ইতিহাসের দিকে তাকালে এই প্রশ্নের উত্তর একদম পরিষ্কার হয়ে যায়। এক লাইনের উত্তর – মুসলিম নাম বলে কিছু নেই, সবই আরবী নাম। সবার বোঝার মত সহজ ভাষায়, ইতিহাসের পর্যালোচনা করে লিখেছেন – Ahmad Rony
ইসলামের প্রচলন শুরু হয় ৬১০ খৃষ্টাব্দ থেকে (নবীর বয়স যখন ৪০)। তখন নবী সহ যে সকল মানুষ জীবিত ছিল তারা জন্মের সময় মুসলমান ছিলো না। তারা ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়ে কি তাদের নাম পাল্টে ফেলেনি। তাদের জন্মের সময় তাদের যে নাম রাখা হয়েছিলো সেই নাম সমূহ কি আদৌ ইসলামী নাম হতে পারে? বরং যদি দাবি করা হয় যে ঐ সকল নাম খাঁটি প্যাগানদের নাম তাহলে তা অস্বীকার করার কোনো পথ খোলা থাকবে না। বর্তমানে বিভিন্ন মুসলিম পরিবারে সন্তুানের নাম রাখা হয় বিখ্যাত সাহাবিদের নামে। সেইসব সাহাবাদের জন্মের সময় কি তাদের ইসলামী নাম ছিলো? অবশ্যই তাদের নাম রাখা হয়েছিলো প্যাগান ধর্ম, ঐতিহ্য অনুসরণে।
.
“আব্দুল্লাহ” নামটি সবথেকে বেশি সহী ইসলামী নাম। আব্দুল্লাহ ছিলেন নবীজির পিতা যিনি নবীজির জন্মেরও আগে মারা যান। খেয়াল রাখতে হবে, আব্দুল্লাহ পৌত্তলিক হিসেবেই মারা যান। আব্দুল্লাহ নামের অর্থ আল্লাহর দাস। কিন্তু কোন আল্লাহর দাস ? তখনও ইসলামের জন্মও হয়নি এবং ইসলামের প্রচারকেরও জন্ম হয়নি। ইসলামের পূর্ববর্তী ইহুদি খৃষ্টান ধর্মেও আল্লাহ বলে কোন শব্দই নেই। এই আল্লাহ সেই প্যাগানদের মধ্যে প্রচলিত আল্লাহ নামের দেবতা যে লাত, মানাত ও উজ্জাতের পিতা।
.
নবী ও সাহাবিরা নাম কোন ধর্মের পরিচয় বহন করত বলে মনে করতেন না। কেননা নামকে তারা যদি ধর্মের পরিচয় বহনকারী হিসেবে ভাবতেন তাহলে ইসলাম গ্রহণের সাথে সাথে তারা তাদের পুরনো পৌত্তলিক ধর্মের নাম বাদ দিয়ে নতুন ইসলামিক নাম নিতেন। অর্থাৎ, “নবী ও সাহাবিরাই প্রমাণ দিয়ে গেছেন “নাম কোন ধর্মের হয় না” এরপর কি আরও প্রমাণের দরকার আছে?”
.
(২)
মাত্র ২০ জনের মত সাহাবি নাম চেঞ্জ করেছেন কারণ তাদের নামগুলো শিরক ও বাজে অর্থ এর মত দোষে দুষ্ট ছিল । সহিহ বুখারি গ্রন্থ ৮ এর ২১৩ নং হাদিস, মেশকাত শরীফ, সহিহ মুসলিম শরীফ এ নাম সংক্রান্ত অনেক গুলো হাদিস আছে – ১০০৬, ১০০৭, ১০০৮, ১০০৯, ও ১২৫১ নং হাদিস পড়ে নিন।
.
নবী আসিয়াহ (অর্থঃ অবাধ্য / দুর্বল) এর নাম পরিবর্তন করে বললেন আজ থেকে তুমি হচ্ছ জমিলাহ (অর্থঃ সুন্দর ও সাস্থবান) (মুসলিমঃ ১০০৭)
“হযরত আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, হযরত জুওয়ারিয়া (রাঃ) এর পূর্ব নাম ছিল ‘বাররাহ’। রাসূল (সাঃ) তার নাম পরিবর্তন করে রাখলেন জুওয়ারিয়া ।” (মুসলিমঃ ১০০৮)
.
খেয়াল করে পড়ুন পাঠক, নবী নিজেই ইসলামিক নাম রাখতে বলেননি, বলেছেন সহজ, সুন্দর, অর্থবোধক নাম রাখতে। তারপরও যদি কেউ গোঁ ধরতে চান তাকে আমি বলবো কোরানের আয়াত বা হাদিস হাজির করতে, যেখানে বলা আছে “ইসলামিক নাম রাখার কথা”। আমি আবারও বলছি , সবখানেই বলা হয়েছে “সহজ, সুন্দর, অর্থবোধক নামের কথা ”।
.
(৩)
একটা নাম কোন বিশেষ গোষ্ঠী বারবার ব্যাবহার করতে থাকলে লোকজন সেই নাম ধারীকে সেই গোষ্ঠীর ভাবা শুরু করে… এইটা ঠিক। কিন্তু তার মানে এই না যে নামটা সেই গোষ্ঠীর একার সম্পত্তি হয়ে গেল।। আর কেউ সেটা রাখতে পারবে না বা ব্যাবহার করতে পারবে না। যেমনঃ “খান” নামটি তো মঙ্গলিয়ান নাম কিন্তু মুসলমান রা এটিকে এত ব্যাবহার করেছে যে এখন কেউ এই নাম বললে সাধারনত ভাবা হয় সে একজন মুসলিম। কিন্তু তার মানে এই না যে “খান” নামটি এখন মুসলমান ছাড়া আর কারও হতে পারবে না…
.
“আব্দুল্লাহ” নামটি সবথেকে বেশি সহী ইসলামী নাম। আব্দুল্লাহ ছিলেন নবীজির পিতা যিনি নবীজির জন্মেরও আগে মারা যান। খেয়াল রাখতে হবে, আব্দুল্লাহ পৌত্তলিক হিসেবেই মারা যান। আব্দুল্লাহ নামের অর্থ আল্লাহর দাস। কিন্তু কোন আল্লাহর দাস ? তখনও ইসলামের জন্মও হয়নি এবং ইসলামের প্রচারকেরও জন্ম হয়নি। ইসলামের পূর্ববর্তী ইহুদি খৃষ্টান ধর্মেও আল্লাহ বলে কোন শব্দই নেই। এই আল্লাহ সেই প্যাগানদের মধ্যে প্রচলিত আল্লাহ নামের দেবতা যে লাত, মানাত ও উজ্জাতের পিতা।
.
নবী ও সাহাবিরা নাম কোন ধর্মের পরিচয় বহন করত বলে মনে করতেন না। কেননা নামকে তারা যদি ধর্মের পরিচয় বহনকারী হিসেবে ভাবতেন তাহলে ইসলাম গ্রহণের সাথে সাথে তারা তাদের পুরনো পৌত্তলিক ধর্মের নাম বাদ দিয়ে নতুন ইসলামিক নাম নিতেন। অর্থাৎ, “নবী ও সাহাবিরাই প্রমাণ দিয়ে গেছেন “নাম কোন ধর্মের হয় না” এরপর কি আরও প্রমাণের দরকার আছে?”
.
(২)
মাত্র ২০ জনের মত সাহাবি নাম চেঞ্জ করেছেন কারণ তাদের নামগুলো শিরক ও বাজে অর্থ এর মত দোষে দুষ্ট ছিল । সহিহ বুখারি গ্রন্থ ৮ এর ২১৩ নং হাদিস, মেশকাত শরীফ, সহিহ মুসলিম শরীফ এ নাম সংক্রান্ত অনেক গুলো হাদিস আছে – ১০০৬, ১০০৭, ১০০৮, ১০০৯, ও ১২৫১ নং হাদিস পড়ে নিন।
.
নবী আসিয়াহ (অর্থঃ অবাধ্য / দুর্বল) এর নাম পরিবর্তন করে বললেন আজ থেকে তুমি হচ্ছ জমিলাহ (অর্থঃ সুন্দর ও সাস্থবান) (মুসলিমঃ ১০০৭)
“হযরত আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, হযরত জুওয়ারিয়া (রাঃ) এর পূর্ব নাম ছিল ‘বাররাহ’। রাসূল (সাঃ) তার নাম পরিবর্তন করে রাখলেন জুওয়ারিয়া ।” (মুসলিমঃ ১০০৮)
.
খেয়াল করে পড়ুন পাঠক, নবী নিজেই ইসলামিক নাম রাখতে বলেননি, বলেছেন সহজ, সুন্দর, অর্থবোধক নাম রাখতে। তারপরও যদি কেউ গোঁ ধরতে চান তাকে আমি বলবো কোরানের আয়াত বা হাদিস হাজির করতে, যেখানে বলা আছে “ইসলামিক নাম রাখার কথা”। আমি আবারও বলছি , সবখানেই বলা হয়েছে “সহজ, সুন্দর, অর্থবোধক নামের কথা ”।
.
(৩)
একটা নাম কোন বিশেষ গোষ্ঠী বারবার ব্যাবহার করতে থাকলে লোকজন সেই নাম ধারীকে সেই গোষ্ঠীর ভাবা শুরু করে… এইটা ঠিক। কিন্তু তার মানে এই না যে নামটা সেই গোষ্ঠীর একার সম্পত্তি হয়ে গেল।। আর কেউ সেটা রাখতে পারবে না বা ব্যাবহার করতে পারবে না। যেমনঃ “খান” নামটি তো মঙ্গলিয়ান নাম কিন্তু মুসলমান রা এটিকে এত ব্যাবহার করেছে যে এখন কেউ এই নাম বললে সাধারনত ভাবা হয় সে একজন মুসলিম। কিন্তু তার মানে এই না যে “খান” নামটি এখন মুসলমান ছাড়া আর কারও হতে পারবে না…
(৪)
নাম একজন মানুষের ধর্মের পরিচয় বহন করে এই ভুল ধারণাটা আসলে মুসলমানদের মধ্যে গেঁথে বসেছে হুজুরদের কারণে । লোকজন সন্তান জন্মের পর হুজুরদের কাছে গিয়ে যখন ইসলামিক নাম চায় তখন হুজুররা সাধারনত আরবি ডিকশনারি খুলে ১টা শব্দ ধরিয়ে দেয় বা সাহাবীদের নাম ধরিয়ে দেয় (যদিও সাহাবীদের এই নাম কিন্তু তারা পৌত্তলিক থাকার সময় থেকেই যেটা ছিলও সেই নাম)। এবং তারপর হুজুররা বলে “নেন, আপনার সন্তানের জন্য সহীহ ইসলামিক নাম খুঁজে দিলাম” । অতঃপর সেই অভিভাবক তার সন্তানের সহীহ ইসলামিক (পড়ুন আরবি) নাম নিয়ে বাড়ি ফিরে যায়। ইদানীং অবশ্য সহীহ ইসলামিক নাম এর বই বের হয়েছে যা আসলে আরবি-বাংলা ডিকশনারি থেকে সংকলিত কিছু শব্দ সম্ভার মাত্র।
.
কিন্তু মনে রাখতে হবে, ইসলাম ধর্ম আরবি ভাষায় প্রচলিত হয়েছে বলেই আরবি ভাষার সব শব্দ ইসলামের একার সম্পত্তি হয়ে যায় না। এবং অভিভাবকরা সহিহ ইসলামিক নাম ভেবে সন্তানের যে নাম রাখছেন তা আসলে সাধারণ আরবি শব্দ ছাড়া কিছুই না।
.
(৫)
এরাবিক নাম দেখলেই অনেকে ভাবতে শুরু করেন সেটা মুসলিম নাম। তা ঠিক নয়। আরবের মুসলমানরা সহ অনেক খ্রিস্টান-ইহুদি-কাফির সবার নাম এখনও একইরকমই হয়।
.
নবী মুহাম্মদ এর সাহাবি ও তার বিরোধিতাকারী কাফেরদের নামে আপনি পার্থক্য খুঁজে পাবেন না। একই নামের সাহাবি ও কাফের দুইটাই ছিল। যেমন – খালেদ বিন ওয়ালিদ (মুসলিম) ও ওয়ালিদ বিন মুঘাইরা ( কাফের)। মুনাফিকদের সর্দার এরও নাম ছিল আব্দুল্লাহ বিন উবায় ইবন সালুলি। আরও একজন ইহুদী মুনাফিক এর নাম ছিল আব্দুল্লাহ ইবন সাবার।
নাম একজন মানুষের ধর্মের পরিচয় বহন করে এই ভুল ধারণাটা আসলে মুসলমানদের মধ্যে গেঁথে বসেছে হুজুরদের কারণে । লোকজন সন্তান জন্মের পর হুজুরদের কাছে গিয়ে যখন ইসলামিক নাম চায় তখন হুজুররা সাধারনত আরবি ডিকশনারি খুলে ১টা শব্দ ধরিয়ে দেয় বা সাহাবীদের নাম ধরিয়ে দেয় (যদিও সাহাবীদের এই নাম কিন্তু তারা পৌত্তলিক থাকার সময় থেকেই যেটা ছিলও সেই নাম)। এবং তারপর হুজুররা বলে “নেন, আপনার সন্তানের জন্য সহীহ ইসলামিক নাম খুঁজে দিলাম” । অতঃপর সেই অভিভাবক তার সন্তানের সহীহ ইসলামিক (পড়ুন আরবি) নাম নিয়ে বাড়ি ফিরে যায়। ইদানীং অবশ্য সহীহ ইসলামিক নাম এর বই বের হয়েছে যা আসলে আরবি-বাংলা ডিকশনারি থেকে সংকলিত কিছু শব্দ সম্ভার মাত্র।
.
কিন্তু মনে রাখতে হবে, ইসলাম ধর্ম আরবি ভাষায় প্রচলিত হয়েছে বলেই আরবি ভাষার সব শব্দ ইসলামের একার সম্পত্তি হয়ে যায় না। এবং অভিভাবকরা সহিহ ইসলামিক নাম ভেবে সন্তানের যে নাম রাখছেন তা আসলে সাধারণ আরবি শব্দ ছাড়া কিছুই না।
.
(৫)
এরাবিক নাম দেখলেই অনেকে ভাবতে শুরু করেন সেটা মুসলিম নাম। তা ঠিক নয়। আরবের মুসলমানরা সহ অনেক খ্রিস্টান-ইহুদি-কাফির সবার নাম এখনও একইরকমই হয়।
.
নবী মুহাম্মদ এর সাহাবি ও তার বিরোধিতাকারী কাফেরদের নামে আপনি পার্থক্য খুঁজে পাবেন না। একই নামের সাহাবি ও কাফের দুইটাই ছিল। যেমন – খালেদ বিন ওয়ালিদ (মুসলিম) ও ওয়ালিদ বিন মুঘাইরা ( কাফের)। মুনাফিকদের সর্দার এরও নাম ছিল আব্দুল্লাহ বিন উবায় ইবন সালুলি। আরও একজন ইহুদী মুনাফিক এর নাম ছিল আব্দুল্লাহ ইবন সাবার।
(৬)
কোন নাম শুধুমাত্র তখন ই ধর্মের একার শব্দ হবে যখন সেটা হবে ধর্মীয় মৌলিক শব্দ (অর্থাৎ ধর্মটি প্রচলনের আগে সেই শব্দটি কোনো ভাষায় প্রচলিত ছিলও না…) এরকম মৌলিক শব্দ ইসলামে খুব বেশি নেই… আমি একটাও পাইনি। (এই বিষয়ে আমার ভুল হতেও পারে এবং ইসলামের মৌলিক শব্দ কারও জানা থাকলে আমাকে বলুন, তাহলে এই নোট এ সেটা Add করে দেবো।)
.
আল্লাহ, আল্লাহর ৯৯টি নাম, মুহাম্মদ, আহমদ, ইত্যাদি কোনটাই মৌলিক শব্দ নয় … সবগুলোই ইসলাম আসার আগে থেকেই পৌত্তলিক আমল থেকেই প্রচলিত ছিলো। সাহাবিদের মধ্যে প্রায় ১৫০ জনের নাম ছিল আব্দুল্লাহ ও শতাধিক সাহাবির নাম ছিল আব্দুর রাহমান। দুইটা শব্দই ইসলাম আসার আগে থেকেই প্যাগানদের মাঝে বহুল প্রচলিত শব্দ ছিল।
.
কারও নাম যদি কোনো ধর্মের এইরকম মৌলিক শব্দ হয় (অর্থাৎ ধর্মটি প্রচলনের আগে সেই শব্দটি কোনো ভাষায় প্রচলিত ছিলো না…) শুধুমাত্র তখনই বলা যাবে নামটা হচ্ছে সেই ধর্মের।
.
(৭)
লেখাটি ছাগুদের উদ্দেশ্যেই লেখা… নাম নিয়ে ছাগুদের টেনশন করার কারণ অবশ্য আছে, ইসলামের প্রাথমিক যুগ এ মুসলিম সেজে অনেক ইহুদিরা ইসলামের ক্ষতি করার চেষ্টা করতো। তাই তারা ভাবে বর্তমানকালেও কেউ মুসলিম সেজে ইসলামের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে কিনা। কিন্তু তারা মুসলিম সেজে ইসলামের ক্ষতি করা আর কারও আরবী নাম থাকার পার্থক্য ধরতে পারে না।
.
পুনশ্চঃ অনেক পুরাতন এই লেখাটি আবার পোস্ট করে দিলাম সাম্প্রতিক আবদুল গাফফার চৌধুরীর সত্য বক্তব্যের সূত্র ধরে উঠা সমালোচনার প্রেক্ষিতে। মূল পোস্ট থেকে সামান্য সংক্ষেপিত – https://goo.gl/AGpRTF
কোন নাম শুধুমাত্র তখন ই ধর্মের একার শব্দ হবে যখন সেটা হবে ধর্মীয় মৌলিক শব্দ (অর্থাৎ ধর্মটি প্রচলনের আগে সেই শব্দটি কোনো ভাষায় প্রচলিত ছিলও না…) এরকম মৌলিক শব্দ ইসলামে খুব বেশি নেই… আমি একটাও পাইনি। (এই বিষয়ে আমার ভুল হতেও পারে এবং ইসলামের মৌলিক শব্দ কারও জানা থাকলে আমাকে বলুন, তাহলে এই নোট এ সেটা Add করে দেবো।)
.
আল্লাহ, আল্লাহর ৯৯টি নাম, মুহাম্মদ, আহমদ, ইত্যাদি কোনটাই মৌলিক শব্দ নয় … সবগুলোই ইসলাম আসার আগে থেকেই পৌত্তলিক আমল থেকেই প্রচলিত ছিলো। সাহাবিদের মধ্যে প্রায় ১৫০ জনের নাম ছিল আব্দুল্লাহ ও শতাধিক সাহাবির নাম ছিল আব্দুর রাহমান। দুইটা শব্দই ইসলাম আসার আগে থেকেই প্যাগানদের মাঝে বহুল প্রচলিত শব্দ ছিল।
.
কারও নাম যদি কোনো ধর্মের এইরকম মৌলিক শব্দ হয় (অর্থাৎ ধর্মটি প্রচলনের আগে সেই শব্দটি কোনো ভাষায় প্রচলিত ছিলো না…) শুধুমাত্র তখনই বলা যাবে নামটা হচ্ছে সেই ধর্মের।
.
(৭)
লেখাটি ছাগুদের উদ্দেশ্যেই লেখা… নাম নিয়ে ছাগুদের টেনশন করার কারণ অবশ্য আছে, ইসলামের প্রাথমিক যুগ এ মুসলিম সেজে অনেক ইহুদিরা ইসলামের ক্ষতি করার চেষ্টা করতো। তাই তারা ভাবে বর্তমানকালেও কেউ মুসলিম সেজে ইসলামের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে কিনা। কিন্তু তারা মুসলিম সেজে ইসলামের ক্ষতি করা আর কারও আরবী নাম থাকার পার্থক্য ধরতে পারে না।
.
পুনশ্চঃ অনেক পুরাতন এই লেখাটি আবার পোস্ট করে দিলাম সাম্প্রতিক আবদুল গাফফার চৌধুরীর সত্য বক্তব্যের সূত্র ধরে উঠা সমালোচনার প্রেক্ষিতে। মূল পোস্ট থেকে সামান্য সংক্ষেপিত – https://goo.gl/AGpRTF