“পশ্চিম বংগ এবং বাঙ্গালীর অধঃপতনের মুল কারন”
পশ্চিম বংগের এবং সেই সঙ্গে পশ্চিম বংগ বাসীর সার্বিক অধঃপতন শুরু হয় ডাঃ বিধান চন্দ্র রায়ের মৃত্যুর পর থেকে। প্রফুল্ল চন্দ্র সেন বেশ ভালো মানুষই ছিলেন এবং হয়তো খুব খারাপ মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন না। কিন্তু তার সময় থেকেই উত্থান শুরু হলো “বামপন্থী রাজনীতি’ , এক কথায় সেই থেকে শুরু হলো এই রাজ্যের শেষের শুরু।
ইন্দিরা গান্ধীর আমলে, সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়ের মুখ্যমন্ত্রীত্বের শুরুর আগেই শুরু হয়ে গেছিলো পশ্চিম বংগের ভাগ্যাকাশে দুর্যোগের ঘনঘটা। বামপন্থীদের “ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও” রাজনীতি পশ্চিম বঙ্গকে এবং বাঙ্গালীকে সর্বনাশের দোড় গোড়ায় পৌছে দিয়েছিলো। আমার মতে এর মুল কারন শুধুমাত্র রাজনীতির জন্য উগ্র কেন্দ্র বিরোধীতা। ১৯৭৭ সাল থেকে সেই “জাতীয় মুল স্রোত” থেকে উল্টোদিকে চলার প্রক্রিয়া মারাত্মক রুপ ধারন করলো। সেটা চললো ৩৪ বছর ধরে।
আমাদের দেশের সংবিধান, যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো নিয়ে চলে। কেন্দ্র এবং রাজ্য পরষ্পর পরষ্পরের পরিপুরক। তাই রাজনৈতিক মত পার্থক্য থাকলেও এক সংগে চলা ছাড়া উপায় নেই। যে দল কেন্দ্রে শাসন করে সেই দল সমস্ত রাজ্যে শাসন করবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই, তা কোনোদিন হয়নি হবেও না। তাই কেন্দ্রের সংগে রাজনৈতিক বিরোধীতা থাকবেই। তাতে কোনো দোষ নেই। এটা গনতান্ত্রিক দেশ। কিন্তু তাই বলে “উগ্র কেন্দ্র বিরোধীতা, প্রতিটি পদক্ষেপে বিরোধীতা নিয়ে আসে কু ফল”।
ভোগে কারা? রাজ্য বাসী।
একটি নদীতে একটা মুল স্রোত থাকে। সেই মুল স্রোত যায় নদীর মাঝখান দিয়ে। দেখবেন নদীর দুই পাশে কোথাও কোথাও উলটো স্রোত বয়ে যায়। সেই উলটো স্রোতের জন্য জলের মধ্যকার ময়লা ঐ নদীর পাশেই জমতে থাকে,মাঝখানে নয়। মাঝখানের জল থাকে পরিষ্কার। প্রায় পাঁচ দশক ধরে আমরা বাঙ্গালীরা চলেছি দেশের মুল স্রোতের ঠিক উলটো দিকে। ময়লা তো জমবেই। বাঙ্গালীকে সেই ময়লার মধ্যেই বাস করতে হবে। এটাই ভবিতব্য।।
আমি এ কথা বলছি না সবাইকে বিজেপির সমর্থক হতে হবে বা মোদিজীকে মানতে হবে। তাই বলে এতো বিরোধীতা????