বিএনপির মির্জা ফকরুলকেই দেখুন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন হয় অমিত শাহের এই দাবি এক কথায় নাকচ করে দিলেও মাত্রই মানবাধিকার দিবসে দাবী করেছেন দেশে নুন্যতম মানবাধিকার অবশিষ্ট নেই। সংখ্যালঘু নির্যাতনের জন্য তিনি তো সরকারকে অভিযুক্ত করতে পারতেন।
কিন্তু সুযোগ পেয়েও সেটা করেননি। এই একটি ব্যাপারে আমাদের জাতীয় ঐক্য বরাবরই ছিলো। হিন্দু সম্পত্তি দখলেও দেখা গেছে আমেলীগ বিএনপি জামাত হেফাজত ভাই ভাই। বাংলাদেশে কোন সংখ্যালঘু নির্যাতন হয় না – এই বিষয়েও জাতীয় ঐক নতুন কিছু নয়।
বাংলাদেশ একটা মুসলিম সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র – এরকম কিছুতে দেখবেন সরকারে কে আছে সেটা কেউ তাকাবে না। বামাতী আমাতী তখন একাকার। বাংলাদেশ হচ্ছে সেই দেশ যেখানে সংখ্যালঘুরা পায়ের উপর পা দিয়ে সুখে থাকে। আমাতী বামাতী সবাই এক সুরে কোরাস গাইতে শুরু করে দিবে। প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যটার কথা স্মরণ করতে পারেন।
যতই সংবিধান ‘বিসমিল্লাহির’ বলে শুরু করে ‘আল্লাহ আকবর’ দিয়ে মেনুফেস্ট ছাপিয়ে ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বসাক তবু বাংলাদেশ মুসলিমবাদী দেশ না খালি মোদী অমিত শাহ গদিতে বসেই ভারত হিন্দুত্ববাদী! বিসমিল্লাহির ছাড়া যেদেশের নেতাদের ভাষণ শুরু না হলে পাবলিক গোস্বা হয়, ইনশাআল্লাহ ছাড়া যারা কোন প্রতিশ্রুতি দিতে পারে না তারা ‘জয় শ্রীরাম’ শুনলে ভারতে হিন্দুত্ববাদের উত্থান দেখতে পায়!
যাই হোক, ভারতে মুসলমানরা খুব খারাপ অবস্থায় আছে শুনতে পাই। গরুর মাংস খেলেও পিটিয়ে মেরে ফেলে হিন্দুরা। শুধুমাত্র মুসলমানদের জন্য আলাদা দেশ পাকিস্তান বানানো হয়েছিল। সেটা ভাগ হয়ে বাংলাদেশ হয়েছে মানে মুসলমানদের জন্য এখন দুটো দেশ।
এই দুই দেশ ভারতের মত ক্যাব বানিয়ে ঘোষণা দিক ভারতের মুসলিমরা শরণার্থী হলেই মিলবে নাগরিকত্ব। দেখি ভারত থেকে কতজন মুসলমান পাকিস্তান বাংলাদেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করতে ইচ্ছুক হয়। ইউরোপ আমেরিকায়ও নাকি মুসলমানরা সেইরকমের ‘মুসলিম বিদ্বেষ’ আর ‘ইসলামফোবিয়ার’ শিকার হয়।
তো সৌদি আফগান ইরান এরাও ক্যাবের মত কিছু করে ইউরোপ আমেরিকার অভিবাসী নির্যাতিত মুসলমানদের নাগরিকত্বের ঘোষণা দিয়ে দেখুক কতজন সাড়া দেয়। সত্যিকারের নির্যাতিত অপমানিত কারা সেটাও তখন বেরিয়ে আসবে!