এবারে ভেবে দেখুন,… তোতনের মত দৃঢ়চেতা এক যোদ্ধার পক্ষে কি এই এতকিছুর পরেও নিরবে বাড়ির ভিতরে ঘাপটি মেরে বসে থাকা বা আয়েশ করা সম্ভব?

কুরবানি’র পর বেছে বেছে হিন্দু বাড়ি’তে গরুর রক্ত ছিটানোর অভিযোগঃ রায়গঞ্জের দাঙ্গা কেড়ে নিল হিন্দু সংহতি কর্মী, তোতন দাসের তাজা প্রাণ। 

মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার সাম্প্রতিক দাঙ্গায় জেহাদি আক্রমণ প্রতিহত করতে গিয়ে প্রান হারাল এক হিন্দু সংহতি কর্মী। বছর তেইশের এই তরতাজা নিরীহ যুবকের নাম তোতন দাস। খবরে প্রকাশ স্থানীয় ইসলামিক আগ্রাসনকে প্রতিহত করার সময়েই বোমার আঘাতে মৃত্যু ঘটে হিন্দুসমাজের এই নিম্নবর্নের (কাপালিক) যোদ্ধার। আরও এক হিন্দু যুবকের অবস্থাও অত্যন্ত সংকটজনক। রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা ব্যনার্জী তার সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক অক্ষুণ্ণ রাখতে হাওড়া’র ধুলাগড়ের মত এটিকেও হয়তো সাজানো ঘটনা বা বিজেপি’র অপপ্রচার বলে অসন্তোষ প্রকাশ করতেই পারেন, কিন্তু তাতে কি আর কোনভাবেই বছর আঠারো’র সদ্য বিধবা তোতনের হতভাগ্য স্ত্রী’র বুকফাটা হাহাকার বা তার পরিবারের চোখের জলকে অস্বীকার করা সম্ভব? – না, ইসলামিক জেহাদের আঁচে সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে সাম্প্রতিক দলিত ও পিছিয়ে পড়া অনুন্নত শ্রেনীর দরিদ্র হিন্দুদের প্রত্যহিক জীবনযন্ত্রণার দিনলিপিগুলিকে কেউ অস্বীকার করতে পারবেন…??

কে এই তোতন? উত্তর দিনাজপুরের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত রায়গঞ্জ থানার অন্তর্গত রাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা, পেশায় রাজমিস্ত্রী পরেশ দাস ও ঝুনু দাসের বড় আদরের ছোট ছেলে সে। তার এক দাদাও অবশ্য আছে, তবে বিয়ের পর বৌ’দিকে নিয়ে সে তার মত আলাদাই থাকে। রঙের কাজ বা রাজমিস্ত্রী’র জোগাড়ে, ছোটখাটো টুকটাক যখন যা জোটে, তাই নিয়েই স্ত্রী ও বৃদ্ধ বাবা-মা সহ তাদের চারজনের সুখী সংসার। পাশাপাশি এলাকায় হিন্দু সংহতির সাহসী যোদ্ধা বলেও তার একটা আলাদা পরিচয় গোড়া থেকেই ছিল।

স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যায় যে, গত ৩’রা সেপ্টেম্বর রবিবার, কুরবানির ঠিক পরের দিন দুপুর ১২টা নাগাদ হঠাৎ-ই গ্রামে খবর আসে আগের দিনের বামনগ্রামের ঝামেলা’কে কেন্দ্র করে নিকটবর্তী মুসলমান পাড়ার দিক দিয়ে হাজারে হাজারে জেহাদি তাদের গ্রাম দখল করতে এগিয়ে আসছে। আক্রমণ ও লুঠতরাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে একেবারে প্রথম দিকে’র হিন্দু বাড়ি আর দোকানগুলিতে। দূর থেকে ভেসে আসতে থাকে তীব্র কোলাহল। মুহূর্মুহু বোমার আওয়াজ আর কটু ধোঁয়ার গন্ধে ভীত সন্ত্রস্থ হয়ে পড়েন স্থানীয় গ্রামবাসী’রা। না, থানা-পুলিশ বা রাজনৈতিক দাদা-দিদি আর কারও কথা না ভেবে বা কারও জন্যে এক মুহূর্তও অপেক্ষা না করে এলাকার হিন্দু যুবকদের নিয়ে সরাসরি প্রতিরোধ তৈরি করার চেষ্টায় মাঠে নেমে পড়ে সে। হায়! তখনও কি তার বাবা-মা বা স্ত্রী নেহা …. কেউই বুঝতে পেরেছিল, – এ দেখাই শেষ দেখা! তাদের নয়নের মনি তোতন আর কোনও দিন-ই ফিরে আসবে না! “মা-বাবা” কিংবা “নেহা” বলে সে আর কখনও ডাকবে না!! অবশ্য তা বোঝার উপায়-ই বা আর কি? এ তো আর নতুন কিছু নয়! হিন্দু সংহতি’র একনিষ্ঠ লড়াকু হিসেবে এর আগেও তোতন’কে বহুবার আগ্রাসী জেহাদি হানাদারদের বিরুদ্ধে ময়দানে এগিয়ে যেতে দেখেছেন তারা। আবার লড়াই শেষে শেষ হাঁসিটিও হাঁসতে দেখেছেন তাদের ঘরের এই অসম্ভব সাহসী ছেলেটি’কেই। এই জন্য অবশ্য প্রতিবেশীদের’ও বড় ভরসার জায়গা ছিল সে। এমনকি এই একই কারনে এলাকার বিখ্যাত সমাজসেবী তথা ডাক্তার শ্রী তুষার সরকারও বড্ড ভালোবাসতেন সদা হাস্যময় ও ছটফটে প্রানবন্ত এই যুবক’টিকে। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই চরম বাস্তব যে, মুর্শিদাবাদ ও মালদহের পর পশ্চিমবঙ্গের তৃতীয় জেলা হিসেবে উত্তর দিনাজপুরের হিন্দু সংখ্যালঘু এলাকার বাসিন্দা হবার সুবাদে এলাকার ইসলামিক জেহাদি আগ্রাসনের মুখোমুখি হওয়ার অভিজ্ঞতাটা এনাদেরও নিত্যদিনের অভ্যেস! অবশেষে হিন্দু সংহতির কর্মকান্ডের কথা জানতে পেরে এবং তাদের কাজকর্মে আশার আলো দেখতে পেয়ে ডঃ সরকার গত বছরেই ২০১৬’র ৪’ঠা ডিসেম্বর হিন্দু সংহতি’তে যোগদান করেন। মূলতঃ তারই হাত ধরে এলাকার প্রতিবাদী যুবক হিসেবে তোতনের এই সংগঠনে আসা। আর এই ভাবেই একদিন হিন্দু সংহতি’র মাননীয় সর্বভারতীয় সভাপতি তথা সংগঠনের প্রাণ পুরুষ শ্রী তপন ঘোষের নেতৃত্ব’কে শিরোধার্য্য করে তোতন হাতে তুলে নেয় সংহতির গেরুয়া ঝান্ডা। সামিল হয় ধর্ম ও জাতি সহ মাতৃভূমির সম্মান রক্ষার লড়াইয়ে। 

খবরে প্রকাশ, ২’রা সেপ্টেম্বর ঈদের দিন কোরবানি দেওয়া গরুর রক্ত ও হাড়গোড় বেছে বেছে রায়গঞ্জেরই বামনগ্রামের হিন্দুদের বাড়ি ও দেবস্থানগুলিতে ছিটাতে শুরু করে, জেহাদি মুসলমানদের একাংশ। এই নিয়ে স্থানীয় হিন্দুরা প্রতিবাদ করলে এলাকায় সাম্প্রদায়ীক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। খবর আসে পাঁচ কিলোমিটার দূরের তোতনের গ্রাম রাড়িয়ায়। এই খবর দাবানলের মত চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ায়, পরের দিন অর্থাৎ ৩’রা সেপ্টেম্বর তা নিয়ে পার্শ্ববর্তী বিস্তীর্ন এলাকার হিন্দুদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। ঠিক হয়, এমত পরিস্থিতিতে রাড়িয়ার নেতৃত্বে বাদবাকি এলাকার সমস্ত হিন্দুরা বামনগ্রামের হিন্দুদের পাশে গিয়ে দাঁড়াবে। সেই মত মোটর সাইকেল ও ভ্যানো নিয়ে তারা দুপুর ১০টা থেকে সাড়ে দশটার মধ্যে আক্রান্ত এলাকায় গিয়ে হাজির হন। পরে, রায়গঞ্জ থানাতে গিয়ে এই বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে দেখাও করেন তারা। থানায়, এই ঘটনায় জড়িত জেহাদিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতার সহ কঠোর শাস্তির দাবীও ওঠে। আর এসব দেখে জেহাদিরা কি আর চুপ করে বসে থাকতে পারে? তারাও হিন্দুদের পাল্টা সবক শেখানোর চক্রান্ত করে। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী থানা থেকে আক্রান্ত হিন্দুদের পাশে থাকার অভয় বানী সহ বামনগ্রামের বহিরাগত হিন্দুরা যখন যে যার এলাকায় ফিরে যেতে তৎপর, এমন সময়েই পথের মাঝে কোন একটি মুসলিম অধ্যুষিত এলাকার লুকোনো জায়গা থেকে বেরিয়ে এসে নিরস্ত্র হিন্দুদের উপর আচমকাই তীব্র জেহাদি আক্রমণ শুরু করে তারা। প্রাথমিক ভাবে হিন্দুরা সামান্য প্রতিরোধ তৈরি করার প্রচেষ্টা করলেও মারাত্মক সেই সশস্ত্র আক্রমণের তীব্রতায় তারা আসহায় হয়ে পড়ে। আর ঠিক এই সময়েই তরোয়ালের আঘাতে সতেরো বছরের নিরাপদ বর্মন নামক এক যুবকের পেট এফোঁড় ওফোঁড় করে দেয় জেহাদি হায়নার দল। না, এবারে সত্যিই দিশেহারা হয়ে ছত্রভঙ্গ হিন্দুর দল যে যেদিকে পারে পালাতে শুরু করে। তাদের মধ্যেই অসমসাহসী কয়েক’জন কোনমতে নিজেদের প্রাণ তুচ্ছ করে নিরাপদ’কে নিয়ে মালদা জেনারেল হাঁসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যান। সামান্য কয়েকজন ছাড়া আর বাকি প্রায় সবাই আটকে পড়ে জেহাদি চক্রবূহ্যে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় তাদের ৯-১০টি মোটরবাইক। শেষে পুলিশের সাহায্যে কিছু সময় পর উদ্ধার পান তারা। ওদিকে অত্যন্ত সঙ্কটাপন্ন নিরাপদ’কে নিয়ে হাঁসপাতালে যমে-মানুষে টানা টানি শুরু হয়। শেষ খবর পাওয়া অনুযায়ী হিন্দু সংহতির-ই একটি বিশেষ দল সব্যসাচী দাসের তত্ত্বাবধানে মালদা থেকে তাকে নিয়ে গতকালই কলকাতায় উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। এ বিষয়ে নাবালক কিশোর’টির বাবা প্রমোদ বর্মন ইতিমধ্যেই জেহাদি দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেও এখনও পর্যন্ত তারা অধরা-ই রয়ে গেলেও স্থানীয় তিন নির্দোষ হিন্দুকে ধরে জেলে ভরায় স্থানীয় সূত্রে পুলিশি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠছে।

ওদিকে হিন্দুদের উপর এই বর্বোরচিত ঘটনার কথা মুহূর্তের মধ্যে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় তুমুল উত্তেজনা দেখা দেয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও জেহাদিদের নিরস্ত করে এমন সাধ্য কার! সেই উন্মত্ত তৌহিদি জনতা তখন হিন্দু সম্পত্তি লুটপাটে ব্যস্ত। তরোয়াল, ইঁট-পাথর, বোমা – আগ্নেয়াস্ত্র … কি নেই তাদের কাছে? তাদের ধারে কাছে যায় তারও বা সাধ্য কি? বিস্তীর্ন হিন্দু এলাকায় তারা সে সময় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, তছনছ করে ফেলছে সবকছু। তাদের তান্ডবে চতুর্দিকে তখন ত্রাহি মধুসূদন অবস্থা! এলাকায় কেবল এক বাসিন্দা  বিষ্ণু রায়ের বাড়ি থেকেই কমপক্ষে  ৫০,০০০টাকা নগদ এবং ২২.৫ গ্রাম সোনা সহ অন্তত ১০০ গ্রামেরও বেশি রূপা’র গহনা লুঠ করা হয়েছে। এছাড়াও তার ফাঁকা বাড়ি থেকে ৭বস্তা চাল খোয়া যাবার ঘটনাও সামনে এসেছে। জানা গেছে মোহাম্মদ জাকির নামের এক জেহাদি’র দেখানো পথেই মুস্তাফা হক, নাড়ু ইসলাম, মুতাবলিক হক, সাদ্দাম হক এবং নজরুল সরকারেরা মিলিত ভাবে সেদিন হামলা চালায় বিষ্ণু’র বাড়িতে।

এবারে ভেবে দেখুন,… তোতনের মত দৃঢ়চেতা এক যোদ্ধার পক্ষে কি এই এতকিছুর পরেও নিরবে বাড়ির ভিতরে ঘাপটি মেরে বসে থাকা বা আয়েশ করা সম্ভব? না, কখনোই নয়। তপন ঘোষের আদর্শ স্মরণ করে – সে মুহুর্তের মধ্যে সংকল্প নেয়, জেহাদিদের এই আক্রমণকে যে কোন প্রকারে প্রতিহত করতেই হবে। সেই ভয়ানক প্রতিজ্ঞা’কে বুকে নিয়ে এলাকার সমস্ত হিন্দু কিশোর ও যুবকদের একত্রিত করে সে এগিয়ে চলে তার অভীষ্ট লক্ষের উদ্দেশ্যে। অভিযোগ, পথেই আক্রোশ বশতঃ জাহাঙ্গীর আলম, দীপাল শেখ, সাদ্দাম শেখ, মোজাম্মিল হক এবং নজরুল সরকার সহ একাধিক অজ্ঞাতনামা জেহাদি’র দল ভয়ঙ্কর আক্রমণ হানে তোতনের উপর। বোমার আঘাতে মারাত্মক আহত অবস্থায় মাটিতে রক্তাপ্লুত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে সে। “আমার জন্য ভেব না; লড়াই চালিয়ে যাও।…. বোধ হয় আমি আর বাঁচব না, … একটু জল দিতে পারো ”? – কন্ঠ স্তিমিত হয়ে আসে মাতৃভূমী’র এই মহাবীরের।

…“একটু কাঁদেনি ছেলেটা! কোন হতাশাও ছিল না ওর ঠোঁটে।… শুধু বলেছে, এই মাটি বাঁচাতে হবে। … আর তার পরেই সব শেষ”।– এই ছিল তোতনের অন্তিমক্ষণের এক প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান, মালদা জেলা হাঁসপাতালে যিনি তাকে ভর্তি করতে ছুটেছিলেন।
 
বন্ধুরা, এবারে বলুন তো, দিল্লীর মসনদে যারা বসে রয়েছেন বা কলকাতার যে সব ভদলোকের দল কথায় কথায় মার্ক্সীয় আধুনিক তত্ত্ব কপচাতে বড্ড ভালোবাসেন, … তোতনের এই শেষ ইচ্ছে’য় তাদের কিছু যায় আসে কি?

রায়গঞ্জের রাড়িয়া গ্রামের হিন্দু সংহতি কর্মী এই হিন্দুবীর’কে অন্তিম শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে গিয়ে  হিন্দু সংহতি’র মাননীয় সর্বভারতীয় সভাপতি শ্রী তপন কুমার ঘোষ এক লিখিত বার্তায়, তার এই বলিদান যে, আরও বহু হিন্দু যুবককে পশ্চিমবঙ্গের মাটি রক্ষার লড়াইয়ে প্রেরণা দেবে; তা উল্লেখ করার পাশাপাশি আরও জানান, যে  – “অন্য সমস্ত নিহত, আহত ও বন্দী হিন্দু যোদ্ধাদের মত তোতন-এর পরিবারের পাশে হিন্দু সংহতি দৃঢ়ভাবে ও সক্রিয়ভাবে থাকবে”। এই কারনে সংগঠনের পক্ষে অন্তত আগামী পাঁচ বছরের জন্য নিহত তোতনের হতদরিদ্র পরিবার’টির সবরকম দেখাশোনা করা হবে বলে শ্রী ঘোষ ইতিমধ্যেই প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছেন।

অন্যদিকে ঘটনার অব্যহিত পরে রাড়িয়ার পৌঁছে সংগঠনের মাননীয় সম্পাদক শ্রী দেবতনু ভট্টাচার্য্য বলেছেন, …” জানি বীরশোক অশ্রু নহে, অসির ঝঙ্কার। জানি আরও অনেক বলিদান বাকী আছে। তবুও রাড়িয়ায় তোতনের বাড়িতে এসে আমার কন্ঠরুদ্ধ। সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। তোতনের স্ত্রী, আঠারো বছরের ছোট্ট মেয়েটার সারা জীবনটা পড়ে আছে। একবার চোখ রাখলো আমার চোখে, নিঃশব্দে ফুঁপিয়ে উঠলো। যন্ত্রণা কাতর হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে মোচড় দিয়ে বেরিয়ে এলো সেই চিরন্তন প্রশ্ন – আমি কোন পাপের শাস্তি পেলাম! আমি চোখ নামিয়ে নিলাম।
ভাবছি, তোতনদের বলিদান আর এই ছোট্ট বোনগুলোর চোখের জল কবে আমাদের রক্তে আগুন জ্বালাতে পারবে! কবে… কবে… কবে!”

তোতন’রা যে বড্ড গরীব। বাবা-মা ছাড়াও সে রেখে গেছে তার বছর আঠারোর অসহায় স্ত্রী নেহা’কে। তিনি এখনও নিঃসন্তান। তবে এলাকায় অবশ্য এও কানাঘুষো চলছে যে, তিনি নাকি সম্প্রতি অন্তঃসত্ত্বা! আহা! সামনেই বাঙ্গালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব দূর্গাপূজার বোধনের আগেই বুঝি বিসর্জনের সুর মুছে দিয়ে গেল তার সিঁথির সিঁদুর…!!

হে বন্ধু, ….
আপনাদের মধ্যে অনেকেই আজ এগিয়ে এসে হুতাত্মা হিন্দুবীর শ্রী তোতন দাসের জন্য কিছু করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আপনাদের মধ্যে থেকেই অনুরোধ এসেছে, দেশমাতৃকার এই সুযোগ্য সন্তানের নামে কোন শহীদ বেদি সহ এলাকায় গড়ে তোলা হোক একটি সার্বজনীন শরীর চর্চার আখড়া।
… তবে আসুন বন্ধুরা, দেশ… ধর্ম ও জাতির নিমিত্ত অমর তোতনের এহেন আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে এবং তাঁর অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়াতে বাড়িয়ে দিন আপনার সাহায্যের হাত।

অর্থ সাহায্য পাঠান ব্যাঙ্কযোগে… নিচের ঠিকানায় ….।
– কিংবা, স্বহস্তে হিন্দু সংহতির অফিসে এসেও দিতে পারেন….।
– অথবা, চাইলে … আপনার ঠিকানাতেই পৌঁছে যাবেন – ধর্ম, জাতি ও দেশরক্ষায় নিবেদিতপ্রান … সংহতিকর্মী’র দল….।।

আপনার অনুদান পাঠানোর ঠিকানা …
HINDU SAMHATI
A/c No : 35195690885
Bank : State Bank of India, B.K.Paul Avenue branch
IFSC Code : SBIN0001767

অথবা, …
ফোনে যোগাযোগ করুন  …. 7407818686 অথবা 9836188899 – এই নম্বরে।

এছাড়াও Paytm-এ টাকা পাঠাতে, 8336068350 নম্বরটি ব্যবহার করতে পারেন।

তোতন দাস অমর রহে।
হিন্দু সংহতি জিন্দাবাদ ….
বন্দেমাতরম, …. জয় হিন্দ …।

★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★

Uttar Dinajpur Riots in WB Claim Life of Young Hindu Samhati Activist Toton Das.

Ongoing riots in Uttar Dinajur district of West Bengal have claimed the life of a Hindu Samhati (HS) activist, Toton Das, who was trying to defend his village from Islamist aggression. Another Hindu youth is critically injured. CM Mamta Banerjee will most likely shrug this off as another “sojona ghotana” (cooked-up or fake incident) to pander to her Islamist votebank, but who can deny the tears of Toton Das’s family or the fact that those feeling the brunt of Islamic aggression in West Bengal are poor, underprivileged Hindus (including Dalits)?

Toton was the youngest of the two children of Paresh Das & Jhunu Das. He left his house on 3rd September once he came to know that jihadists had attacked his village, Rariya under Raiganj police station, Uttar Dinajpur. His family, comprising his parents & wife, Neha, had no idea that this would be the last time they saw Toton alive. But this was not the first time that Toton was out to defend Hindus against marauding Islamist mobs; being an active member of HS, resisting Islamic aggression was part & parcel of his life.

Toton, who used to earn his livelihood working as a mason, was a close companion of Dr. Tushar Sarkar. Being a resident of Uttar Dinajpur, the third district in West Bengal along with Malda & Murshidabad where Hindus have become minority, facing Islamic aggression was a routine for all of them.
After coming to know about activities of Hindu Samhati, Dr. Sarkar contacted HS and joined on 4th December, 2016. Since then, Toton has been associated with activities of HS under the leadership of Shri Tapan Ghosh, President of Hindu Samhati.

On 3rd September, the day after Eid, communal tension spread across Raiganj area after desecration of properties belonging to Hindus by throwing bone & blood of cows slaughtered during qurbani for Eid. While returning from Baman Gram, after Hindus were attacked by armed jihadists, Hindus tried to resist the attack but those unarmed people could hardly do so and dispersed after one boy, Nirapada Barman, was stabbed by the attackers. Nirapada is now fighting for his life at Malda General Hospital. His father, Pramoda Barman, has already lodged a complaint at Raiganj police station but the accused are still at large.

The conflict which started with attack on Hindus, spread across the area in no time. Total anarchy loomed large over the area as jihadists, armed with sword, brick bats and fire arms ransacked Hindu houses. Rs. 50,000/- cash, 22.5 gms of gold ornaments, more than 100 gms of silver ornaments and 7 sacks of rice were reportedly looted by jihadists, led by Muhammad Zakir, Mustafa Haq, Naru Islam, Mutabilik Haq, Jainal Haq, Saddam Haq & Nazrul Sarkar, only from the house of Vishnu Roy.

Toton could hardly watch such jihadi atrocities continue sitting in the comfort of his house. He assembled local Hindus and took on the attackers. He was attacked by Jahangir Alam, Dipul Sheikh, Saddam Sheikh, Mozammil Haq, Nazrul Sarkar along with some unknown attackers and was heavily injured. He was taken to Malda Zila Hospital by HS workers where he succumbed to injury.

Do the chattering classes in Lutyens’ Delhi or the bhadralok living in Kolkata discussing Marx and post-modernism care for the plight of these poor Hindus?

Toton is survived by his parents & wife Neha (20 years) who live in a hand to mouth condition.Hindu Samhati President, Tapan Ghosh, has hailed his martyrdom and announced that the organization will take care of his family for, at least, next 5 years. People who are interested to financially support his family may send their donation to the following account of Hindu Samhati
(hindusamhati.net/donate).

In Favour Of : Hindu Samhati.
A/C No: 35195690885
Bank Name: State Bank of India
Branch: B K Paul Avenue
IFSC: SBIN0001767

After donating, please drop an email to [email protected] providing the transaction details.