কি উদ্দেশ্য নিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে বুঝতে পারছেন কি?

দেশের ২১টি রাজ্যে জাভেদ হাবিব মোট ৩০০টি এয়ার কন্ডিশনড সেলুন খুলে ফেলল, আর হিন্দু নাপিতরা ওবিসি হয়ে চাকরি খুঁজে বেড়াচ্ছে।
দেশের ২৬টি রাজ্যে এবং পৃথিবীর ৩০টি দেশে ৬০০ কোটি টাকার জুতোর ব্যবসা চালানো মেট্রো শুজের মালিক হলেন ফারাহ মালিক!
দেশ বিদেশে চামড়ার জুতোর ব্যবসাকারী আর এক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান মির্জা ট্রেডার্সের মালিক হলেন মির্জ্জা বন্ধু।
দলিতদের অধিকারের জন্য আন্দোলন করার নাম করে বামপন্থী ও আম্বেদকরপন্থীদের আন্দোলনের ফলে যে কখন সংরক্ষণ এর আড়ালে চামড়া, জুতো আর সেলুনের একচেটিয়া ব্যবসা দলিতদের হাত থেকে মুসলিমদের হাতে চলে গেল বোঝাই গেল না!
এক সময় খাদিমের কর্তা বর্মণ পরিবার জুতোর ব্যবসায় ওঁদের সঙ্গে টক্কর দিচ্ছিলেন। সেইজন্য আফতাব আনসারী তাঁকে অপহরণ করে ঠিক কত কোটি টাকা মুক্তিপণ আদায় করেছিল জানা যায়নি, কিন্তু তারপর এত দিনেও খাদিমের ব্যবসা আর বাড়তে পারে নি। এখন সামলাতে পারলেও এতদিনে জুতোর মার্কেট ওদের দখলে চলে গেছে।
সেক্যুলার নেতৃত্ব শুধু হিন্দু নাপিতদের ও চর্মকারদের বুঝিয়ে গেছেন যে উচ্চবর্ণরা সংখ্যায় কম হয়েও সরকারী চাকরিগুলো পাচ্ছে, আর তোমাদের হাজার হাজার বছর ধরে নাপিত করে রেখে দিয়েছে। কাজেই নাপিতের কাজ আর করো না।
তোমরা বরঞ্চ লেখাপড়া শেখ, জাতির প্রমাণপত্র সংগ্রহ কর আর সরকারী চাকরি কর। কংগ্রেস তোমাদের ওবিসিদের মধ্যে ঢুকিয়ে দেবে, চাকরীর সংরক্ষণ দেবে। তোমাদের সেলুন গুলো বন্ধ করে দাও। গ্রামের বাড়ি ছেড়ে শহরে গিয়ে এক কামরার ফ্ল্যাট নিয়ে থাক।
নাপিত বাচ্চাদের ইংরেজি স্কুলে ভর্তি করল, আশা যে ছেলেমেয়ে নিশ্চিত সরকারী চাকরী পাবে। কিন্তু সরকারী চাকরী আর কটা? সব নাপিত, কামার আর ধোপারা শেষ অবধি দেখা যাচ্ছে ৭০০০ টাকায় সরকারের কোন কারখানায় গার্ডের চাকরীতে ঢুকছে। যখন যখন কংগ্রেসের নেতা ও সেক্যুলার রাজনীতিকরা বলছেন আন্দোলনে যেতে হয়। নাইট ডিউটির সময় কোনও দিন ঘুমিয়ে পড়লে সেই চাকরিটাও চলে যায়।
তারপর দেশের বাড়িতে ফিরে আবার দোকান খুলতে গেলেই দেখা যাবে পাড়াতে আরও অনেক সেলুন খুলে গেছে, সবগুলোই মুসলিম মালিকানায়।
হিন্দু নাপিত ব্যবসা ছেড়ে গেছেন, মুসলিম নাপিতরা সেই ব্যবসা ধরে নিয়েছেন। হিন্দু কামার দোকান ছেড়ে গেছেন, মুসলিম ওয়েল্ডিং এর দোকান খুলেছেন। হিন্দু ধোপা সরকারী চাকরী করতে গেছেন, মুসলিমরা ডাইং ক্লিনিং এর দোকান করেছেন। হিন্দু হরিজন জুতোর ব্যবসা ছেড়েছেন, জুতোর বাজার মুসলমানদের দখলে চলে গেছে। আর এই নতুন ব্যবসায়ীরা বড়ই এককাট্টা, হিন্দুদের আর পুরনো ব্যবসায় ফিরতে দেবে না।
কি উদ্দেশ্য নিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে বুঝতে পারছেন কি? ভাবুন, ভেবে বোঝার চেষ্টা করুন।
#সংগৃহীত #

Scroll to Top