‘বিশ্বনবী’ মানে হচ্ছে যিনি সারা বিশ্বের উপযোগী একজন নবী। অন্য নবীরা ছিলেন আঞ্চলিক। তেমনভাবে ইসলাম হচ্ছে সারা বিশ্বের জন্য উপযোগী ধর্ম, বাকী ধর্মগুলো একটা নির্দিষ্ট অঞ্চলের মানুষের জন্য সীমাবদ্ধ ধর্ম। তো, এরকম বিশ্বব্যাপী অনুকরনীয় ব্যক্তি ও ধর্ম আদৌ সম্ভব কিনা সেটি বিশ্বাসের আফিন খাওয়া মানুষ জীবনেও একবার চিন্তা করে দেখেনি। স্কেন্ডেনেভিয়ান দেশগুলোতে রোজা রাখতে একজন মানুষকে ২৩ ঘন্টা না খেয়ে থাকতে হবে এবং ২৩ ঘন্টা পর ইফতার খেয়েই ফের এক ঘন্টা পর সেহরি খেতে হবে! পৃথিবীর উপর সূর্য্যের আলোর এই তারতম্য আল্লাহ নামের মহা শক্তিধর ঈশ্বরটির জানা ছিলো না। এই অজানা থাকার কারণে বেকুবের মত রোজা রাখার নিয়ম করার সময় পৃথিবীর সর্বত্র দিবারাত্রী ও দিবারাত্রী দৈর্ঘ্যের তারতম্যের হেরফেরের সমস্যার কথা মাথায় আসেনি। এরকম একটি ধর্ম কেমন করে সারা বিশ্বের জন্য প্রজয্য হয়? ইসলাম ধর্মে এরকম বহু নিয়ম স্থান কাল ভেদে সমস্যা হওয়াতে ওলামা কেরামদের বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়েছে এবং তাদের ফতোয়াতে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। ইসলাম যে সারা বিশ্বের জন্য উপযোগী নয় এটি তার একটি জলজ্যন্ত প্রমাণ। আর এই ধর্মের নবী যে আদর্শ হিসেবে সারা বিশ্বের জন্য অনুকরণীয় নয় সেটা হাদিস ঘাটলেই দেখা যায়।
যিনি পেটের অসুখের জন্য উটের মুত খেতে বলেন, খাবারে মাছি বসলে সেটাকে ধরে পুরো খাবারে ডুবিয়ে দিতে বলেন কারণ মাছির এক পাখায় জীবানু থাকলেও অন্য পাখায় তার এন্টিবায়েটিক থাকার মত আজগুবি তথ্য দেন, যিনি নারীদের বীর্যের রং হলুদ বলেন যেটা কিনা ভূভারতে কেউ কোনদিন দেখেনি, নারীদের বীর্য হয় না এই তথ্যটি যার জানা নেই তিনি কি করে বিশ্বের সমস্ত মানুষের জন্য অনুকরীয় হবেন? মুহাম্মদ যুগের চরিত্রগ তার সময়কালের জ্ঞান পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। কাজেই আজকের যুগের বাস্তবতায় ও জ্ঞানের সঙ্গে তাই তার বাণীর ঘোরতর সংঘাত আসবেই। একই সূত্র ধরে তাদের প্রচারিত ধর্মও আজকের যুগের বাস্তবতায় পদে পদে সংঘাত অনিবার্য। যীশুর ধর্ম অনুসারী খ্রিস্টান পৃথিবীর সর্বত্রই আছে। তাহলে তো এটাকেও সারা বিশ্বের ধর্ম ও যীশুকেও ‘বিশ্বনবী’ বলা চলে। মুহাম্মদ এবং তার ধর্ম কেন এককভাবে সারা বিশ্বের জন্য প্রজর্য্য তার ব্যাখ্যা কিন্তু ভক্তদের কাছে নেই।
ইসলামের কিছু বিধান যা আজকের যুগে ক্ষতিকারক বলে প্রমাণিত হয়েছে তার কিছু নমুনা দেখাই। ইসলাম মতে কাজিনদের বিয়ে করা হালাল। আর আজকের চিকিৎসা শাস্ত্র জানাচ্ছে এরকম একই পরিবারের বা বংশে বিয়ে হলে মারাত্মক জটিল স্নায়ু রোগ নিয়ে শিশু জন্ম নেবার সম্ভাবনা থাকে। মুহাম্মদ এবং তার আল্লাহর তো জেনেটিক বিজ্ঞান জানা থাকার কথা। বিধান করার সময় এটি কেন বিবেচনা করা হলো না? ভোররাতে খেয়ে সারাদিন পানি পান না করে উপোস থাকার বিধান স্বাস্থগতভাবে ক্ষতিকারক। এতে শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে। এরকম স্বাস্থগত ঝুঁকিপূর্ণ বিধান মাসভরে রাখাটা অবার্চিনের মত কাজ হয়েছে। নারীদের খৎনা আরো একটি ভয়ংকর আরব ও আফ্রিকান প্রথা। এটির মাধ্যমে নারীদের যৌনাঙ্গর ‘ভগাঙ্কুর’ কেটে বাদ দেয়া হয় যাতে নারীর কোন যৌন অনুভূতি না থাকে ফলে নারীর চরিত্র ভাল থাকবে। ইসলাম ধর্ম এটি নিষিদ্ধ করেনি বরং দেখা যায় নবী মুহাম্মদ নারীদের খৎনা করা হাজামদের পরামর্শ দিচ্ছেন যেন কাজটা তারা খুবই সাবধানতার সঙ্গে করে। ইসলাম যে কোন মহা জ্ঞানীর পাঠানো ধর্ম না- এ থেকে কি প্রমাণিত হয় না? কেন এই পৈশাচিক প্রথাকে সমর্থন করে গেলো ইসলাম? কেন দাসপ্রথা একদিন বিলোপ হবে জানার পরও ভবিষ্যত জানা একজন ঈশ্বর নিজের পাঠানো শ্রেষ্ঠ ধর্ম ও নবীকে দিয়ে সেই কাজটি করালেন না? কেন উল্টো দাসদের মনিবকে ছেড়ে না যেতে এবং বাধ্য হয়ে চলতে উপদেশ দিলো? আজকের পৃথিবীতে দাস প্রথা ফের চালু হলে সেটি হবে ইসলামে বৈধ এবং মানুষকে দাস বানানোও ইসলাম সমর্থিত! এরকম একটি ধর্ম কেমন করে সর্বকালের জন্য গ্রহণীয় হতে পারে?