পুরো ইন্টারভিয়ের রিপিট টেলিকাস্ট দেখলাম। তিনটে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা।
আমার এক আত্মীয় রাজ্য সরকারের সিনিয়র গেজেটেড অফিসার, বামফ্রন্ট সরকারের সময় দুহাজার তিন সালে বলেছিলেন, সেলিমের মত সাম্প্রদায়িক মুসলমান আর নেই, সর্বত্র মুসলমান ঢোকায়। সেই যুগে এমন কথা বেশি শোনা যেত না, তৃণ যুগের মত উদোম তোষণ, বা ডাক্তারি থেকে ভেটেরিনারি সর্বত্র দুর্নীতি করে মুসলমান ঢোকানোর প্র্যাকটিস শোনা যায় নি। একজন ভেটেরিনারি ছাত্র আমায় সেদিন বললেন, এবছর ফার্স্ট ইয়ারে একাত্তরটি সিটের মধ্যে বাহান্ন জন মুসলমান ছাত্র এসেছেন বেলগাছিয়ায়। আমি শুনে বিশ্বাস করিনি, যদিও ছেলেটি মিথ্যে কথা বলে না বলেই জানি, কিন্তু সংখ্যাটা, শতাংশটা অবিশ্বাস্য। সম্ভবত নিট আসার ফলে সেখানে আর আল-আমিনরা দুর্নীতি করতে পারছেন না বলে নিজেদের লোকদের ভেটেরিনারিতেই গুঁজলেন এবছর, আর নয়ত ছেলেটি সত্যি বলেনি, যেটা আমি খুব চাইছি। কারণ এই পরিসংখ্যান সত্যি হলে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ইতিমধ্যেই ইসলামিক স্টেটে পরিণত।
দুই, দিল্লিতে বাঙালিবিরোধী আবহাওয়া সত্যিই আছে। সিপিএম বা বামেদের মধ্যেও আছে।
তিন, এবং এইটা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। ২০০১ সালে যখন ঋত ছিলেন এস এফ আইয়ের আশুতোষ লোক্যাল কমিটির সম্পাদক, সেই সময় ঋত একটা সরাসরি টক্কর নিয়েছিলেন একবালপুর-খিদিরপুর-মোমিনপুর অঞ্চলের খুব শক্তিশালী একটি ইসলামিক মাফিয়া লবির সঙ্গে, যারা বিশেষ করে আশুতোষের ইভিনিং কলেজে মনোপলির মৌরসীপাট্টা গড়ে তোলার চেষ্টা করছিল। ঋত সাম্প্রদায়িক হিন্দু আমি বলছি না। কিন্তু ঋত সম্ভবত সেই বিরল প্রজাতির বাঙালি বামপন্থী, যাদের সমস্ত সমস্যা ও শর্টকামিং নটউইদস্ট্যান্ডিং, জেহাদী মুসলমানের কাছে আত্মসমর্পণ করাকে সেকুলারিজমের বেঞ্চমার্ক বলে যারা কোনওদিনই মনে করেন নি।