গত সপ্তাহে ময়মনসিংহ থেকে কয়েকজন আত্মীয় বেড়াতে এসেছেন আমাদের বাসায়। এক পিচ্চিও আছে তাদের সঙ্গে। বয়স দুইয়ের বেশি হবে না। খুব সুন্দর আর মিষ্টি।
সবাই তাকে খুব আদর করেছে।
কিন্তু আজ বিকাল থেকে শুরু হয়েছে ব্যাপক অনাদর। কিছু চড় থাপ্পড় ও জুটেছে ওর কপালে। কেন?
নানাভাই আছরের নামাজের পর বরাবরের মতো জায়নামাজে বসে কোরআন তেলাওয়াত করছিলেন। পিচ্চিটা খেলা করছিল পাশেই। হঠাৎ সে তার পিচ্চি নুনুটা বের করে হিসি করে দিয়েছে লম্বা করে। ভিজে গেছে জায়নামাজ! কোরআনের কয়েকটি পাতাও ভিজে গেছে। কী ভয়াবহ ব্যপার ভাবতে পারছেন?
নানাভাই তো আগুন। বাসার সবাই ক্রোধে দিশেহারা। সবাই স্তব্ধ। নানাভাই হুমকি দিচ্ছেন যে তিনি পিচ্চিটার নুনুই কেটে ফেলবেন! ও নাকি শয়তান!
পিচ্চিটার উপর চলছে বিকাল থেকে হম্বিতম্বি, কিল চাপর।
নানুমণিকে হাসতে দেখে জিজ্ঞেস করলাম, তুমি হাসছ কেন, নানী?
নানুমণি হাসতে হাসতেই বললেন, নুনুর কত গুণ দেখেছিস? আহা!
সর্বশেষ খবর হচ্ছে, এই অপবিত্র হয়ে যাওয়া কোরআন নিয়ে কী করা হবে, তা নিয়ে চলছে বাকবিতণ্ডা। কেউ বলছেন, পানিতে ভাসিয়ে দিতে হবে! কেউ বলছেন, কবর দিতে হবে! কেউ বলছেন পুড়িয়ে ফেলতে হবে!
সমাধান আর কে দেবেন নানুমণি ছাড়া! তিনি স্পষ্ট ভাষায় বললেন, ” কোরআনের উপর হাগুমুতু করা নতুন কোনও ঘটনা নয়। অতীতে অপবিত্র হয়ে যাওয়া কোরআনের ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল তা থেকেই নির্দেশনা নিতে হবে। “
আপনারা জানেন গতবছর কুমিল্লায় দশ বারটি কোরআনের উপর হাগুমুতু করে বিশ্বরেকর্ড করেছিল একজন মুমিন। উদ্দেশ্য ছিল হিন্দুদের ফাঁসানো।মুসলমানদের দুর্ভাগ্য কিন্তু পুলিশ তাকে ধরে ফেলেছিল। সে এখন জেলে।
সেই কোরআনগুলোর ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল?
কেউ কিছু বলতে পারবেন?
খুব বিপদে আছি!
এই নুনুওয়ালা পুরুষগুলো যে আর কত সর্বনাশ করবে কে জানে!