মুসলমানরা ভারত দখল
অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায়, মুসলমানরা ভারত দখল করে ফেলবে এটি অবশ্যই ভিত্তিহীন কথা। নকশালরা ভারত দখল করে নিবে এটাও ছিলো অবাস্তব অসম্ভব। কিন্তু গোটা ভারতবর্ষকে অস্থির করে দিয়েছিল! এখন যেমন মাওবাদীরা কত পার্সেন্ট? কিন্তু একটা ক্ষমতা তারা রাখে। সেই ক্ষমতা ভারত দখলের মত নয়।
মুসলমানরা ইউরোপ দখল করে ফেলবে এটাও মুসলমানদের দিবাস্বপ্ন আর ইউরোপীয়দের নিছক ফোবিয়া মাত্র। কিন্তু ইউরোপকে রীতিমত জিহাদ শরীয়া দিয়ে ঝাঁকুনি দিতে পেরেছে।
এই টেকনোলজির যুগে, পশ্চিমের মেধা বিজ্ঞানকে ইমাম মাহদী ঘোড়ায় চড়ে এসে বাইতুল মোকাদ্দেস দখল করে নিবে এটা ভেবে মুসলমানদের ভয় পাবার কিছু নেই কিন্তু মুসলমানরা এরকম বিশ্বাস মনে পোষণ করে প্রতিবেশী হয়ে থাকা অস্বস্তিকর। কারণ এই চিন্তা থেকেই লরি তুলে দিবে ফুটপাতে। বোমা মারবে নাইট ক্লাবে। …মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ এমন সব দেশই স্বঘোষিত মুসলিম কান্ট্রি নয়ত ইসলামিক কান্ট্রি। কেন?
গজওয়াতুল হিন্দ হবে ভারতে। হিন্দুদের মুসলমানরা বন্দি করে ভারতে ইসলামী শাসন চালু করবে এই হাদীস আজকের যুগে এসে স্বপ্নদোষ ছাড়া আর কিছু না সবাই বুঝে কিন্তু এরকম চিন্তা মুসলিমরা মনে মনে বিশ্বাস করে রাখাটা কোন ভালো কথা না। মুসলিম সমাজের এই ধর্মীকতা নিয়ে কথা বলা উচিৎ না? তাদের সংশোধনের কোন সামাজিক আন্দোলন ঘটেছে? যারা চেষ্টা করেছে বা করছে তারা সবাই আপনাদের কাছে ইসলাম বিদ্বেষী নয়ত মুসলিমফোবিক!
ভারতীয় মুসলিম নারীদের তিন তালাক অভিশাপ থেকে মুক্তি দিতে হিন্দুত্ববাদীদের কেন হস্তক্ষেপ করতে হলো? আপনারা কেন বলেননি? কেন মোদীকে ভারতীয় মুসলিম নারীবাদীরা থ্যাংকস জানায়? একজন শিক্ষিত মুসলিমও কেন তার ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে ভারতে জাতীয়তাবাদী অবস্থান নিবে? অধিক জনসংখ্যা উৎপাদন ভারতের মত সিমিত সম্পদের দেশে হুমকির মত। কেন একটা সম্প্রদায়ের এই মানসিকতার সমালোচনা করা বিদ্বেষ হবে? বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান দেশ এখানে সরকার জনসংখ্যা কমাতে কোটি কোটি টাকা খরচ করে কি বিদ্বেষ থেকে? রোহিঙ্গা মুসলমানদের অধিক জন্মহার নিয়ে বাংলাদেশ সরকার চিন্তিত সেটা কি বিদ্বেষ থেকে? ভারতের মুসলিমরা তাদের শিক্ষার জন্য স্বাধীনতার পর মাদ্রাসা শিক্ষাকে বেছে নিলো। এই পিছিয়ে পড়ার পেছনে তাহলে দায়ী কে? কেন মুসলিম সমাজে প্রগতিশীল সেক্যুলার পরিচয়কে প্রাধান্য দিতে আপনারা কথা বলেন না? তারা যদি মুসলমানই থেকে যাবে তাহলে ভারত ধর্মনিরপেক্ষ হবে কিভাবে?
বাংলাদেশে আমরা মুসলিমবাদীত্বের বিরুদ্ধে কথা বলে রক্তাক্ত হয়েছি। ইসলামীকরণের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের নাস্তিক প্রগতিশীলদের লড়াইয়ের বিপরীতে ভারতের প্রগতিশীল বাম সেক্যুলারদের মুসলমানিত্বকে সাফাই করার চেষ্টা সত্যি হতাশার!