অন্য এক প্রোডাক্ট নিয়ে এল আইআইটি, যার খরচও অনেক কম এবং সহজলভ্য।
যন্ত্রপাতি থেকে অত্যাধুনিক সরঞ্জাম উদ্ভাবনে খড়্গপুর আইআইটির নাম থাকেই।
এবার মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য ভাল খবর দিতে চলেছে খড়্গপুর আইআইটি৷
আইআইটি-র গবেষণা থেকে উঠে আসা এই নতুন উদ্ভাবন হল সোয়া-দুধ৷ অর্থাৎ,
কৃষিজাত সোয়াবিন থেকে উৎপন্ন দুধ, যা গরুর দুধের থেকে গুণগত মানে অনেক বেশি
ভাল৷ অথচ, খরচ গরুর দুধের খরচের চারভাগের এক ভাগ৷ শুধুমাত্র দুধ-ই নয়, তা
থেকে ছানা, দই, পনির সবই তৈরি করা যাবে৷ তবে ঘি তৈরি করা যাবে না৷
এই দুধ শিশুদের বুদ্ধির বিকাশে উত্তম বলে দাবি করেছেন আইআইটি অধ্যাপকরা৷
এর আগেও রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে সামাজিক দায়বদ্ধতার স্বার্থে বেশ কিছু
প্রকল্প করেছে আইআইটি। এরকমই একটি প্রকল্পের কাজ করতে গিয়ে, আইআইটি-র
গবেষকদের নজরে আসে আসানসোল-রাণিগঞ্জ এলাকার গরিব শ্রমিক পরিবারগুলি৷ এদের
মধ্যে বেশিরভাগ পরিবারই অপুষ্টিজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন৷ কোনওভাবে কয়লা চুরি
কিংবা কয়লা খাদানে শ্রমিকের কাজ করে দিন চলে এদের৷ ফলে অর্থনৈতিক সমস্যাও
রয়েছে। এদের খাদ্যাভাস নজরে আসার পরেই আইআইটির অধ্যাপকরা আলাদা চিন্তাভাবনা
শুরু করেন৷
সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব বর্তায় খড়্গপুর আইআইটি-র এগ্রিকালচারাল এন্ড
ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উপরে৷ আইআইটি-র স্কুল অফ মেডিক্যাল সায়েন্স এন্ড
টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক অনলভ মিত্র বলেন ‘আমরা ওই সমস্ত এলাকার মানুষদের
অপুষ্টি দেখে কিছু খাদ্যাভাসের পরামর্শ দিয়েছিলাম৷ যা তাঁরা সামান্য চাষ
করেই পেতে পারতেন৷ কিন্তু তাঁরা তাতে সায় দেয়নি৷ তাই অল্প খরচে ওঁদের
পুষ্টি সরবরাহ করার রাস্তা হিসেবে
আমরা সোয়া-দুধ প্রস্তুত করেছি। এবং ওদেরও শিখিয়েছি৷ যা খুব ভাল ফল দিয়েছে।’
আইআইটি কর্তাদের হিসেব অনুসারে সোয়াবিনের মধ্যে সবজির গুণ রয়েছে ৪২
শতাংশ, ২০ শতাংশ তেল, ২১ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট, ৫ শতাংশ খনিজ এবং ৫ শতাংশ
ফাইবার রয়েছে৷ গবেষকদের মতে, রোজ ৩২ থেকে ৫০ গ্রাম সোয়াবিন সঠিক পদ্ধতি
অনুসারে গ্রহণ করলে বহু জটিল রোগ সহজেই প্রতিরোধ করা যায়৷ গরুর দুধ, ডিমের
বিকল্প হিসেবে সহজেই গ্রহণযোগ্য সোয়াবিন৷ আইআইটির এগ্রিকালচারাল এন্ড ফুড
ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক বি সি ঘোষ বলেন, ‘আমরা এক কেজি সোয়াবিন থেকে
আট কেজি দুধ পেতে পারি৷ গরুর দুধের ক্ষেত্রে অনেকের হজমের সমস্যা থাকে৷
কিন্তু সোয়াবিন থেকে তৈরি দুধ সহজেই হজমযোগ্য। এবং একেবারে নামমাত্র খরচে
বাড়িতে বসেই এই দুধ তৈরি করা যায়।’
দুধ তৈরির পদ্ধতি-
বাজারে সহজেই পাওয়া যায় সোয়াবিন বীজ৷ এক কেজি সোয়াবিন বীজের দাম ৬০ টাকা৷
এর থেকে কিছুটা নিয়ে রাতে বাড়িতে ভিজিয়ে রাখতে হয়৷ পরের দিন সকালে সেই বীজ
পিষে, তার সঙ্গে আটগুণ জল মেশাতে হবে৷ এরপর সেটিকে ভাল করে গুলে নিয়ে
ছেঁকে সাদা দুধের মতো অংশটা পৃথক করলেই পাওয়া যাবে দুধ৷
গুণগত মান নিয়ে অধ্যাপক অনলভ মিত্র বলেন, মানুষের বুদ্ধির বিকাশ চার বছর
পর্যন্ত হয়। জিডিপি নির্ভর করে আইকিউ এর ওপরে৷ বাচ্চাদের সোয়াবিনজাত খাদ্য
খাইয়ে দেখা গিয়েছে বাচ্চাদের ব্রেন গ্রোথ ভাল হচ্ছে৷ আসালসোল, রাণিগঞ্জ
এলাকার ১১৫টি পরিবার এই দুধ ব্যবহারের পর পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে তাঁদের
পুষ্টি ও ব্রেনের বৃদ্ধি ঘটেছে৷
- শরিয়তপুরের উপেক্ষিত প্রকৃতি বিজ্ঞানী গোপালচন্দ্র ভ…
- ইতিহাসে এক সাক্ষী,বিখ্যাত যশোরেশ্বরী কালী মন্দির…..
- প্রাচীন বাংলা এবং মগধে এক হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস বিক্…
- প্রাচীন ভারতীয় সমাজে নারীদের স্থান……………….
- আমাদের প্রাচীন সংস্কৃতি…………………………
- আমাদের প্রাচীন সংস্কৃতি…………………………
- খড়্গপুর আইআইটি-র নতুন আবিষ্কার গরু ছাড়াই সস্তায় …