জুনায়েদ হাফিজকে যদি শেষতক আন্তর্জাতিক চাপে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান সরকার তারপরও পাকিস্তানে থাকা জুনায়েদের পক্ষে সম্ভব হবে না। জুনায়েদের মত ইসলাম অবমাননার অভিযোগে ফাঁসি হয়েছিল পাকিস্তানী খ্রিস্টান আসিয়া বিবির। আন্তর্জাতিক চাপে আসিয়া বিবিকে মুক্তি দিয়েছিল পাকিস্তান।
কিন্তু পাবলিক রোষে আসিয়া বিবিকে পাকিস্তান ত্যাগ করত হয়েছিল। ভারতের নতুন নাগরিকত্ব আইনে পাকিস্তানের আসিয়া বিবি খ্রিস্টান হওয়ায় ভারতে আশ্রয় পাবে। কিন্তু তথাকথিত মুসলিম পরিচয়ের কারণে জুনায়েদের ঠাঁই হবে না ভারতে। ভারত যদি ঘোষণা দেয় পাকিস্তান বাংলাদেশ আফগানিস্তানের কাদিয়ানী মুসলিম, শিয়া মুসলিম, মুসলিম ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসা নাস্তিক ভিন্নমতালম্বী যারা এসব দেশে নিজেদের মতামতের জন্য নিপীড়িত তাদের ভারতে আশ্রয় দিবে তাহলে ক্যাবকে মেনে নিতে কোন আপত্তি নেই।
তাহলেই ভারত প্রকৃত মানবিক দেশ হবে। জুনাইদ হাফিজের ফাঁসি হলেও “মুসলিমবাদ” নিয়ে বিশ্ব মানবতাবাদীদের ঘুম ভাঙবে না। তারা পৃথিবীর একটি ইহুদিবাদী রাষ্ট্র নিয়েই চিন্তিত। মোদী ট্রাম্প ছাড়া আর কেউ বর্ণবাদী নেই তাদের কাছে। পাকিস্তান বাংলাদেশ তুরস্ক ইরাক ইরান আফগান সৌদি কাতার সহ ৫৭টা মুসলিম দেশে “মুসলিমবাদ” চলছে বছরের পর বছর। তখন কেউ বলেনি বাংলাদেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হলে ভারতে তার খারাপ প্রভাব পড়বে।
পাকিস্তানে যখন শরীয়া আইন জারি হলো তখন কোন পন্ডিত বলেনি এর ফলে ভারতের হিন্দু মৌলবাদীরা সুযোগ নিবে…।নিজেরা ইসলামিক সেজে অন্যকে ধর্মনিরপেক্ষ হতে বলা কেবল মুসলিম হিপোক্রেসিতেই সম্ভব। যেমন ব্লাসফেমি আইনে ইসলাম অবমাননার অভিযোগে একের পর এক মানুষ জেল জরিমানা ফাঁসি দেশান্তর হলেও ইমরান খান জাতিসংঘে বড় গলায় উল্টো ইসলাম বিদ্বেষের অভিযোগ তোলে।
পাকিস্তানি খ্রিস্টান আসিয়া বিবি ইসলাম অবমাননার অভিযোগে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। জুনায়েদ হাফিজ প্রথমে তার হয়ে লড়ার জন্য কোন আইনজীবী পাননি। পরে তার হয়ে লড়তে রাজি হওয়া আইনজীবী রশিদ রেহমান খুন হয়েছে। জুনায়েদের ফাঁসির রায়ে আদালতে পৈশাচিক আনন্দে মেতে উঠে পাকিস্তানিরা। সেই পাকিস্তান ভারতের নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে বলে ভারত হিন্দু রাষ্ট্র হওয়ার পাঁয়তারা করছে। পাক্কা একটা সাম্প্রদায়িক মোল্লা আরেকজনকে সাম্প্রদায়িক বলছে! পৃথিবীটা খুব মজার জায়গা না?