মমতা বন্দোপাধ্যায়কে নাকি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ডি’লিট সন্মান প্রদান করছেন?
ছিঃ ছিঃ এতে পশ্চিমবঙ্গবাসীর লজ্জা হওয়া উচিত, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের মত অতুলনীয় প্রতিভাকে শুধুমাত্র ডি’লিট দেওয়া হচ্ছে শেষে?
এই যতদোষ নরেন্দ্র মোদীর, মোদীই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য মমতা বন্দোপাধ্যায়কে ভারতরত্ম পুরস্কার দেওয়া থেকে বঞ্চিত করেছে, এমনকি মোদীই বৈদেশিক নীতির দাপটে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নামটা নোবেল কমিটি থেকে বাদ দিয়েছে….
এভাবে কতদিন আর মমতা বন্দোপাধ্যায়ের প্রতিভাকে আড়াল করে রাখবে বিজেপি? এর প্রতিবাদ চাই ।
যিনি নখের আঁচড়ের ছবি ৮০ লক্ষ টাকায় বেচতে পারেন, যিনি ১৫০০ কেজির বাচ্চার জন্ম দিতে বলেন, যিনি সিধু-কানুর প্রিয় বন্ধু ডহর বাবুকে খুঁজে বের করতে পারেন, যিনি রিসার্চ করে জানতে পারেন মশাতে কামড়ালে সোয়াইন ফ্লু হয়, যিনি বলেন রাম অসুর বধ করেছিল, যিনি সরস্বতী পুজোকে বসন্ত উৎসব বলেন সেই মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কতটা বহুমুখী প্রতিভা আছে সেটা নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন?
রবীন্দ্রনাথের সাথে উনি শেক্সপিয়রের সুসম্পর্কের কথা বলেছেন, রাকেশ রোশনের চাঁদে যাত্রার কথা বলেছেন, গান্ধীর অনশন নাকি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভাঙিয়েছিলেন এসব অজানা তথ্য উনি আমাদের কাছে তুলে ধরে উনার দুরদর্শিতার প্রমাণ দিয়েছেন, সেই বিখ্যাত ব্যক্তিত্বকে নোবেলের বদলে ডি’লিট দিলে একজন পশ্চিমবঙ্গবাসী হিসাবে লজ্জিত লাগে ।
মমতা বন্দোপাধ্যায়ের “কথাঞ্জলী” সাহিত্য জগতের এক অন্যতম নিদর্শন, রবীন্দ্র, শরৎ, বঙ্কিম, সব সাহিত্যিকের প্রতিভাকে ছাপিয়ে গেছেন উনি ।
সুকান্ত, নজরুল, সত্যেন্দ্রনাথ, রবীন্দ্রনাথও হার মেনেছে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের লেখা কবিতা গুলোর কাছে, কবিতা গুলো পড়লে মনে কেমন একটা শিহরণ জাগে আমাদের ।
মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ছোটদের কবিতাগুলি সুকুমার রায়কেও হার মানিয়েছে তবুও মমতা বন্দোপাধ্যায় আজও ব্রাত্য কেন?
মমতা বন্দোপাধ্যায় সাহিত্য, কাব্য, গীত, চিত্রাঙ্কন, বিজ্ঞান, শাস্ত্র সব বিষয়েই পারদর্শী । উনি যেভাবে চপ শিল্প, মিষ্টি হাব তৈরী করে পশ্চিমবঙ্গের বুকে শিল্পের জোয়ার এনে রাজ্যের অর্থনৈতিক পরিকাঠামো পরিবর্তন করেছেন সেই জন্য উনাকে শ্রেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ পুরস্কার দেওয়া যেতেই পারে ।
এখানেই শেষ নয় মমতা বন্দোপাধ্যায় যেভাবে মাত্র ৭ বছর রাজত্বকালে ১ লক্ষ ৬৫ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্রের কাছে ৠন নিয়েছেন মেলা-উৎসব করতে সেটার জন্যেও উনাকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত ।
মমতা বন্দোপাধ্যায় যেভাবে বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তা চোখে পড়ার মত, আজ বাংলা ধর্ষণে প্রথম স্থান অধিকার করেছে যা বাঙালী জাতির গৌরব, বাংলা আজ সিন্ডিকেটে প্রথম স্থান দখল করেছে, বাংলা আজ সন্ত্রাসীদের আঁতুড় ঘর হয়েছে যা সত্যিই খুব গর্বের বিষয় ।
মমতা বন্দোপাধ্যায় এতোই পরোপকারী সমাজসেবী যিনি মায়ানমারের অসহায় রোহিঙ্গা জঙ্গিদের স্থান দিতে রাজি হয়েছেন যা মানবিকতার বার্তা বহন করে ।
এতো বড় প্রতিভাকে ডি’লিট দিয়ে অপমান করার কোনো মানে হয়?
প্রত্যেক বাঙালীর উচিত নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো কারন এই মোদীই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের “ভারত রত্ন” ও “নোবেল” পুরস্কারটা আটকে রেখেছে ।
আসুন সবাই মিলে নরেন্দ্র মোদীর এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে সরব হই….