মায়ানমার থেকে রোহিঙ্গারা নির্যাতিত হয়ে সারিবদ্ধভাবে টেকনাফ বর্ডারে যখন আসে, তখন টেকনাফের আশে পাশের এদেশীয় ৫০ উর্ধো মুসলমান পুরুষগুলো কামাতুর ও লোভাতুর দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে। মায়ানমার থেকে নির্যাতিত হয়ে আসা ভীড়ের মধ্যে তারা খুঁজে বেড়ায় কোনো সুন্দরী কিশোরীকে। খুঁজে পেলে তারা কিছু টাকা দিয়ে মেয়েটিকে বাগিয়ে নেয় বিয়ে করার জন্য। কারন মায়ানমার থেকে নির্যাতিতের মধ্যে অধিকাংশই আসে নারী ও শিশু। মায়ানমার থেকে সুন্দরী রোহিঙ্গা কিশোরীদের নিয়ে চলে এখানে পণ্যের মতো হাট-বাজারের দরদাম। ভাবতেই ঘেন্না হয়! এদেশীয় মুসলমানদের মায়ানমার রোহিঙ্গা মুসলমানদের প্রতি কি মানবিক মুল্যবোধ! মানুষের কতোখানি মানবিক অবক্ষয় হলে এমন কাজ করতে পারে? এই যে মুসলমানরা বলে, মুসলমান মুসলমান ভাই। আসলে বাস্তবিক অর্থে দেখা যায় এক দেশের মুসলমানরা বিপদে পড়লে আরেক দেশের মুসলমানরা সেখানে মানবতার ঢালা নিয়ে বরণ করতে আসে না। বরঞ্চ আসে নিরুপায় ও অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে হরণ করতে! এক দেশের মুসলমান বিপদে পড়লে আরেক দেশের মুসলমান মানবতা দেখাতে আসবে, এতোটা উদার বিশ্বে এখনো কোনো মুসলমান দেশ হয়নি। ইসলামিক সন্ত্রাসী আইএসের হাতে শিকার হওয়া ইরাক-সিরিয়ার ৩০ লক্ষ শরণার্থী মুসলমানদের কোনো মুসলমান দেশ আশ্রয় দিয়েছিল? না দেয়নি। ৭১ এর যুদ্ধের সময় এদেশের এক কোটি হিন্দু-মুসলমান বাঙ্গালীকে (যেখানে অধিকাংশ ছিল মুসলমান ছিল) কোনো মুসলামান দেশ আশ্রয় দিয়েছিল? না দেয়নি। দিয়েছিল হিন্দু অধ্যুষিত রাষ্ট ভারত। আবারো বলি,
—-এক দেশের মুসলমান বিপদে পড়লে আরেক দেশের মুসলমান মানবতা দেখাতে আসবে, এতোটা উদার এখনো মুসলমানরা হয়নি। (অপ্রিয় কথা)