ভারতের সেক্যুলারদের জন্য পাকিস্তানের এত মায়াকান্না কিসের ! পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর, দীপিকা পাড়ুকোনকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়েছেন – বিক্ষোভকারীদের পক্ষে অবস্থান করার জন্য। বিক্ষোভটা কি নিয়ে ?
পাকিস্তান ও পাকিস্তানপন্থীরা, তিনটি দেশ থেকে যে সব হিন্দু ও শিখদের তাড়িয়েছে ; বর্তমান সরকার তাদের নাগরিকত্ব দিয়েছে – সেটা প্রতিবেশী সম্প্রদায় ও সেক্যুলাররা মেনে নিতে না পেরে, জ্বালাও-পোড়াও-সহিংসতা করছে। পাকিস্তান ও পাকিস্তানপন্থীরা যদি অমানবিক নির্যাতন না করতো, তাহলে ঐ অসহায় সংখ্যালঘুরা তো ভারতে আসতো না।
১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা, হিন্দুদের লাইন ধরে দাঁড়া করিয়ে, ব্রাশফায়ার করে মেরে বলেছে, “মালাউন কো মিটা দো।”
ভারতে বসবাসকারী পাকিস্তানপন্থী সেক্যুলার সম্প্রদায় তখন বলেছে, “পাকিস্তানি জওয়ান ভাইয়েরা পূর্ব বঙ্গে শান্তি স্থাপন করছে।”
পাকিস্তান ভাঙার পর,ভারতে বসবাসকারী পাকিস্তানপন্থীদের আসল চেহারা বেড়িয়ে আসে। এদের তুষ্ট করে ভোট ব্যাংক রক্ষা করতে, ইন্দিরা গান্ধী ইমার্জেন্সি দিয়ে, সমস্ত বিরোধী রাজনীতিবীদদের জেলে ঢুকিয়ে, ৪২ তম সংশোধনীর মাধ্যমে – সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা সংযোজিত করে, হিন্দু জাতিকে শৃঙ্খলিত করেন। ইন্দিরা গান্ধী সনাতন হিন্দু ছিলেন না। তিনি ফিরোজ জাহাঙ্গীর নামক একজন ইরানি বংশোদ্ভূত বিধর্মীকে বিয়ে করে, ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন। হিন্দু জাতিকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে, জাতীয় শত্রুরা ধর্মনিরপেক্ষতার গভীর ষড়যন্ত্র জাল বিছিয়েছে। অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে হিন্দু জাতিকে অবশ্যই ধর্মনিরপেক্ষতায় লাথি মেরে, সংবিধান সংশোধন করতে হবে।
সেক্যুলার কমিউনিষ্টদের আর আক্কেল হলো না। যে কমিউনিষ্টরা মুসলিম লীগের সাথে মিলে ধর্মযুদ্ধ করে,পাকিস্তান কায়েম করেছিল ; সেই পাকিস্তানে সেক্যুলার বর্ণহিন্দু কমিউনিষ্টদের কি করুণ পরিনতি হয়েছিল, সে কাহিনী তরুণ প্রজন্ম জানে না। আমি কেবল একটি দৃষ্টান্ত তুলে ধরছি। পার্টিশনের অব্যবহিত পরে, ১৯৫০ সালে পূর্ব পাকিস্তানের নাচোলে, কৃষক নেত্রী উচ্চ শিক্ষিতা ইলা মিত্রকে, বাংলাভাষী শান্তির ধর্মাবলম্বী পুলিশ, ট্রেন ষ্টেশন থেকে তুলে নিয়ে গ্যাং রেপ করে, প্রজনন অঙ্গে একের পর এক গরম ডিম ঢুকিয়ে দিয়ে, পৈশাচিক উল্লাসে মেতে উঠে বলেছিল, “তোকে পাকিস্তানি ইনজেকশন দিচ্ছি।”
পৌষ মাসের প্রচণ্ড ঠাণ্ডার মধ্যে উম্মুক্ত কয়েদখানায়, সাধারণ কয়েদিদের প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে ইলা মিত্রকে, দিনের পর দিন সম্পূর্ণ বিবস্ত্র অবস্থায় রেখে – অপমান করা হয়েছে, কষ্ট দেওয়া হয়েছে।
ইলা মিত্র ১৯৫৪ সালে মুমূর্ষ অবস্থায় কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে, ভারতে চিকিৎসা নিতে গিয়ে, আর পাকিস্তানে ফিরে আসতে সাহস পান নি। ইলা মিত্র ২০০২ সাল পর্যন্ত জীবিত ছিলেন। বাকিটা জীবন তিনি ভারতে থেকে, নিরলস ভাবে ধর্মনিরপেক্ষতা প্রচার করে হিন্দু জাতিকে বিভ্রান্ত করে গেছেন। কেউ তাকে প্রশ্ন করেনি, আপনি এই ধর্মনিরপেক্ষতা আপনাদের পেয়ারা পাকিস্তানে ফিরে গিয়ে, কেন প্রচার করছেন না। ভারত যদি হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়, তখন তো সমস্ত হিন্দু মা-বোনদের পাকিস্তানি ইনজেকশন দিয়ে শাস্তি প্রতিষ্ঠা করা হবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সেক্যুলার চক্র, ধর্মনিরপেক্ষতা প্রমাণের জন্য পাল্লা দিয়ে গরুর গোশত খাচ্ছেন ; তারা পারলে তাদের শান্তিবাদী কমরেডদের এক টুকরো শুয়োরের মাংস খাওয়াতে পারেন কিনা, দেখুক।
ভারতের যে সব শান্তিবাদী, হিন্দুদের সামনে বলে উদারতা-সহিষ্ণুতা-ধর্মনিরপেক্ষতা অত্যাবশ্যক ও বিকল্পহীন ; তারাই নিজেদের মধ্যে আলোচনা কালে বলে, পাকিস্তান মালাউনদের নিশ্চিহ্ন করে, রাষ্ট্রটিকে পবিত্র করেছে। আমরাও ভারতকে অচিরেই নাপাক মুক্ত করবো।