পশ্চিমবঙ্গে বহুল প্রচারিত আনন্দবাজার পত্রিকার মালিকানা ইদানিং পরিবর্তন হয়েছে।এখন নতুন আনন্দবাজার প্রকাশিত হচ্ছে।যে সমস্ত নিষ্ঠাবান জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ছিলেন অনেকের আনন্দবাজার থেকে ছাটাই হয়েছে।
যারা নকশালবাদ,মাওবাদ,মেকলেপন্থী,ভারতীয় সংস্কৃতি ঘোর বিরোধী তারাই আজ পত্রিকার দখল নিয়েছে।এককথায় কানাইয়া কুমার মতবাদীরা আজ আনন্দবাজার চালাচ্ছে। ফলসরূপ কাশ্মীর ঘাটিতে নিহত উগ্রপন্থীদের ছবি এবং তাদের পরিবারের লোকজনদের কান্না আনন্দবাজারের প্রথম পাতার বড় করে প্রচার করা হচ্ছে।কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু নির্যাতনের খবর ছাপার জন্য এদের কোনো জায়গা থাকেনা।এদের আদর্শ পুরুষ দেশের “বরবাদী” চায়।তাই এখন হিন্দু সমাজের সবচেয়ে শ্রদ্ধার কেন্দ্র দেবী-দেবতা ও মা বোনেদের নিয়ে টানাটানি আরম্ভ করেছে।এই তথাকথিত সেক্যুলারবাদী ও জেহাদীরা জানে হিন্দুর কোন জায়গায় আঘাত হানতে হবে।দেশ বিভাজনে পূর্বে ও পরে বাংলাদেশকে হিন্দুশূন্য করার জন্য এরা এই রাস্তাই নিয়েছিল।আজ প্রায় এরা সফল।স্বাধীন ভারতবর্ষে এদের সংখ্যা প্রায় ৩০ শতাংশ । ৫০ শতাংশের স্বপ্ন দেখছে।তাই মা দুর্গা ,মা সরস্বতী ,মা কালী নিয়ে এরা নোংরামি আরম্ভ করেছে ।মা দুর্গাকে তো বেশ্যারমনী এবং মহিষাসুর কে দলিত সম্প্রদায়ের বলে উল্লেখ করেছেন।মা দুর্গার জন্য কোনো শ্রদ্ধা নাই, “মহিষাসুর বলিদান দিবস” পালনকে যারা সমর্থন করে তারাই এখন আনন্দবাজারের পরামর্শদাতা।
এদেরই নির্দেশে আনন্দবাজার পত্রিকার শারদ সংখ্যা মা দুর্গার নগ্নরূপ।কেন মায়ের এই অপমান?কারন ভারতীয় সমাজে সবচেয়ে শ্রদ্ধার স্থান এই ‘মা’ বা মাতৃরূপ । এই রূপের অসম্মান মানেই হিন্দু সমাজের মর্মস্থানে আঘাত।এই ভয় ও অপমানে হিন্দুরা তাদের ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়।বাংলাদেশের সফল পরীক্ষা ভারতেও আরম্ভ হয়েছে।তাই দিকে দিকে এই মৌলবাদী জেহাদী মানসিকতা সম্পন্ন ব্যাক্তিদের হুংকার।
যে মমতাদি তার প্রশাসনের প্রথম পর্যায়ে একসময় এই আনন্দবাজার বয়কট করার আবেদন জানিয়েছেন।কোন কাগজ পড়বেন কোনটা পড়বেন না বলেছিলেন-তিনি তার দ্বিতীয় পর্যায়ে ক্ষমতায় এসে একেবারে “ইউটার্ন” নিলেন।কোন কারণে আনন্দবাজারের সবচেয়ে বড় সাপোর্টার হলেন।এই সংখ্যালঘু তোষন,জেহাদি মানসিকতা,মেকি ধর্মনিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে হিন্দু দেব দেবীর অপমান ,দেশের বরবাদী থেকে ভারত মাতাকে রক্ষার করার জন্য প্রতিবাদ জানাতে আনন্দবাজার ঘেরাও কার্যক্রম।মমতাদি পুলিশমন্ত্রী হয়ে আনন্দবাজার দপ্তর ঠিক নবান্নের মত নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে দিলেন।বেছে বেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দলের কার্যকর্তাদের গ্রেপ্তার করলেন।এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে এগিয়ে আসুন ,আমরা সকলে দল মত নির্বিশেষে ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গ রক্ষার স্বার্থে -এই ভারত বিরোধী মানসিকতার বিরুদ্ধে জনজাগরনের অংশ গ্রহন করি।আগামী দিনে বড় আন্দোলনে শামিল হওয়ার সঙ্কল্পবদ্ধ হই।