ইদানীং দুর্গাপূজার বিসর্জন নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় ঝড় তোলা ব্যক্তিরা কিছুদিন আগে বাদুড়িয়া নিয়েও এরকমই তোলপাড় করেছিল কিন্তু তাদের বা তাদের স্পনসরদের দায় কেবল ঝড় তোলাতেই সীমাবদ্ধ। আক্রান্তদের রিলিফ দেয়ার দায় তাদের নেই। তাই বাদুড়িয়া ‘ইস্যু’ এখন তাদের কাছে অতীত, নতুন ইস্যু বিসর্জন।
কিন্তু হিন্দু সংহতির কাছে হিন্দুদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই নিছক ইস্যু নয়, আদর্শ। তাই সৌরভ সরকার (নাম পরিবর্তিত) নামের এক হিন্দু নাবালককে ফেসবুকে পোস্ট করার অভিযোগে পুলিশ বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার করলে হিন্দু সংহতি তার অধিকার রক্ষার জন্যে প্রশাসনিক ও আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং গত ৫ই আগস্ট বসিরহাট ACJM কোর্ট থেকে তার প্রাপ্য অধিকার সুনিশ্চিত করে।
সৌরভ সরকার কেসে লেজেগোবরে হওয়া পুলিশের বড়বাবুরা নিজেদের মুখরক্ষা করার জন্যে গত ১১ই আগস্ট, প্রতীক পাল (নাম পরিবর্তিত) নামে আরেকজন হিন্দু নাবালককে গ্রেপ্তার করে এবং ফেসবুক পোস্টের যাবতীয় দায় তার উপর চাপিয়ে দেয়। সৌরভের কেসের মত, এবারেও জেহাদিদের পা চাটা, সেই নির্লজ্জ পুলিশ অফিসারেরা নাবালক প্রতীককে সাবালক হিসাবে দাবী করে এবং চুপিচুপি আদালতে পেশ করে তার ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজত নেয়।
আজ ১৪ দিনের মাথায় সেই মামলা বসিরহাট কোর্টে উঠলে সহঃ সভাপতি ব্রজেন্দ্রনাথ রায়ের নেতৃত্বে হিন্দু সংহতির লিগাল টিম প্রতীকের পক্ষে দাঁড়ায় এবং পুলিশের যাবতীয় ষড়যন্ত্র ভেদ করে প্রতীকের সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়। মহামান্য আদালতকে প্রতীককে জুভেনাইল হোমে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৮শে আগস্ট।
সৌজন্যেঃ শ্রী Prasun Maitra…