দ্বারকা নগরী অস্তিত্ব: “স্যাটেলাইট ইমেজিং এর কালো হাত ভেংগে দাও গুড়িয়ে দাও”, “সত্যানুষেন্ধন চলবে না চলবে না”, বুর্জোয়া স্যাটেলাইট মুর্দাবাদ” ক্যাম্বে উপসাগরের তীরে,
গুজরাটে দ্বারকাধীশের মন্দিরের কিছু দূরে সমুদ্রের জলের নীচে ৩ মাইল চওড়া, ৭ মাইল লম্বা একটি শহরের অস্তিত্ব খুজে পাওয়া গেছে এই মাত্র ক’মাস আগে। বলে হচ্ছে সেই শহরের পরিকল্পনা স্থাপত্য অতি উন্নত এবং বেশ কয়েক হাজার বছর আগেকার (৮ থেকে ৯ হাজার)।
শ্রী কৃষ্ণের দ্বারকা নগরী দ্বীপে ছিলো এবং তা জলের তলায় তলিয়ে গিয়েছিলো। তা সে কথা কে স্বীকার করবে এখন, যে ওটাই সেই শ্রী কৃষ্ণের দ্বারকা??? স্বীকার করলেই বিপদ, কারন তাহলে ঐ আর্য্যরা বহিরাগত সেই তত্ত্বের কি হবে? সনাতনি হিন্দুরা যে শ্রী কৃষ্ণের কথা বলে ,ঈশ্বর জ্ঞানে পুজো করে সেই শ্রী কৃষ্ণকে তো স্বীকার করতে হবে।
তাহলে, তিনি যে বহুবার বহু ভাবে বৈদিক দর্শনের কথা বলেছেন সেটাও মানতে হবে। দেখা যাক, পন্ডিতেরা হিসাব কষছেন, ঐ জলের তলার শহরটার বয়ষ কতো তাই ঠিক করতে। তখন দেখা যাবে শ্রীকৃষ্ণের দ্বারকার বয়ষ কতো। আমার তো মনে হয়, ৫০০০ বছরের ও অনেক বেশী হবে। তাহলে, কুরুক্ষেত্রে যোগ দেওয়া তাবৎ রাজ রাজড়ারা, রথী মহারথী ওই ৩০০০ বছরের পুরানো না তার বহু আগের তা বোঝা যাবে।
সমুদ্রের জলের পরিমান বেড়ে গিয়ে সারা পৃথিবীর উপকুল অঞ্চল জলের তলায় ধীরে ধীরে ডুবিয়ে দিয়েছিলো শেষ বরফ যুগের (last ice age) জমা বরফ যখন গলতে শুরু করেছিলো। শেষ বরফ যুগ শেষ হয়েছে প্রায় ১২০০০ বছর আগে। তা সেই বরফ তো একদিনে গলে যায়নি, সময় লেগেছিলো।
ধীরে ধীরে গলেছে আর সমুদ্রের জল বেড়েছে, সেই সংগে সমুদ্রের উপকুল এবং বহু দ্বীপ জলের তলায় চলে গেছে। সেই মহা প্লাবন সারা পৃথিবীতে ঘটেছে, আর তার বিবরন লেখা আছে নানা পুথি পুস্তকে (যেমন বাইবেলে ‘নোয়া’র নৌকার কাহিনী—‘The ark of Noa)। কানাডার সমস্ত হ্রদের সৃষ্টি সেই বরফ গলা জল দিয়ে। আমাদের পুরানে আছে ঈশ্বর ‘কুর্ম অবতারে (কচ্ছপ অবতারে) বেদকে রক্ষা করেছিলেন প্লাবনের হাত থেকে । মনু সমহিতায় সেই একই কথা লেখা আছে।
প্রসংগত বলি, হিন্দুরা যাকে বলে “রাম সেতু”, যাকে সরকারী ভাষায় বলে “Adam’s Bridge” (আদমের সেতু—সেই সিমেটীক ধর্ম দুটির কথা), সেটা নাকি প্রকৃতি বানাই নি। সেটা নাকি “মানুষের বানানো”। আবার সেই স্যাটেলাইট ইমেজিং এই কথা বলেছে।
পন্ডিতেরা কতো কষ্ট করে আর্য্যদের বহিরাগত , যুদ্ধবাজ কিন্তু যাযাবর এক জাতি বানিয়ে ফেলেছেন,যারা মাত্র হাজার তিনেকের একটু সময় আগে, ঘোড়া চরাতে চরাতে সেই ভোলগা নদীর কুল (রাহুল সাংকৃত্যায়নের=বামপন্থী লেখকের ‘ভোলগা থেকে গংগা’ পড়ুন) থেকে হিন্দুকুশ পেরিয়ে (তা ঐ উচু পর্বতের বরফের ওপরে ঘাস জন্মায়?) ভারতে এসেই যুদ্ধ করলো, বেদ লিখে ফেললো।
এখন কিনা ঐ স্যাটেলাইট ইমেজিং সব তত্ত্ব (আর্য্যদের ভারত আক্রমন) মিথ্যে বলে প্রমানিত করছে, আর হিন্দুরা যে সব ভুল ভাল কথা লিখেছে (৫০০০ -৮০০০ বছর আগে) তাকে সত্য বলে প্রমানিত করছে, সেটা কি ঠিক করছে?????
তাই বলি, স্যাটেলাইটটাই বুর্জোয়া, ওর কালো হাত ভেংগে দাও,গুড়িয়ে দাও, স্যাটেলাইট মুর্দাবাদ, কন্ডোম কবি যুগ যুগ জিও।
লেখক-ডাঃ মৃনাল কান্তি দেবনাথ
আরো পড়ুন…
- করাচী শ্রীরামকৃষ্ণ মিশনে জেহাদী আক্রমণ, ৬০ হাজার দুঃপ্রাপ্য বই পুড়িয়ে দেওয়…
- মার্কিন সৈন্যের একটি অনুসন্ধানী দল মহাভারতের একটি বিমান আবিষ্কার করেছে?
- পাকিস্তান ও জিন্নাহ গোড়ায় গলদ: জিন্নাহ একমাত্র কন্যার ইসলাম ত্যাগ।
- বাংলার আত্মঘাতী সেক্যুলার সংস্কৃতি ও বুদ্ধিবৃত্তির জগতে স্বামী প্রণবানন্দ এক উপেক্ষিত চরিত্র।