1. পাশের সিটে বসা লোকটা #পানি চাইল। আমি বললাম, #জল আছে, দেব? সে কোনো কথা না বলে আরেক জনের কাছে চাইল।
বুঝলাম না আমার দোষটা কি!
2. সার্ভে পার্কে চুরির কিনারা, গ্রেফতার দশজনের দল
সপ্তাহখানেক আগের ঘটনা| বড়সড় চুরি হয়ে গেল সন্তোষপুরের বাসিন্দা অনসূয়া দাসের বাড়িতে| রাতে বাড়িতে কেউ ছিলেন না। পরের দিন সকালে অভিযোগকারিণী বাড়ি ফিরলেন এবং দেখলেন, প্রতিটি ঘর তছনছ,অনেক জিনিসপত্র উধাও।
গয়নাগাটি এবং অন্যান্য সামগ্রী চুরি গেছে বেশ কিছু| দুটি সোনার এবং একটি হিরের আংটি, একটি বালা, একটি পেনডেন্ট, এক জোড়া কানের দুল,পনেরটি হাতঘড়ি, একটি স্যামসাঙ টিভি, নগদ কয়েক হাজার টাকা| সব মিলিয়ে প্রায় লাখদুয়েক টাকার জিনিসপত্র লোপাট| অভিযোগ দায়ের হল সার্ভে পার্ক থানায়, শুরু হল তদন্ত|
সূত্র এল আচমকাই, দিনদুয়েকের মধ্যেই| কনস্টেবল বিশ্বজিত দে দুপুরবেলা টহলদারি চালাচ্ছিলেন সন্তোষপুরের থার্ড রোডে| দুই যুবককে দেখলেন কাঁধে বস্তা নিয়ে ঘুরতে, কাগজ-টাগজ কুড়োচ্ছে, কিন্তু হাবভাব সন্দেহজনক| এ বাড়ি সে বাড়ির আশেপাশে ঘুরছে, জরিপ করছে এলাকা| সন্দেহ হল বিশ্বজিতের, খুচরো জিজ্ঞাসাবাদে সন্দেহ আরো বাড়ল| কাঁধের বস্তাতে বিশেষ কিছু নেই| ঠিকানাও নির্দিষ্ট করে কিছু বলছে না, আমতা আমতা করছে| পাকড়াও করে দু’জনকেই নিয়ে যাওয়া হল থানায়|
জিজ্ঞাসাবাদে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরলো| এদের নাম মহম্মদ রেহান এবং মহম্মদ রাসেল| বাংলাদেশি নাগরিক| বছর দেড়েক আগে ভারতে অনুপ্রবেশ আরো কয়েকজনের সঙ্গে| বনগাঁ থেকে বারাসত পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকায় চুরির সক্রিয় গ্যাং গড়ে তুলেছিল স্থানীয় কয়েকজন চোরের সাহায্যে| ইদানীং কলকাতার দক্ষিণ শহরতলীতে কাজের পরিধি বাড়ানোর চেষ্টা চলছিল এবং অনসূয়া দেবীর বাড়িতে চুরি এদেরই কীর্তি| জেরায় জানা গেল,দলের মাথা অবশ্য অন্য একজন, যার অঙ্গুলিহেলনে চলত কর্মকাণ্ড, যিনি ঠিক করতেন কোন এলাকায় কবে কখন ‘কাজে’ নামতে হবে |
কে? এক মধ্যবয়সী মহিলা ! নাজিমা বিবি| নারকেলডাঙা থানার কাছেই বহু বছরের পুরনো একটা দোকান চালান নাজিমা| পুরনো কাগজ, মালপত্তর ইত্যাদি কেনাবেচার দোকান| এলাকায় বেশ দাপট রয়েছে মহিলার| বাংলাদেশি যুবকদের আশ্রয় দেওয়ার ব্যবস্থা করে তাদের নিয়ে চুরির গ্যাং তৈরি করেছিলেন বছর দেড়েক হল| স্থানীয় দুষ্কৃতীরাও ছিল দলে| রেহান আর রাসেল কবুল করল সব | নাজিমার কাছে চুরি করা সামগ্রী অল্প দামে বিক্রি করা, সঙ্গীসাথীদের নামধাম, গোপন ডেরা.. সব|
বাকি কাজটা সম্পন্ন হল দিনচারেক আগে| নারকেলডাঙা থানার বিভিন্ন অঞ্চলে হানা দিয়ে গ্রেফতার হল আরো সাত| ইমতিয়াজ শেখ, মহম্মদ আলামিন, ধন।