সাহস এবং আত্মবিশ্বাস চান?
ব্যবস্থা আছে। সামনেই সুযোগ, গ্রহণ করুন।
যদি নিজের মধ্যে সাহস তৈরী করতে চান তাহলে আগামী ১২ই জুন রাত্রে ফুরফুরা শরীফ আসুন।
আর যদি নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে চান তাহলে ১৩ই জুন দুপুরে ওখানে আসুন। বেলা ১২ টায়।
প্রসঙ্গত আপনাদের জানাই, ফুরফুরা নামটি অপেক্ষাকৃত নতুন নাম। এই জায়গাটির পুরানো নাম ছিল বালিয়া বাসন্তী। আজ থেকে ৫০০ বছর আগে এটা বাগদী রাজার রাজ্য ছিল। বাগদী মানে বর্গ ক্ষত্রিয়। সেই রাজ্য কিভাবে বিধর্মীদের হাতে গেল সে ইতিহাস জানার চেষ্টা করুন। ওই এলাকার একটু সহজ সরল কিন্তু শিক্ষিত মুসলিম ভাইয়ের কাছেও জানতে পারবেন।
সেই বাগদী রাজাদের টাইটেল ছিল ধাড়া। তাঁদের কুল দেবী ছিলেন মা রক্ষাকালী। তাঁরা সেই রক্ষাকালী পূজা করতেন। দুর্গাপূজার পর যে কালীপূজা হয় সেই সময় নয়। জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষ মঙ্গলবার। আজ রাজা নেই। কিন্তু বাগদী রাজার প্রজারা আজও সেই পূজা করেন। তাঁরা একে “ধাড়া মায়ের পূজা” বলেন।
এই পূজাতে কী কী হয়, কেমন করে হয় – তা এখন প্রকাশ করছি না।(তার মানে গোপন কিছু নয়)
যাঁরা সাহস তৈরী করতে চান, ওই বাগদী-দের মধ্যে নয়, নিজের মধ্যে, তাঁরা মঙ্গলবার রাতে বা সন্ধ্যায় আসুন। রাতে থাকতে হবে। আর যাঁরা আত্মবিশ্বাস পেতে চান তাঁরা বুধবার দুপুর ১২ টার মধ্যে আসুন।
আসার পথ নির্দেশ –
হাওড়া বর্ধমান কর্ড লাইনে বারুইপাড়া স্টেশনে নামুন। সেখান থেকে বাস, ট্রেকার ও অটো পাবেন। উজলপুকুর মোড়। এছাড়া কলকাতা ধর্মতলা থেকে সোজা ফুরফুরা গামী সি টি সি বাসে চেপে ওই একই স্টপেজে নামতে হবে। তাছাড়া আরামবাগ, চাঁপাডাঙ্গা, বাঁকুড়া গামী বাসে চেপে শিয়াখালা স্টপে নামতে হবে। সেখান থেকে টোটো, অটো বা ট্রেকারে চেপে ওই উজ্বলপুকুর মোড় এ নামতে হবে।
ওই মোড়েও বর্গ ক্ষত্রিয়দের আর একটি পূজা হয়। কিন্তু “ধাড়া মায়ের পূজা” ওখান থেকে আর ৫ মিনিট হেঁটে যেতে হবে। যাওয়ার পথে তোহা সিদ্দিকী সাহেবের নতুন বাড়িটাও দেখতে পাবেন।