নেদারল্যান্ডের আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বিচারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে মুসলিম বিশ্ব থেকে। ওআইসি গাম্বিয়াকে দিয়ে এই মামলা করিয়েছে। পশ্চিমা যে দেশগুলো এই বিচারের পক্ষে জোর সমর্থন করছে তার পুরোটাই মানবিক দিক থেকে।
কিন্তু ওআইসি তথা গাম্বিয়াসহ অন্য মুসলিম রাষ্ট্রগুলো যারা এখানে ভীড় করেছে তারা আসলে ধর্মীয় জাতীয়তাবাদের টানে এখানে এসেছে। বাংলাদেশের কথাই ধরুন।
নেদারল্যান্ডের এই আদালতে বাংলাদেশ সরকার থেকে শুরু করে বহু বাংলাদেশী পর্যবেক্ষক এখানে এসে রোহিঙ্গাদের পক্ষে রায় দেখার আশায় মুখিয়ে আছে।
অথচ এদের উপর চলা পাকিস্তানের গণহত্যার বিচার তারা নিজেরাই করেনি। এমনকি প্রচারের অভাবে বিশ্বের কেউ জানেই না ৭১ সালে পাকিস্তান বাংলাদেশে ন্যাৎসি বাহিনীর মত গণহত্যা ধর্ষণ চালায়। বাংলাদেশ চায়নি পাকিস্তানের বিচার হোক।
প্রথমত মুসলিম উম্মাহর অংশ হিসেবে আরেক মুসলিম উম্মাহর বিচার করে সে সৌদি আরবের বিরাগ ভাজন হতে চায়নি। ওআইসি সদস্য পদ পাওয়া সম্ভব হতো না পাকিস্তানের বিচার চাইলে।
মুসলমান হওয়ার কারণে পাকিস্তানী মুসলমানের হত্যা ধর্ষণের কথা ভুলেও গেছে বাংলাদেশীরা।
যারা নিজের মা বোনের ধর্ষকদের বিচার করতে পারেনি তারা কোন মুখে হেগের বিচারালয়ে হম্বিতম্বি করে?