যখনি নিজেদের নিয়ে কিছু লিখতে চাই, ঠিক তখনি গুলিয়ে যাই ঠিক কোথাথেকে শুরু করবো বুঝে পাইনা, যেহেতু শুরুটা সঠিকভাবে কেউই জানেনা, সেহেতু শুরু দিয়ে শুরু করলামনা, বরং সেখান থেকে আধুনিক সময়ের বিভ্রান্তি শুরু সেখান থেকেই শুরু করলাম, আমি একজন সামান্য মানুষ তাই আমার কথার গুরুত্ব তেমন নেই, তবুও পাঠকদের কাছে অনুরোধ করবো অবশ্যই নিজেদের চেষ্টায় নিজেদের ইতিহাস নিয়ে সচেতন হতে।
আমাদের কাছে কোনটা বেশি ভয়ঙ্কর ১) একটি বিষাক্ত ভাইরাস যেকিনা ভয়াবহ মহামারী ঘটিয়ে বহু মানুষের জীবন কে শেষ করে দিতে পারে। নাকি ২) এমন একটি মারণ ব্যাধি যা মানব দেহের মধ্যে খুব শান্তিতে অবস্থান করে, ধীরেধীরে সমগ্র মানব সভ্যতাকে ধ্বংসের মুখে নিয়ে যায়।
প্রথমটির ক্ষেত্রে আগের থেকে নিজের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে রাখলে মহামারী হবার সুযোগ নেই বরং মহামারী সমূলে উৎপাটন করা সম্ভব।কারণ এই ভাইরাসটির গতিবিধি আমাদের জ্ঞাত।দরকার কেবল ক্লীবতা মূক্ত জীবন আদর্শ।
কিন্তু দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে আমাদের নিজেদের আত্মসচেতনতা আর নিজেদের নিজেদের বিষয়ে প্রাথমিক জ্ঞান ও নিজেদের উপর বিশ্বাস বৃদ্ধিই একমাত্র বেঁচে থাকার ঔষধ, কারণ এই ব্যাধি রূপ বদল করে নানাভাবে আমারে চেতন ও অবচেতন শরীরে আক্রমণ করতে সক্ষম, তাই একদম প্রথম থেকেই সচেতন থাকতে হবে।
প্রথম ভাইরাসের নাম যদি বর্বর আরবিয় ইসলামিক আগ্রাসন হয়, তবে দ্বিতীয়টির নাম ইয়োরোপীয় খ্রিষ্টীয় মিথ্যাচারী কূটনীতি।
ইসলামের প্রোপাগান্ডা ঘোষিত, তারা দ্বিধাহীন ভাবে বিধর্মীদের নিকেশ করতে চায়, সুতরাং নিজের অস্তিত্ব কে টিকিয়ে রাখতে গেলে ইসলামের চোখে ইসলামকে দেখতে হবে, সচেতনতা আর রক্ষণশীলতাই এই রোগের ঔষধ।
কিন্তু খ্রিষ্টীয় প্রোপাগান্ডা এতটাই সুচতুর এবং সুগভীর নিপুণ মহাশক্তিধর যাকিনা আমাদের মত মানুষের চর্মচক্ষুতে বোঝবার উপায় নেই, খ্রিষ্টীয় মিশনারিরা আমাদের সভ্যতার ইতিহাস যেভাবে বিকৃত করে গেছে, যার ফলে এত বিভেদ, কিন্তু এই চক্রান্ত আমাদের জানা নেই, যার ফলে অন্তর থেকে নিত্যদিন আমাদের ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে কিন্তু আমরা বুঝতে পারছিনা, সবথেকে অবাক করা ব্যাপার এইযে মিশনারিদের ভারতীয় ইতিহাস বিকৃতির অন্যতম কারণ ছিল ভারতে খ্রিস্ট ধর্মের প্রচার, সেটা যখন সফল হলো না, তখন সেই বিকৃত ইতিহাসের প্রচারের উত্তর দায়িত্ব তারা ভারতীয় বামপন্থিদের উপর দিয়ে গেল, যার ফল এখন বিভেদের মাধ্যমে ভারতবাসী ভুগছে।
তবে এইসব রোগ আমাদের মধ্যে বেশি প্রভাবের কারণ আমাদের অশিক্ষা, বস্তুতান্ত্রিক চিন্তাধারা, প্রচলিত ধর্মাচরণ পরিচালনা করছে কিছু অশিক্ষিত অপদার্থ যারা নিজেরই অন্তঃসারহীন যার ফলে আমরাদেরও পুষ্টিসাধন হচ্ছেনা, তাই আমরা উদাসীন,জাত্যভিমান শূন্য কাপুরুষ ব্যক্তিত্ব নিয়ে বেঁচে আছি।
আমরা খালি অপেক্ষায় থাকি শেষ বয়সের উদ্ধারের, আর অবতারে অবতারণের,,,,
ক্রমশ…..
লিখিকা,
সুমিত ভট্টাচার্য্য