিতে বলাই আছে ‘মুসলমানের দোষ’ ঢেকে রাখার। মানে অমুসলিমদের কাছে মুসলমানের দোষ ঢেকে রেখে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করতে হবে। তারপরও বলা হবে তাকিয়া সুন্নিদের মধ্যে প্রচলিত নয়?
ইহুদী দুইজন কবিকে হত্যা করতে গুপ্ত হত্যাকারী টিম পাঠিয়েছিলেন নবী মুহাম্মদ যাদেরকে তিনি মিথ্যা বা প্রতারণার আশ্রয় নিতে অনুমোদন করেছিলেন সেই তথ্য আর এখানে দিলাম না কারণ এসব নিয়ে আগেও লিখেছি। তাকিয়ার আরেকটি অনুপ্রেরণার উদাহরণ দিয়ে লেখাটা শেষ করি। প্রথমে এই আয়াতটা পড়ুন, “হে নবী, আল্লাহ আপনার জন্যে যা হালাল করছেন, আপনি আপনার স্ত্রীদেরকে খুশী করার জন্যে তা নিজের জন্যে হারাম করেছেন কেন? আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়াময়। আল্লাহ তোমাদের জন্যে কসম থেকে অব্যহতি লাভের উপায় নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আল্লাহ তোমাদের মালিক। তিনি সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়” সূরা আত- তাহরিম, ৬৬: ১-২ ( মদিনায় অবতীর্ণ)।
এই আয়াতের তাফসির করেছেন তাফসির ইবনে জারীর। সেখানে বলা আছে, রাসূলুল্লাহ(স)তাঁর কোন এক স্ত্রীর ঘরে দাসী কিবতিয়াহ’র সঙ্গে কথাবার্তা বলছিলেন। তখন তাঁর ঐ স্ত্রী তাঁকে বলেন: “আমার ঘরে ও আমার বিছানায এ কাজ কারবার?” তখন রাসুলুল্লাহ( স: )বলেন, “আমি তাকে আমার উপর হারাম করে নিলাম”। তখন তিনি বলেন: “হে আল্লাহর রাসূল(স:)! হালাল কিভাবে আপনার উপর হারাম হয়ে যাবে?” জবাবে তিনি বলেন : “আমি শপথ করছি যে, এখন হতে তার সাথে কোন প্রকারের কথাবার্তা বলবো না”। ঐ সময় এ আয়াত গুলো অবতীর্ণ হয়।…তাফসীরে ইবনে জারীরে রয়েছে যে, হযরত ইবনে আব্বাস (রা) হযরত উমর(রা) কে জিজ্ঞেস করেন: “এ দু’জন স্ত্রী কে ছিলেন? উত্তরে হযরত উমর বলেন: “ তারা হলেন হযরত আয়েশা ও হযরত হাফসা। উম্মে ইব্রাহীম কিবতিয়াহকে কেন্দ্র করেই ঘটনাটির সূত্রপাত হয়। হযরত হাফসা এর ঘরে তাঁর পালার দিনে রাসূলুল্লাহ হযরত মারিয়াহ কিবতিয়াহর সাথে মিলিত হন। এতে হযরত হাফসা দু:খিতা হন যে, তাঁর পালার দিনে তাঁরই ঘরে ও তাঁরই বিছানায় তিনি মারিয়াহ এর সাথে মিলিত হলেন। রাসুলুল্লাহ হযরত হাফসাকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে বলে ফেলেন: “আমি তাকে আমার উপর হারাম করে নিলাম। তুমি এই ঘটনা কারো কাছে বর্ণনা করো না” এতদ্সত্ত্বেও হযরত হাফসা ঘটনাটি হযরত আয়েশা এর নিকট প্রকাশ করে দেন ।আল্লাহতালা এই খবর নবীকে জানিয়ে দেন এবং এই আয়াত গুলো নাজিল করেন। নবী কাফফারা আদায় করে স্বীয় কসম ভেঙ্গে দেন এবং ঐ দাসীর সাথে মিলিত হন। (তাফসীর ইবনে কাছির-১৭শ খন্ড, পৃষ্ঠা সংখ্যা-৫৫৮, অনুবাদ, ড: মূহাম্মদ মুজিবুর রহমান, প্রকাশক: তাফসীর পাবলিকেশন কমিটি)।
এখানেও শপথ করে ভেঙ্গে নেবার দলিল পাওয়া গেলো। এগুলো হচ্ছে উম্মদদের জন্য শিক্ষা। সমগ্র কুরআন আর হাদিস থেকে চষে আপনি এরকম প্রতারণা, মিথ্যা, জালিয়াতী করার নানা রকম ভার্স পাবেন। তবে সবগুলোই ইসলামের স্বার্থে, মুসলমানদের স্বার্থে হতে হবে। এসব কারণেই পাশ্চত্যের বহু মানুষ ইসলামের নানা রকম ভালো ভালো কথা শুনে ইসলাম গ্রহণ করে পরে আসল সত্য জেনে ইসলাম ত্যাগ করে ফেলেন। এদের বহুজন পরে বলেছিলেন, তাদের কাছে ইসলাম সম্পর্কে এমন কিছু বলা হয়েছিলো যা আসলে সত্যি ছিলো না। তারা প্রতারিত হয়েছিলেন…। এই আধুনিক যুগে সুন্নী ইসলাম প্রচারকদের সম্পর্কে এটাই হচ্ছে ইউরোপীয়ান আমেরিকান ইসলাম ত্যাগকারীদের মন্তব্য। তাই যখন কোন সুন্নী মুসলমান তাকিয়াকে শিয়াদের জিনিস বলে দাবী করবে তখন ধরে নিবেন ধড়ীবাজটা তাকিয়া থেকে নিজেদের বাঁচাতে আরেকটা তাকিয়ার আশ্রয় নিয়েছে মাত্র!